চট্টগ্রাম
কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় কলেজের বৌদ্ধ ছাত্র সংসদের ম্যাগাজিন সম্পাদক ছিল
অরূপ রতন চৌধুরি। অরূপ পড়তো বি সেকশানে। সে হোস্টেলে থাকতো না। কিন্তু সুমন আর
তাপস বৌদ্ধ ছাত্র সংসদের সদস্য ছিল। অরূপ তাদের কাছে আসতো এবং সেই সূত্রে আমার
সঙ্গেও তার বন্ধুত্ব হয়ে যায়। তখন টুকটাক কবিতা লেখার শখ হয়েছিল আমার। বৌদ্ধ ছাত্র
সংসদের ম্যাগাজিন 'জ্যোতিকা'-য় আমার এই কবিতাটি প্রকাশিত হয় ১৯৮৩ সালে। এটাই ছিল
আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতা।
বুদ্ধের
প্রতি
_________________
প্রদীপ কুমার দেব
_________________
প্রদীপ কুমার দেব
শান্তির
ললিত বাণী,
নুতন দিগন্তের হাতছানি,
কোথায় পাবে মানুষ
আজকের এই দিনে,
মিথ্যা বসেছে সত্যের আসনে
উড়্ছে হিংসার ফানুস।।
নুতন দিগন্তের হাতছানি,
কোথায় পাবে মানুষ
আজকের এই দিনে,
মিথ্যা বসেছে সত্যের আসনে
উড়্ছে হিংসার ফানুস।।
ফুরিয়ে
গেছে সব দয়া,
পৃথিবী হয়েছে অপয়া
অধর্ম করেছে গ্রাস।
স্নেহ মমতা দিয়ে
অহিংসার বাণী শুনিয়ে
রুখবে কে এ সর্বনাশ?
পৃথিবী হয়েছে অপয়া
অধর্ম করেছে গ্রাস।
স্নেহ মমতা দিয়ে
অহিংসার বাণী শুনিয়ে
রুখবে কে এ সর্বনাশ?
মুছে
দিতে সব কালিমা
এখন চাই একটা পূর্ণিমা
যেদিন আসবে ফিরে সিদ্ধার্থ।
প্রেমের পবিত্র গানে,
পাপদগ্ধ মানব মনে
প্রশান্তি জাগাবে সেই বোধিসত্ত্ব।।
এখন চাই একটা পূর্ণিমা
যেদিন আসবে ফিরে সিদ্ধার্থ।
প্রেমের পবিত্র গানে,
পাপদগ্ধ মানব মনে
প্রশান্তি জাগাবে সেই বোধিসত্ত্ব।।
লোভ
লালসা করতে দূর
বাজাতে শান্তির নুপুর
বন্ধ করতে এ পাপযুদ্ধ
আমাদের মাঝে ফিরে এসে,
রক্ষো মোদের রক্ষকের বেশে
ভগবান বুদ্ধ।।
বাজাতে শান্তির নুপুর
বন্ধ করতে এ পাপযুদ্ধ
আমাদের মাঝে ফিরে এসে,
রক্ষো মোদের রক্ষকের বেশে
ভগবান বুদ্ধ।।
_______________
জ্যোতিকা | ৩৯
________________
তুমি যে কবিতাও লিখ- এটা না পড়লে জানতাম না। এটা আমার চমৎকার লেগেছে। তার মানে তোমার ইউনিভার্সিটি জীবন থেকে লেখার সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হয়েছে। "যায় যায় দিন" ম্যগাজিনে তো তোমার অনেকগুলো লেখা প্রকাশ পেয়েছে। আবার এখানেও! তোমার এত গুণ দেখে আমি বিমোহিত হয়ে যাচ্ছি!
ReplyDeleteঅনেক ধন্যবাদ অনন্যা। কলেজ লাইফে কয়েকটা কবিতা লিখেছিলাম বন্ধুদের অনুরোধে তাদের ম্যাগাজিনের জন্য। কবিতার সাথে আমার বোঝাপড়া খুব একটা ভালো নয়।
Delete