১৯১৪ সালের গ্রীষ্মকালে মাদাম কুরি লা’আরকোয়েস্টের সমুদ্রের তীরে একটি বাসা ভাড়া করেন। ঐ জায়গাটা সমুদ্রের তীরে ছোট্ট একটা জেলে-পল্লী। সরবোন ইউনিভার্সিটির প্রফেসররা জায়গাটা এত পছন্দ করতেন যে ওখানকার সৈকতের নামই হয়ে গেল সরবোন বিচ। ছোট ছোট মাছ ধরার নৌকায় চড়ে মাছ ধরতে পছন্দ করতেন অনেকে।
১ম বিশ্বযুদ্ধের পাঁয়তারা চলছে ইউরোপে। মাদাম মেয়েদের নিরাপত্তার খাতিরে আইরিন আর ইভকে গভর্নেসের সাথে লা’আরকোয়েস্টের বাসায় পাঠিয়ে দিলেন। আইরিন ও ইভ সেখানে সমুদ্রের তীরে ঘুরে বেড়ায়। সন্ধ্যাবেলা বসে গভীর মনযোগে পড়াশোনা করে। সরবোন ইউনিভার্সিটিতে বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে সে।
যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। মেরি কুরি প্যারিস থেকে আইরিনকে চিঠি লিখলেন, “মনে হচ্ছে অবস্থা আরো খারাপ হবে। আইরিন, আমাদের দেশের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য তৈরি থাকতে হবে।”
সেপ্টেম্বরে জার্মানি বেলজিয়াম আক্রমণ করলো। সেখান থেকে প্যারিসের দিকে আসতে শুরু করলো। লা’আরকোয়েস্টে আইরিন ও ইভকে পোলিশ ভাষায় কথা বলতে শোনার পর অনেকে তাদেরকে জার্মান স্পাই সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলো। তাতে আইরিন খুবই মন খারাপ করে মাকে চিঠি লিখলো - “আমাকে যারা জার্মান স্পাই বলছে তারা ফ্রান্সকে যতটুকু ভালোবাসে তাদের চেয়ে কোন অংশে কম ভালোবাসি না আমি ফ্রান্সকে। ফ্রান্স আমার জন্মভূমি। সবকিছুর চেয়েও বেশি আমি ফ্রান্সকে ভালোবাসি। আর আমাকেই কিনা বলে জার্মান স্পাই! মা, আমি প্যারিসে ফিরতে চাই এখনই।”
উত্তরে মেরি লিখলেন - “আইরিন, তুই যদি এখন ফ্রান্সের জন্য কাজ করার সুযোগ না পাস - ভবিষ্যতের ফ্রান্সের জন্য কাজ করার প্রস্তুতি নিতে থাক। এই যুদ্ধে হয়তো ফ্রান্সের অনেককেই আমরা হারিয়ে ফেলবো। তখন তাদের জায়গায় তোদেরকেই কাজ করতে হবে। মন দিয়ে ফিজিক্স আর ম্যাথ্স পড়তে থাক।”
তার দু’সপ্তাহ পর আইরিন আর ইভকে প্যারিসে নিয়ে এলেন মাদাম কুরি। যুদ্ধের সময় রেডিয়াম ইনস্টিটিউটের তেজষ্ক্রিয় রেডিয়াম যদি জার্মান সৈন্যরা পায় তাহলে খুব ক্ষতি হয়ে যাবে। মাদাম নবনির্মিত রেডিয়াম ইনস্টিটিউট রক্ষা করার প্রস্তুতি নিতে লাগলেন। আইরিন যথাসম্ভব সাহায্য করছিল মায়ের কাজে।
যুদ্ধের প্রথম দশ দিনের মধ্যেই প্রায় তিন লাখ ফরাসি সৈন্য নিহত হয়, আহত হয় আরো বেশি। যুদ্ধাহত সৈনিকদের শরীর থেকে বুলেট বের করে আনতে আর্মি-সার্জনদের অনেক সমস্যা হয়। শরীরের নানা জায়গায় অস্ত্রোপচার করতে হয় - ফলে অনেক সময় সৈন্যদের প্রাণ বাঁচানো যায় না। মাদাম কুরি একটা উপায় বের করলেন। শরীরে বুলেটের অবস্থান নির্ণয় করার জন্য এক্স-রে ব্যবহার করা যায় কিনা দেখলেন তিনি।
