বিংশ
শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে রচিত শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'দেবদাস' পুরো বিংশ
শতাব্দী জয় করে এ
শতাব্দীতেও নতুন রূপে ফিরে এসেছে বিভিন্ন সিনেমা ও নাটকে। সেই
নির্বাক যুগের সিনেমা থেকে শুরু করে এবছরের ঈদের টেলিফিল্মেও বার বার ফিরে এসেছে
দেবদাস-পার্বতী-চন্দ্রমুখীর কাহিনি।
১৯৫৫ সালে বিমল রায় পরিচালিত দেবদাসের পোস্টার |
চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত দেবদাস
|
সঞ্জয় লীলা বনশালির দেবদাস |
চাষী নজরুল ইসলামের রঞিন দেবদাস |
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'দেবদাস'
উপন্যাস নিয়ে গত প্রায় এক শ' বছর ধরে অনেকগুলো নাটক সিনেমা তৈরি হয়েছে। সেই ১৯২৮
সালে নির্বাক সিনেমার যুগে পরিচালক নরেশ মিত্র তৈরি করেছিলেন প্রথম 'দেবদাস'।
তারপর ১৯৩৫ সালে প্রমথেশ বড়ুয়া'র দেবদাস বাংলা সিনেমার জগতে চিরায়ত চলচ্চিত্রের
মর্যাদা পায়। পরের বছর প্রমথেশ বড়ুয়া হিন্দিতে দেবদাস তৈরি করেন। ১৯৩৭ সালে তিনি
আবার দেবদাস তৈরি করলেন অহমিয়া ভাষায়। তারপর থেকে কয়েক বছর পর পর দেবদাস সিনেমা
তৈরি হচ্ছে তো হচ্ছেই। একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে সঞ্জয় লীলা বনশালী শাহরুখ খানকে
নিয়ে যে দেবদাস বানালেন তাতে শরৎ চাটুয্যের আসল দেবদাসের কিছু থাকুক বা না থাকুক -
ভারত বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম দেবদাসকে সম্পূর্ণ জমকালো রূপে দেখতে পেলো। ব্যর্থ প্রেমের
এই সাদামাটা কাহিনিটি মানুষ কেন এত পছন্দ করে তা গবেষণার বিষয়।
শফিক রেহমান সাহেব তাঁর যায় যায় দিন
ম্যাগাজিনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবস উদ্যাপন করার ব্যাপারে মানুষকে
উদ্যোগী করে তুলেছিলেন। তিনি যায় যায় দিন সাপ্তাহিকে পাঠকের লেখা নিয়ে ভালোবাসা
সংখ্যা প্রকাশ করতে শুরু করেছিলেন।
আমার
'একালের
দেবদাস' প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ভালোবাসা সংখ্যায়।
No comments:
Post a Comment