৩০ জুলাই ১৯৯৮ বৃহস্পতিবার
“কোন্ কাজ করিলে কী ফল হয়” নামে একটা চটি-বই হাতে এসেছিল ক্লাস এইটে পড়ার সময়। সেখানে বিচিত্র সব প্রশ্নোত্তর ছিল। কিছু কিছু প্রশ্নোত্তর যদিও আমার তখনকার বোধের বাইরে ছিল, তবুও বেশ মজা পেয়েছিলাম বইটা পড়ে। সেখানে হাঁচি
প্রসঙ্গে তথ্য ছিলঃ যাত্রাকালে একটা হাঁচি দিলে যাত্রানাস্তি হয়। শুভকাজে একটা
হাঁচি অমঙ্গলের লক্ষণ। পরপর দুটো হাঁচি দিলে ফল আবার শুভ হয়। পরপর তিনটা বা চারটা হাঁচি
দিলে কী হয় তা বইটাতে লেখা ছিল না। দিদিকে জিজ্ঞেস করলে সে বিজ্ঞের মত উত্তর
দিয়েছিল- “এটা হলো অড আর ইভেন নাম্বারের ব্যাপার। বেজোড় সংখ্যক হাঁচি অশুভ, আর জোড়
সংখ্যক হাঁচি শুভ”। ‘শুভ-অশুভ’ নামক শব্দগুলোর কোন প্রভাব নেই আমার
জীবনে। থাকলে গত ছত্রিশ
ঘন্টার হাঁচির হিসেব
করার জন্য কাগজ-কলম লাগতো।
ব্যাপারটা
শুরু হয়েছে পরশু
মধ্যরাত থেকে। চার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে কার্লটন
সেমিট্রির শেষ প্রান্ত পর্যন্ত যাওয়া-আসাটা একটু বেশি হয়ে গেছে। ভেবেছিলাম একটা লম্বা
ঘুম দিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু হয়নি। শরীরের তাপমাত্রা বেড়েছে ইচ্ছেমত।
নাক-চোখ দিয়ে পানির সাথে একটু পর-পরই হাঁচি; নাকে-মুখে গামছা চেপেও চাপা যায় না।
অনেক দিন পর পুরো একটা দিন দুটো রাত কেটে গেলো বিছানায়।
আজ
সকাল ন’টার দিকে অফিসে ঢোকার সময় কেনের সাথে
‘গুড মর্নিং’ বিনিময় হলো। গতকাল যে আসিনি সে ব্যাপারে কিছুই বললেন
না। হয়তো খেয়ালও করেননি। পিটারকে দেখলাম ব্যস্তভাবে কেনের রুমে যাওয়া আসা করছেন।
গবেষণার কোন টার্নিং পয়েন্টে আছেন হয়তো।
লেসের
ক্লাসটা করার পর ইউনিয়ন হাউজে গেলাম। কাল থেকে খাওয়া হয়নি কিছুই। ফুডকোর্টে মালয়েশিয়ান
কাউন্টার থেকে স্টিম রাইস আর হট চিকেন নিয়ে দেয়ালের পাশে একটা খালি টেবিলের দিকে
এগোচ্ছি এমন সময় “হাই”। ফিরে তাকাতেই চিনতে পারলাম- কারস্টিন। হাসিমুখে এগিয়ে
আসছে।
“রিমেম্বার মি?”
“ইয়েস। হাউ আর ইউ কারস্টিন?”
“গুড। হাউ আর ইউ?”
কারস্টিনের
মুখ দেখে বুঝতে পারছি সে আমার নাম মনে করার চেষ্টা করছে। নাম ভুলে যাওয়াটা
স্বাভাবিক। আমারও অনেক মানুষের চেহারা মনে থাকে কিন্তু নাম মনে থাকে না।
কারস্টিনের নামটা কেন যেন মনে রয়ে গেছে। আজ তার সাথে লুসি নেই। হয়তো স্বামীর কাছে
রেখে এসেছে।
“লেট মি গেট সামথিং টু ইট” বলে খাবারের দোকানগুলোর দিকে এগিয়ে গেল কারস্টিন।
আমি একটা খালি টেবিলে বসে খেতে শুরু করলাম। লাঞ্চ আওয়ারে ভিড় জমে উঠছে। মালয়েশিয়ান
চিকেন খুব মজা হবার কথা। কিন্তু আমার খুব একটা ভাল লাগছে না। মনে হচ্ছে মুখের
স্বাদ নষ্ট হয়ে গেছে।
“হোয়াট ইউ ইটিং?”
