আমাদের
সংস্কৃতিতে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের সুফল (কিংবা কুফল) ভোগ করতে জানি সবাই, কিন্তু
বিজ্ঞানীদের প্রয়োজনীয় সম্মান কিংবা ভালোবাসা দিতে আমরা জানি না। আমরা কেউ
তেমনভাবে ভেবেও দেখি না যে আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্ব থেকে আমরা কী কী সুবিধা
পাচ্ছি, লেজার রশ্মি আমাদের কোন্ কাজে লাগছে কিংবা E=mc2 প্রয়োগ
করে কী বিপুল শক্তির অধিকারী আমরা হয়ে উঠছি। জাতি হিসেবে আমরা আবেগপ্রবন। ধর্ম-কবিতা-গান-গল্প-নাটক-সিনেমা
সর্বোপরি রাজনীতির যত চর্চা আমরা করি বা পিন্ডি চটকাই তার সহস্রাংশ সময়ও
বিজ্ঞানচর্চার জন্য রাখি না। বিজ্ঞানচর্চা নিজেরা করি না তো বটেই - অন্য কেউ করলেও
আমরা সহ্য করি না। বিশেষ করে আধুনিক বিজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিতে পুরাতন
ধ্যান-ধারণা সম্পর্কে প্রশ্ন করলেই তেড়ে মারতে আসার লোকের অভাব নেই আমাদের
বাংলাদেশে। রাষ্ট্রযন্ত্র আধুনিকতার মুখোশ পরে থাকে - কিন্তু মুখশ্রী বদলাতে রাজি
নয় কোনভাবেই। এর মধ্যেও শত প্রতিকূলতা দুহাতে ঠেলে বিজ্ঞানচর্চা করে যাচ্ছেন
অনেকেই। আইনস্টাইন সারাজীবন উৎসাহ দিয়েছেন এসব লড়াকু বিজ্ঞান-সৈনিকদের। আমার
বিশ্বাস আমাদের দেশেও বিজ্ঞান-সৈনিকের সংখ্যা বাড়বে দিনে দিনে, একদিন আমাদের দেশেও
গড়ে উঠবে আইনস্টাইনের মত বিজ্ঞানী। আইনস্টাইনের জীবন থেকে নেয়া আজকের লেখাটি
বাংলার বিজ্ঞান-সেনাদের জন্য।
জীবনবৃত্তান্ত
আইনস্টাইনের
জীবনবৃত্তান্ত বহুল প্রচারিত। আইনস্টাইনই একমাত্র বিজ্ঞানী যাঁর এক বা একাধিক জীবনী
পৃথিবীর প্রায় সবগুলো ভাষাতেই প্রকাশিত হয়েছে। তবে তাঁর প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক
জীবনবৃত্তান্ত রচিত হয়েছিল ১৮৯৬ সালে তাঁর
সতের বছর বয়সে তাঁর নিজের হাতেই। আইনস্টাইন তখন সুইজারল্যান্ডের আরাউ অঞ্চলের আরগাউ
স্কুল থেকে ফেডারেল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তির জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন। স্কুল
কর্তৃপক্ষের কাছে লেখা তার জীবনবৃত্তান্ত ছিল এরকম:
১৮৭৯ সালের ১৪ মার্চ উল্ম শহরে আমার জন্ম। এক বছর বয়সে আমি মিউনিখে
আসি। ১৮৯৪-৯৫ সালের শীতকাল পর্যন্ত আমি মিউনিখেই ছিলাম। সেখানেই আমার ইলিমেন্টারি
স্কুল, তারপর লুটপোল্ড সেকেন্ডারি স্কুলে ক্লাস সেভেনে উঠেছিলাম, কিন্তু শেষ করা
হয়নি। তার আগেই আমি মিলানে চলে গিয়েছিলাম এবং সেখানেই ছিলাম গত বছরের শরৎকাল