এক্স-রে’র বয়স তখন মাত্র পনেরো বছর। এক্স-রে তৈরি ও রেডিওগ্রাফ প্রযুক্তির সূচনা হয়েছে মাত্র। মাদাম কুরি মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং ও হেল্থ ইউনিটকে কাজে লাগিয়ে বিশটি এক্স-রে ইউনিট তৈরি করালেন। দুর্গম যুদ্ধক্ষেত্রের অস্থায়ী হাসপাতালে বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে না। মেরি কুরি বিশটি ছোট ট্রাকের মধ্যে জেনারেটর সহ এক্স-রে ইউনিট বসিয়ে এরকম হাসপাতালে সরবরাহ করার ব্যবস্থা করলেন।
যুদ্ধাহতদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য ফরাসি মেয়েরা নার্সিং ট্রেনিং নিচ্ছিলো। আইরিনও নার্সিং ট্রেনিং নিলো। ইতোমধ্যে মাদাম গাড়ি চালানো শিখে নিয়েছেন। আইরিনকে সাথে নিয়ে নিজে ভ্রাম্যমান এক্স-রে ইউনিট চালিয়ে দুর্গম হাসপাতালে পৌঁছে যান তিনি। এক্স-রে মেশিন সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক জ্ঞান তিনি আইরিনকে দেন গাড়ি চালাতে চালাতেই। আইরিন দ্রুত শিখে নেয় সব।
এক্স-রে ইউনিট নিয়ে কাজ করছেন মেরি ও আইরিন কুরি |
জটিল সার্জিক্যাল কেস এলেই মাদাম কুরির ডাক পড়ে। একবার এরকম এক ব্যারাকের হাসপাতালে যাবার সময় চেকপোস্টে মিলিটারিরা মাদামের গাড়ি থামায়। একজন সার্জেন্ট গাড়ির কাছে এসেই মাদামকে চিনতে পারে। স্যালুট দিয়ে বলে, “এতো আমাদের মাদাম কুরি আর লিটল কুরি”। আইরিন ভাবলো সার্জেন্ট তাকেই ‘লিটল কুরি’ বলেছে। কিন্তু মাদাম বললেন, “আমার গাড়িগুলোকে তারা লিটল কুরি বলে ডাকে”।
১৯১৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর আইরিনের বয়স আঠারো হবার পর মাদাম তাকে কয়েকটা এক্স-রে ইউনিটের দায়িত্ব দিয়ে দিলেন। এক্স-রে ইউনিট বসানো, সার্জনকে রোগীর এক্স-রে নিতে সাহায্য করা, সৈনিকদের এক্স-রে মেশিন চালানোর ট্রেনিং দেয়া সব করতে লাগলো আইরিন একা। যুদ্ধাহত সৈনিকেরা পরমা সুন্দরী আইরিনকে সত্যি সত্যিই গ্রিক শান্তির দেবী ‘আইরিন’ হিসেবেই দেখতে শুরু করলেন।
আমেরিকান সৈন্যরা ফ্রান্সে এসেছে যুদ্ধে সহায়তা করার জন্য। তারাও যোগ দেয় আইরিনের ট্রেনিং ক্লাসে। তরুণ সৈন্যরা আইরিনকে দেখে চোখ ফেরাতে পারে না। তাদের মধ্যে হুড়োহুড়ি লেগে যায় আইরিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। কিন্তু স্বভাব-গম্ভীর আইরিন ট্রেনিং দেবার সময় প্রয়োজনের অতিরিক্ত একটা শব্দও উচ্চারণ করে না।
যুদ্ধ চলাকালীন সময়েই ফরাসি সৈনিকেরা বুঝতে পেরেছেন মাদাম কুরি ও রেডিয়াম ইনস্টিটিউটের গুরুত্ব কতখানি। তারা রেডিয়াম ইনস্টিটিউটকে সম্ভাব্য আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য চারপাশে বালির বস্তা দিয়ে বাংকার তৈরি করে ট্যাংক নিয়ে পাহারা বসালো। সুন্দর নতুন বিল্ডিং-এর চারপাশে এরকম বিশ্রী বালির বস্তা দেখে আইরিনের মন খারাপ হয়ে গেল। সে বালির বস্তার ওপর সুন্দর করে ফুলের টব বসিয়ে দিলো।
১৯১৮ সালে যুদ্ধ শেষ হবার পর আইরিনকে মিলিটারি মেডেল প্রদান করা হয় যুদ্ধে তার অবদানের জন্য। কিন্তু মাদাম কুরিকে কোন রাষ্ট্রীয় সম্মান দেয়া হলো না।
কিছুদিন পর সরবোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে আইরিন। আরো দু’বছর পর পদার্থবিজ্ঞান ও গণিতে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন আইরিন।