কারস্টিন
ফিরে এসেছে। হাতের প্লেট টেবিলে রেখে চেয়ার টেনে বসলো আমার মুখোমুখি। বললাম “মালয়েশিয়ান রাইস এন্ড চিকেন। তুমি কি
খাচ্ছো?”
“ইটালিয়ান পাস্তা”
কারস্টিনের
সামনে বসে খেতে আমার অস্বস্তি হচ্ছে। হাঁচি পাচ্ছে। নাকে মুখে দ্রুত রুমাল চাপা
দিয়ে হাঁচির শব্দ কমালাম।
“ব্লেস ইউ”
“থ্যাংক ইউ”
কেউ
হাঁচি দিলে কী কারণে ‘ব্লেস ইউ’ বলতে হয় জানি না। ব্যুৎপত্তিগত কারণ নিশ্চয় কিছু একটা
আছে।
“মেলবোর্নের আবহাওয়া খুব বাজে তাই না?”
“ঠিক তাই”
কারস্টিনের
উপস্থিতি ভালো লাগছে, আবার অস্বস্তিও হচ্ছে। বুঝতে পারছি আমার সাথে কথা বলার মতো
কোন প্রসঙ্গ তার নেই। তাই আবহাওয়া প্রসঙ্গই ভরসা।
“তোমাদের ইন্ডিয়ায় এখন খুব গরম না?”
“হ্যাঁ ইন্ডিয়ায় এখন খুব গরম, তবে আমি
ইন্ডিয়া থেকে আসিনি। আমি বাংলাদেশী”
“হ্যাঁ মনে পড়ছে তুমি বলেছিলে।”
মুখে
বলছে বটে, কিন্তু আমি জানি আমার চেহারাটা ছাড়া আমার সম্পর্কে তেমন আর কিছুই মনে
নেই কারস্টিনের।
“হ্যাল্লো, হিয়ার ইউ আর” বলতে বলতে তিনজন ছেলে এসে ঘিরে ধরলো
কারস্টিনকে। দুপুরের এ সময়ে এখানে টেবিল খালি পাওয়া মুশকিল। আমাদের টেবিলে দুটো
চেয়ার খালি ছিল। তিনজনের দু’জন বসে গেল
চেয়ার দুটোতে। তিনজনই হৈ হৈ করে কারস্টিনের সাথে কথা বলছে। আমার উপস্থিতির কোন প্রভাব
নেই এদের কাছে। কারস্টিন হয়তো এদের জন্যই অপেক্ষা করছিল। নিজেকে কেমন যেন আনফিট
মনে হলো। এখান থেকে সরে পড়াটাই উত্তম। বললাম, “আই নিড টু গো, সি ইউ লেইটার”। কারস্টিন হাসিমুখে বললো- “বাই”।
কেন্
তাঁদের থার্সডে লাঞ্চ থেকে ফিরে আসার আগেই আমি বেরিয়ে পড়লাম। সেফওয়েতে গিয়ে দুটো
নন্স্টিক পট-প্যান কিনে ফেললাম। দুটো পাত্রের জন্য তিরিশ ডলার খরচ করতে গায়ে
লাগলেও করার কিছু নেই। ফিলের জিনিস আর ব্যবহার করবো না।
বাসার
সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় দেখলাম সিঁড়ির নিচের একটুকুন জায়গায় গায়ের সাথে গা লেপ্টে
মুখে মুখ লাগিয়ে বসে আছে স্কুল ড্রেস পরা একটা মেয়ে আর একটা ছেলে। মেয়েটার মুখের
এক পাশ দেখে চেনা চেনা লাগলো। এই শ্যামলা মেয়েটিকে আগে কোথাও দেখেছি। দাঁড়িয়ে ভালো
করে দেখার ইচ্ছে থাকলেও দেখা অসম্ভব। কারণ এই সভ্য দেশে তারা যা করছে তা সভ্যতা,
কিন্তু তাদের দিকে ভালো করে তাকানোটা নাকি অসভ্যতা।
রুমে
ঢুকে জানালার কাছে এসে বাইরের দিকে তাকালাম। পার্কিং এরিয়ার পাশ দিয়ে পাশাপাশি
হেঁটে যাচ্ছে একটু আগের দেখা ছেলে-মেয়ে দুটো। মেয়েটার হাঁটার ভঙ্গি দেখেই মনে
পড়লো। বাসা দেখতে আসার দিন বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে এই মেয়েটি আমাকে পথ দেখিয়েছিলো।
যাকে আমার পথের পাঁচালীর দুর্গা মনে হয়েছিল। বারো-তেরো বছরের একটা কিশোরী।