পর্যন্ত। নিজে নিজেই পড়াশোনা করেছি মিলানে। তারপর গত বছর শরৎকাল শেষে আমি আরাউ এর
ক্যান্টোনাল স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেছি। বর্তমানে আমি গ্রাজুয়েশান পরীক্ষার প্রস্তুতি
নিচ্ছি। আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হচ্ছে ফেডারেল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে গণিত ও
পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করা।
অনেক বছর পর
১৯৩২ সালে আইনস্টাইন আরেকবার নিজের হাতে লিখেছিলেন নিজের জীবনবৃত্তান্ত। তখন তিনি
অনেক খ্যাতিমান। দশ বছর হয়ে গেছে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন। সারা পৃথিবীর
বিজ্ঞান-জগতে তাঁর নামডাক। ১৮৫টি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়ে গেছে
ইতোমধ্যে। এসময় গ্যোয়েটে'র মৃত্যু শতবার্ষিকী উপলক্ষে জার্মান একাডেমি অব
সায়েন্টিস্ট আইনস্টাইনকে একাডেমির মেম্বারশিপ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আইনস্টাইনও
সম্মত হয়েছেন। কিন্তু সম্মত হয়েই পড়লেন বিপদে। একাডেমির চেয়ারম্যান ইয়া লম্বা এক
ফরম ধরিয়ে দিলেন আইনস্টাইনকে। প্রায় পুরো জীবনবৃত্তান্ত লিখতে হলো ওই ফরম পূরণ
করতে গিয়ে। ধৈর্য সহকারে আইনস্টাইন লিখলেন সব - জন্ম, স্কুল, প্যাটেন্ট অফিসের
টেকনিক্যাল কাজ, উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা, প্রফেশনাল সোসাইটির মেম্বারশিপ সব লিখলেন।
কিন্তু নোবেল পুরষ্কার পাবার কথা উল্লেখ করেননি কোথাও। তবে কি নোবেল পুরষ্কারের
গুরুত্ব তাঁর কাছে খুব একটা ছিল না? নাকি তিনি ভুলেই গিয়েছিলেন নোবেল প্রাপ্তির
কথা? এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানা যায়নি কখনো।
জীবনের
লক্ষ্য
ভবিষ্যৎ
পরিকল্পনা, জীবনের লক্ষ্য ইত্যাদি বিষয়ে আমরা অনেকেই রচনা লিখেছি স্কুলে।
আইনস্টাইনকেও লিখতে হয়েছিল। সেই ষোল বছর বয়সেই আইনস্টাইন জীবনের লক্ষ্য স্থির করে
ফেলেছিলেন এভাবে:
যদি স্কুল
গ্রাজুয়েশান পরীক্ষা পাশ করতে পারি, জুরিখের ফেডারেল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে
ভর্তি হবো। সেখানে চার বছর পড়াশোনা করবো গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে। ভবিষ্যতে আমি
নিজেকে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের তত্ত্বীয় শাখার অধ্যাপক হিসেবে দেখতে চাই। তার পেছনে
অবশ্য কারণ আছে। প্রধান কারণ হলো তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞান ও গাণিতিক ভাবনাগুলো অনেক
