১৭
অক্টোবর 'সংবাদ' -এর পঞ্চম পৃষ্ঠায় 'সুজন ও সুমন মুক্তি পেয়েছে' শীর্ষক সংবাদটি
প্রকাশিত না হলে আমরা পটুয়াখালির গলাচিপা থানার সমাজকল্যাণ অফিসার আবুল কালাম আজাদ
সাহেবের কর্তব্যপরায়ণতার প্রমাণ পেতাম না। আজাদ সাহেব মামলার তদন্তকারী অফিসার
হিসেবে রিপোর্ট দিলেন যে, জাহিদুল আলম সুজন ও রেজভিউল আলম সুমন সন্ত্রাসী,
হাইজ্যাকার ও পেশাদার ধান কাটা সর্দার, যদিও তাদের বয়স যথাক্রমে চার ও ছয়। সুজন,
সুমনের বাবা মোঃ শাহ আলমকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে ইউ পি সদস্য সুলতান জমাদ্দার
মামলা করিয়েছেন। স্বার্থে অন্ধ হয়ে তাঁর হিতাহিত জ্ঞান লোপ পেয়েছে। কিন্তু
তদন্তকারী অফিসার সাহেব তদন্তটা যে ইউ পি সদস্যের বাড়িতে বসে করেছেন তা সহজেই
অনুমেয়। হয়তো তিনি চার ও ছয় বছরের দুটি শিশুকে সন্ত্রাসী, হাইজ্যাকার ও পেশাদার
ধানকাটা সর্দার বলে রিপোর্ট করতে পারতেন না। সুজন সুমন মুক্তি পেয়েছে। আদালতকে
ধন্যবাদ। কিন্তু মিথ্যা মামলাকারী, তদন্তকারী অফিসার এঁদের তো কিছু হলো না। শাস্তি অথবা পদোন্নতি একটা
কিছুতো হওয়া দরকার। তদন্ত ঠিকমতো হলে পদোন্নতির আশা করা যায়। কারণ এই তদন্তটাও পূর্ববৎ
হবে না - এমন দুরাশা করা অসম্ভব।
প্রদীপ
দেব, আমানত খান বিল্ডিং,
ফতেয়াবাদ, চট্টগ্রাম-৪৩৩৫।
ফতেয়াবাদ, চট্টগ্রাম-৪৩৩৫।
_____________________
সংবাদ
২৯ অক্টোবর ১৯৯৩
____________________
____________________
No comments:
Post a Comment