স্থান-কালের সাথে কীভাবে বদলে যায় মানুষের স্বভাব, সংস্কৃতি।
সাতটার
পরে রান্নাঘরে ঢুকেছি। বসার ঘর আর রান্নাঘরের দরজা আলাদা করে দিয়ে ফিল একটা ভালো
কাজ করেছেন। বসার ঘরে কী হচ্ছে তা আর আমাকে দেখতে হবে না। রান্নাঘরের কাজ এখন
আধঘন্টার মধ্যেই হয়ে যায়। সপ্তাহে তিন দিনের বেশি ঢুকতেও হয় না রান্নাঘরে। নতুন
ডেক্চিতে ভাতের সাথে ডিম সিদ্ধ করতে দিয়ে সব্জি কাটছি- এমন সময় নাকে সিগারেটের
গন্ধ লাগতেই বুঝলাম ফিল বা ডেভিড কেউ আছে আশেপাশে। ডেভিড সেই বিশ ডলার নেবার পর
থেকে এড়িয়ে চলছে আমাকে। একটু পরেই রান্নাঘরের দরজা খুলে গেল।
“হাই প্রাডিব, হাউআইয়া মাইট?”
ফিলের
মুড খুব ভালো আজ। হাসিমুখ দেখে মনে হচ্ছে দু’দিন আগের উত্তপ্ত বাক্য-বিনিময় ভুলে গেছেন তিনি। মুখে
যান্ত্রিক হাসি ফুটিয়ে বললাম, “গুড। হাউ আর
ইউ?”
মিনিট
দশেক খেজুরে আলাপ করলেন ফিল। জানতে চাইলেন আমার ‘গার্লফ্রেন্ড’ আছে কি না। থাকলে বাসায় নিয়ে আসবো কি না। বললাম, “আপনি তো লিখে রেখেছেন- নো বডি ইজ এলাউড”
“এক্সেপ্ট গার্লফ্রেন্ডস। হাঃ হাঃ হাঃ”
এই
হাসিখুশি ফিলের সাথে পরশুদিন সন্ধ্যার কাঠখোট্টা রাগী ফিলের কোন মিল নেই।
ডেক্চি
দুটো কেনার সুফল প্রায় সাথে সাথেই পেতে শুরু করেছি। রান্নাঘরের সময় প্রায় অর্ধেক
কমে গেছে। ভাত আর তরকারি আধা-সিদ্ধ অবস্থায় রুমে এনে ঢাকনা দিয়ে রেখে দিয়েছি।
ঘন্টাখানেক পরে ঢাকনা খুলে দেখি চমৎকার সিদ্ধ হয়ে গেছে। প্রাথমিক সিদ্ধ হবার সময়েই
বেশি তাপ লাগে- কারণ তখন পদার্থের অবস্থার পরিবর্তনের জন্য ল্যাটেন্ট হিট বা
সুপ্ত-তাপ প্রয়োগ করতে হয়। এরপর একবার সিদ্ধ হতে শুরু করলে আর বেশি তাপের দরকার হয়
না। তখন ঢাকনা দিয়ে তাপ সংরক্ষণ করতে পারলে ওই সংরক্ষিত তাপ শোষণ করে ডেকচির
ভেতরের বস্তু সিদ্ধ হয়ে যায়। এতে সময় বাঁচলো, শক্তি বাঁচলো। এবার একটা ছুরি আর
কাটিং বোর্ড কিনে নিতে হবে। তাতে করে কাটাকুটির কাজটাও রুমে বসে সেরে নেয়া যাবে।
সাড়ে
ন’টার দিকে খেয়ে-দেয়ে বাথরুম থেকে ফিরে
এসে দেখি আমার রুমের দরজা খোলা। অথচ স্পষ্ট মনে আছে আমি দরজা টেনে গিয়েছিলাম। রুমে
ঢুকে দেখি জোয়ানা- টেবিলের কাছে ঝুঁকে ছবি দেখছে।
“হাই জোয়ানা”
“হাই প্রাডিব। নাইস ফ্যামিলি ফটোস”
টেবিলে
রাখা আমাদের পরিবারের বিভিন্ন জনের ছবির প্রতি নিবিড় আগ্রহ জোয়ানার। মিনিট দশেক
ধরে বর্ণনা দিতে হলো তাকে। খেয়াল করে দেখলাম আমার নিজেরও বেশ ভাল লাগছে কাছের
মানুষদের কথা জোয়ানাকে বলতে।
কিন্তু
একটু পরেই আশঙ্কাটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো। জোয়ানা নিশ্চয় কোন উদ্দেশ্য নিয়ে আমার
রুমে ঢুকেছে। আগের বার গেছে বিশ ডলার, আজ কত যাবে কে জানে। একটু পরেই হয়তো ডেভিড
এসে কোন একটা বাহানা তৈরি করবে। সরাসরি জিজ্ঞেস করলাম, “ডেভিড কোথায়?”