বেশি স্বাধীনভাবে করা যায়। তার পরের কারণ হলো ব্যবহারিক বিজ্ঞানে আমার দক্ষতার অভাব।
সর্বোপরি বৈজ্ঞানিক পেশায় এক ধরণের স্বাধীনতা আছে যা আমাকে ভীষণভাবে আগ্রহী করে
তুলেছে সে পেশার প্রতি।
কিন্তু অনেক
বছর ধরে অনেক কষ্টের পরে আইনস্টাইন যখন প্রফেসর হলেন, দেখলেন যেরকম স্বাধীনতা তিনি
আশা করেছিলেন সেরকম স্বাধীনতা নেই সেখানে। একাডেমিক জগতেও আছে পদোন্নতির
ইঁদুর-দৌড়, 'পাবলিশ অর পেরিশ' এর খড়গ। ১৯২৭ সালে বার্লিন ইউনিভার্সিটিতে ম্যাক্স
প্ল্যাংকের প্রফেসর পদ খালি হলে সেই পদ লাভের জন্য প্রফেসরদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে
যায়। তখন আইনস্টাইন তাঁর বন্ধু পল ইরেনফেস্টকে চিঠি লিখে জানিয়ে দিলেন - আমি
ভাই ওসবে নেই। বড় বড় মস্তিষ্কের প্রতিযোগিতায় যাবার আর কোন ইচ্ছেই আমার নেই। এরকম
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ আমার কাছে অর্থ বা ক্ষমতা লাভের জন্য যুদ্ধ করার মতই হীন
মনে হয়।
প্যাটেন্ট
অফিসে কাজ করার সময় পদোন্নতির জন্য দু'বার দরখাস্ত করেছিলেন আইনস্টাইন। একবারও সফল
হননি। বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেয়ার পর আর কখনো পদোন্নতির জন্য আবেদন করেননি কোথাও।
গবেষণাপত্র প্রকাশের প্রচলিত পদ্ধতিও পছন্দ করেননি তিনি। আমেরিকায় যাবার পর
ফিজিক্যাল রিভিউতে একটা পেপার পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু যখন দেখলেন রিভিউয়াররা লেখককে
পরামর্শ দিচ্ছেন কোন্ প্রসঙ্গ কীভাবে লেখা উচিত - আইনস্টাইন বিরক্ত হলেন। তিনি আর
কখনো কোন গবেষণাপত্র প্রকাশ করেননি ফিজিক্যাল রিভিউতে।
প্রথম
সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রি
১৯০৯ সালে
ইউনিভার্সিটি অব জেনেভা'র ৩৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একশ জন উদীয়মান
প্রতিভাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আইনস্টাইনের
নামও সেই একশ' জনের তালিকায় ছিল। আইনস্টাইন এসবের কিছুই জানতেন না। তাঁর প্রধান
আবিষ্কারের পেপারগুলো যদিও প্রকাশিত হয়েছে ১৯০৫ সালে কিন্তু তখনো ওগুলো তেমন আলোড়ন
তৈরি করেনি। আইনস্টাইন তখনো প্যাটেন্ট অফিসেই কাজ করছেন। এসময় একটা বড় খামে অনেক
কাগজপত্র এসে পৌঁছালো তাঁর অফিসে। আইনস্টাইন খাম খুলে দেখেন বেশ সুদৃশ্য টাইপে
ছাপানো বেশ কিছু কাগজপত্র। তাঁর মনে হলো ল্যাটিন ভাষায় লেখা কোন বিজ্ঞাপন। অপ্রয়োজনীয়
মনে করে তিনি না পড়েই কাগজপত্রসহ খামটি ফেলে দিলেন বাতিল কাগজের স্তুপে।
ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ আইনস্টাইনের কাছ থেকে কোন সাড়া না পেয়ে আইনস্টাইনের বন্ধু
লুসিয়েন কাফানের সাথে যোগাযোগ করলো। লুসিয়েন জরুরি ভিত্তিতে আইনস্টাইনকে ডেকে নিয়ে
গেলেন জেনেভায় নির্দিষ্ট দিনে, কিন্তু ইউনিভার্সিটির ডিগ্রির ব্যাপারে কিছুই জানাননি।
জেনেভায় গিয়ে
আইনস্টাইন দেখলেন জুরিখ ইউনিভার্সিটির অনেক প্রফেসর সেখানে উপস্থিত। জানা গেলো জেনেভা
বিশ্ববিদ্যালয় তাঁদের সম্মানসূচক ডিগ্রি দিচ্ছেন। আইনস্টাইনও যে ডিগ্রি পাচ্ছেন তা
তাঁরা জানেন, কিন্তু আইনস্টাইন নিজে তা জানেন না। যখন জানলেন তখন অনেক দেরি হয়ে
গেছে। কারণ সমাবর্তনের একাডেমিক শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণের আনুষ্ঠানিক পোশাক তার নেই।
তিনি ভাবলেন কেটে পড়বেন, ডিগ্রি নেবেন না। কিন্তু তাঁর বন্ধু ও প্রফেসররা তা হতে
দিলেন না। আইনস্টাইন শোভাযাত্রায় অংশ নিলেন তাঁর আটপৌরে কুচকানো কোট আর খড়ের টুপি
পরে। পুরো সমাবর্তনে আইনস্টাইনই ছিলেন একমাত্র অনানুষ্ঠানিক। আরো মজার বিষয় হলো -
আইনস্টাইনের এই প্রথম সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রির সনদে তাঁর নামের বানান ছিল ভুল।
প্যাঁচানো অক্ষরের ফরাসি ভাষায় তাঁর নাম লেখা ছিল 'আলবার্ট টাইনস্টাইন'।
আইনস্টাইন
জীবনে অসংখ্য সম্মাননা, পুরষ্কার, সনদপত্র পেয়েছেন। কিন্তু একটি মাত্র সনদ ছাড়া আর
কোন সনদই তিনি বাঁধিয়ে রাখেননি বা প্রদর্শন করেননি। সবগুলো সম্মাননা সনদই তিনি
ফেলে রাখতেন ঘরের এক কোণে, অনেকটা লুকিয়ে। নোবেল পুরষ্কারের সনদও লুকিয়ে ছিল সেই
নিভৃত কোণে। যে সনদটি তিনি তাঁর অফিসের দেয়ালে বাঁধিয়ে রেখেছিলেন তা ছিলো ১৯৩৬
সালে বার্ন সায়েন্টিফিক সোসাইটি যে ডিপ্লোমা সনদটি তাঁকে পাঠিয়েছিল। এই সনদটি পেয়ে
তিনি এত খুশি হয়েছিলেন যে তাঁর উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছিল বার্ন সায়েন্টিফিক সোসাইটিকে
লেখা তাঁর ধন্যবাদ পত্রে: বার্ন সায়েন্টিফিক সোসাইটি যে
আমাকে মনে রেখেছে তার জন্য আমি যে কী পরিমাণ খুশি হয়েছি তা বোঝানোর ভাষা আমার নেই।
এই সনদটি মনে হচ্ছে আমার অনেক দিন আগে ফেলে আসা যৌবনের স্মৃতি। মনে হচ্ছে আমি যেন
ফিরে যাচ্ছি আমার যৌবনের সেইসব বিকেলগুলোতে।
আইনস্টাইন
তখন প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, কিন্তু মন যে পড়ে আছে ইউরোপে যেখানে তাঁর
জন্ম, বেড়ে ওঠা, সংগ্রাম, সাফল্য।
বিজ্ঞান
ঈশ্বরের দান!