আইরিন তেজষ্ক্রিয়তার ধর্ম সংক্রান্ত বিজ্ঞানকে ভালোবেসে ফেলেছেন। মা মাদাম কুরি আইরিনকে তাঁর সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রেডিয়াম ইনস্টিটিউটে। গবেষণা বেশ ভালো লাগতে শুরু করেছে তাঁর। তেজষ্ক্রিয় বস্তুর আভা দেখে বাচ্চা মেয়ের মত খুশি হয়ে উঠেন আইরিন। বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের গুরুত্বের চেয়েও আবিষ্কারের আনন্দটা অনেক বেশি দরকারি তাঁর কাছে। প্রতিযোগিতা ও সাফল্যে কিছু যায় আসে না তাঁর। বাবার পর্যায়ের কাজ তিনি করতে পারবেন কিনা সে ব্যাপারে কোন মাথাব্যথা তাঁর কখনোই ছিল না। তবে বাবার মত আইরিন বিজ্ঞান পড়েন প্রকৃতিকে জানার আনন্দে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভালোভাবে উপভোগ করার জন্য।
সেই সময় রেডিয়াম ইনস্টিটিউটে চল্লিশ জন গবেষক কাজ করছেন। রেডিয়াম ইনস্টিটিউট সারা পৃথিবীর সেরা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের একটি। পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে গবেষকরা এসে রেডিয়াম ইনস্টিটিউটে কাজ শেখেন। পোল্যান্ড থেকে প্রতি বছর কমপক্ষে একজন গবেষক আসেন এখানে। পোল্যান্ড সরকার যদি বৃত্তি না দেয় - তাহলে মাদাম কুরি নিজে বৃত্তির ব্যবস্থা করে নিয়ে আসেন পোল্যান্ডের গবেষক। মাদাম কুরি মাতৃভূমির ঋণ শোধ করছেন যেভাবে পারেন।
গবেষণাগারে আইরিন |
সহকর্মীদের সাথে ল্যাবে কাজ করার সময় আইরিন ভীষণ কড়া। জ্ঞানে এবং শারীরিক দক্ষতায়ও তিনি সবার চেয়ে এগিয়ে। ২৫ বছর বয়সেই তিনি অনেক বেশি জানেন। কিন্তু সামাজিক মেলামেশায় অভ্যস্ত না হবার কারণে তাঁর কথাবার্তা ভীষণ চাঁছাছোলা। তিনি কোদালকে শুধু কোদালই বলেন না - কোদালের খুঁত থাকলে তাও বলেন। বাড়ির লোকের সাথে মাঝে মাঝে হাসলেও - বাইরের কারো সামনে কখনোই হাসেননি আইরিন। অনেকে আইরিনকে অহংকারী ভেবে ভুল বোঝেন। ঈর্ষাতুর অনেকে মনে করেন ডিরেক্টরের মেয়ে হবার কারণে আইরিন ডাঁট দেখান। আড়ালে অনেকে তাঁকে ‘প্রিন্সেস’ বলেও ডাকেন। কিন্তু আইরিনের কিছুতেই কিছু যায় আসে না। আইরিন জানেন তাঁর বৈজ্ঞানিক ক্ষমতা কতটুকু। কিন্তু সে নিয়ে কোন অহংকার তাঁর নেই।
আইরিনকে কখনো কোন বিষয় নিয়ে রাগতে দেখেনি কেউ। আইরিন জীবনে কোনদিন মিথ্যা কথা বলেননি, কোনদিন কাউকে ইম্প্রেস করতে চান নি। তিনি যা তিনি তাই।
মায়ের সাথে ল্যাবরেটরিতে আইরিন |
মেরি কুরির সাথে কাজ করতে গিয়ে আইরিন শুধুমাত্র কন্যা, সহকর্মী বা সহযোগী নন, তারচেয়েও অনেক বেশি। বাইরের পৃথিবী মাকে যে এত কষ্ট দিয়েছে তা ভোলেননি আইরিন। আস্তে আস্তে আইরিন দুটো আলাদা মানুষে পরিণত হয়ে গেছেন। প্রকাশ্যে তিনি রিজার্ভ, গম্ভীর এবং মোটেও বন্ধুত্বপূর্ণ নন। কিন্তু পরিবারের মধ্যে তিনি শান্ত, রিলাক্সড। এমন কি মাঝে মাঝে হাসেনও। নিজে নিজে কাঁদতেও পারেন কষ্ট হলে। কিন্তু সবার সামনে অদ্ভুত শান্ত আইরিন। নিজের যেসবে আগ্রহ নেই সেসব এড়িয়ে চলেন অবলীলায়।
মেরি আইরিনের মাঝে পিয়েরকে খুঁজে পেয়েছেন। আইরিনের স্বভাব অনেকটাই তার বাবার মত। আইরিনের সাথে কাজ করতে গিয়ে মেরির প্রায়ই মনে হয় যেন পিয়েরের সাথেই কাজ করছেন যেমন করেছিলেন রেডিয়াম আবিষ্কারের সময়। ক্রমে ক্রমে আইরিন হয়ে ওঠেন মেরির অবলম্বন। মেরিকে সারাক্ষণ আগলে রাখেন তিনি।
১৯২১ সালের মে মাসে মায়ের সাথে আমেরিকায় যান আইরিন কুরি। ১৯১৯ সাল থেকেই আমেরিকান সাংবাদিক ও নারী উন্নয়ন কর্মী মেসি মেলোনি মাদাম কুরিকে আমেরিকায় নিয়ে গিয়ে সংবর্ধনা দেবার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু মেরি তাঁর মেয়েদের ছাড়া আমেরিকা যেতে রাজি হচ্ছিলেন না। পরে মেলোনি তিন কুরিকেই আমেরিকায় নিয়ে যাবার ব্যবস্থা করলেন। মেলোনি নিজে প্যারিসে এসে মেরি, আইরিন আর ইভকে সাথে নিয়ে গেলেন।
‘অলিম্পিক’ নামক বিলাসবহুল জাহাজে চড়ে তাঁরা আটলান্টিক পাড়ি দিলেন। নিউইয়র্কের ডকে শত শত মানুষ মাদাম কুরিকে অভ্যর্থনা জানাতে আসেন। আমেরিকান-পোলিশ সংগঠনের তিনশ’ মেয়ের একটি দল গোলাপ ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেয় মেরি, আইরিন ও ইভকে।
অলিম্পিক জাহাজে আইরিন, মেরি ও ইভ কুরি |
আমেরিকান সাংবাদিকরা ছেঁকে ধরলো তাঁদের। মাদাম কুরি ও আইরিনের মিডিয়াভীতি আছে, কিন্তু সপ্তদশী প্যারিস-সুন্দরী ইভ সপ্রতিভভাবে সাংবাদিকদের সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আমেরিকান মিডিয়াতে ‘রেডিয়াম গার্ল’ হয়ে গেলেন।
হোয়াইট হাউজের সংবর্ধনায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ওয়ারেন হার্ডিং আমেরিকান জনগণের পক্ষ থেকে উপহার স্বরূপ এক গ্রাম রেডিয়াম তুলে দেন মাদাম কুরির হাতে। আমেরিকার অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় মাদাম কুরিকে সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদান করলো।
অশক্ত শরীরে ভ্রমণ ও নানারকম অনুষ্ঠানের ধকল সহ্য করতে পারছিলেন না মাদাম কুরি। আইরিন সারাক্ষণ মায়ের পাশে আছেন। ফিলাডেলফিয়াতে গিয়ে মাদাম অজ্ঞান হয়ে গেলেন। শরীর এতই খারাপ হয়ে গেলো যে পরের দিন পেনসিলভেনিয়া ইউনিভার্সিটির অনুষ্ঠানে যেতে পারলেন না। সেখানে মাদাম কুরির পক্ষে ‘ডক্টর অব ল’ ডিগ্রি গ্রহণ করলেন আইরিন কুরি। ইউনিভার্সিটি অব পিট্সবার্গেও মাদাম কুরির বদলে আইরিন কুরি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন। মাস খানেক পর প্যারিসে ফিরে এলেন তাঁরা।
রেডিয়াম ইনস্টিটিউটে মায়ের তত্ত্বাবধানে ডক্টরেট ডিগ্রির জন্য গবেষণা শুরু করলেন আইরিন। মায়ের আবিষ্কৃত পোলোনিয়াম থেকে যে আলফা পার্টিক্যাল বের হয় তার ধর্ম বিশ্লেষণ শুরু করলেন তিনি। তাঁর গবেষণার মূল প্রতিপাদ্য হলো পদার্থের ভেতর দিয়ে যাবার সময় আলফা পার্টিক্যল কেন গতি হারায় এবং কীভাবে গতি হারায় তা খুঁজে বের করা। ১৯২১ সালে আইরিন কুরির প্রথম গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। ইনস্টিটিউটের চিফ অব স্টাফ ফারনান্দ হলউইকের সাথে একের পর এক পরীক্ষণ চলতে থাকে আইরিনের।
No comments:
Post a Comment