যে কোন বড়
বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারকে ঈশ্বর-বিশ্বাসীরা শুরুতে 'ঈশ্বর-বিরোধী' কাজকর্ম বলে
অপপ্রচার চালিয়ে বাধাগ্রস্ত করে তুলতে সচেষ্ট হয়। তাতে ব্যর্থ হবার পর উল্টোগীত
গাইতে শুরু করে এই বলে যে এসব আবিষ্কারের কথা ধর্ম-গ্রন্থগুলোতে কত আগে থেকেই
গ্রন্থিত হয়ে আছে। এসব আবিষ্কার তো ওখান থেকেই টুকলিফাই করা। আইনস্টাইনের থিওরি অব
রিলেটিভিটি নিয়ে এরকম কচলানো শুরু হয়েছিল আইনস্টাইনের জীবদ্দশাতেই।
আইনস্টাইন
প্রিন্সটনের এডভান্সড রিসার্চ সেন্টারে অধিষ্ঠিত হবার পর মিডিয়ার কল্যাণে দ্রুত
পরিচিতি লাভ করেন সবার কাছে। প্রতিদিন শত শত চিঠি আসতে থাকে তাঁর কাছে। কত রকম
আলোচনা, সমালোচনা, আবদার, প্রশ্ন, অনুরোধ, ভালোবাসা, ঘৃণা সেসব প্রশ্ন জুড়ে।
আমেরিকান ইহুদিরা প্রচারে লেগে গেলেন যে আইনস্টাইন তাঁদেরই লোক। আইনস্টাইনের থিওরি
অব রিলেটিভিটির ওপর যে তাঁদের ধর্মের বিরাট প্রভাব আছে তা ব্যাখ্যা করার জন্য
রাবাইরা উঠেপড়ে লাগলেন। শিকাগোর এক রাবাই "দি রিলিজিয়াস ইমপ্লিক্যাশান্স
অব দি থিওরি অব রিলেটিভিটি" শিরোনামে এক লেকচার তৈরি করে ফেললেন। তাতে
আইনস্টাইনের স্বীকৃতি লাভ করার জন্য এই রাবাই আইনস্টাইনকে চিঠি লিখে জানালেন তাঁর
লেকচারের বিষয়ে।
ধর্মের
স্বার্থে বিজ্ঞানের অপব্যাখ্যায় আইনস্টাইন ভীষণ বিরক্ত হতেন। ১৯৩৯ সালের ২০
ডিসেম্বর তিনি রাবাইকে চিঠি লিখে জানালেন: আমি বিশ্বাস
করি না যে আমার আপেক্ষিকতা তত্ত্বের মূল ধারণার কোন অংশই ধর্মের সাথে সম্পর্কযুক্ত
বলে দাবি করা যায়। কারণ ধর্মের ধারণা বিজ্ঞানের ধারণা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
যৌক্তিক পৃথিবীতে শুধুমাত্র সাধারণ যুক্তির ধাপগুলো সম্পন্ন করেই এক কাজের সাথে
অন্য কাজের যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যায়, তাতে ধর্মকে টেনে আনার দরকার হয় না।
ভাগ্যবান
আইনস্টাইন
আইনস্টাইনের
৫০তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে কার্ড পাঠিয়েছেন সিগমন্ড ফ্রয়েড। কার্ডে ফ্রয়েড
আইনস্টাইনকে সম্বোধন করেছেন 'ইউ লাকি ওয়ান' বলে। আইনস্টাইন বুঝতে পারছিলেন না
ফ্রয়েডের মত খ্যাতিমান মানুষ কেন তাঁকে ভাগ্যবান বলে মনে করবেন?
ফ্রয়েডকে
চিঠি লিখলেন আইনস্টাইন - মহোদয়, আমাকে মনে রাখার জন্য ধন্যবাদ। আপনি আমার
ভাগ্যের উপর এত জোর দিচ্ছেন কেন? আপনি যেখান এত মানুষের মনের খবর জানতে পারেন,
সমগ্র মানবজাতি যেখানে আপনাকে মনে রাখছে - সেখানে আপনার তুলনায় আমি কীভাবে
ভাগ্যবান হই?
উত্তরে
ফ্রয়েড লিখলেন - পদার্থবিজ্ঞান সম্পর্কে যাদের গভীর ধারণা নেই তারা কখনো সাহস
পাবে না তোমার কাজের সমালোচনা করার, অথচ আমাকে দেখো - মনোবিজ্ঞান সম্পর্কে যারা
কিছুই জানে না তারাও আমার কাজের বড় সমালোচক। এক্ষেত্রে তুমি ভাগ্যবান নও?
it was my pleasure to read about einstein ! great work don by pradin sir ! i appreciate !
ReplyDeleteThank you for reading.
Delete