“আমি জানি না। আছে কোথাও। আমি যদি কিছুক্ষণ
বসি এখানে তুমি কি মাইন্ড করবে?”
“না না, বসো”
বিছানায়
বসে পড়লো জোয়ানা। কোন ফাঁদে পা দিচ্ছি না তো? যদি সেদিনের মত শুয়ে পড়ে আমাকে পালাতে হবে রুম
ছেড়ে। জোয়ানা পা নাচাচ্ছে। পা নাচানোর অভ্যাস থাকে অনেকের, জোয়ানারও আছে। আমি
বিছানা থেকে যথাসম্ভব দূরে চেয়ার টেনে নিয়ে বসলাম।
“তুমি ইন্ডিয়া থেকে এসেছো না?”
“না। বাংলাদেশ থেকে”
“স্কুলে আমাদের সাথে একজন ইন্ডিয়ান মেয়ে ছিল।”
“তুমি লেখাপড়া করো না জোয়ানা?”
“ইয়ার নাইনের পর ছেড়ে দিয়েছি। ভাল লাগে না
লেখাপড়া।”
“তবে কী ভাল লাগে?”
“বাচ্চা ভালো লাগে।”
“হোয়াট?”
“কিছুদিনের মধ্যেই আমি মা হবো।”
চমকে উঠলাম। কত বয়স হবে জোয়ানার?
আঠারো উনিশ। স্বাস্থ্য ভালো বলে হয়তো কিছুটা বেশি মনে হচ্ছে। চোখ গেলো তার শরীরের
দিকে। এই শীতেও বড় বেশি খোলামেলা। মা হবার স্বাভাবিক চিহ্নগুলো এখনো স্পষ্ট নয়
কোথাও। এক ধরণের অস্বস্তি হচ্ছে আমার। আমাকে কেন বলছে এসব? আমাদের দেশের কোন তরুণী
কোন অপরিচিত মানুষকে তার মা হবার খবর দেয়ার অর্থ হলো- মাথায় গন্ডগোল। জোয়ানাও কি
সেরকম? কী বলবো কথা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। বাচ্চার বাবা সম্পর্কে প্রশ্ন করা কি উচিত
হবে? কিছু না বলে চুপচাপ তো বসে থাকা যায় না।
“ডেভিডের সাথে সম্পর্ক কত দিনের?”
“প্রায় দু’মাস”
সম্পর্কের
ব্যাপারে এরা যে বড় দ্রুত-গতি সম্পন্ন তা তো দেখতেই পাচ্ছি। সম্পর্ক গড়া বা ভাঙা
কোনটাতেই খুব একটা সময় লাগে না।
বাইরের
দরজা খোলার শব্দ হলো। আমার ঘরের দরজা খোলাই আছে। প্যাসেজের আলোতে ডেভিডকে দেখতে
পেলাম।
“হাই ডেভিড। জোয়ানা ইজ হিয়ার।”
“হাই প্রাডিব। হাই বেবি” বলতে বলতে রুমে এসে জাপটে ধরলো জোয়ানাকে। এলকোহলের
তীব্র গন্ধ ডেভিডকে ঘিরে। জোয়ানা উঠে দাঁড়িয়ে ডেভিডকে জড়িয়ে ধরে প্রায় কোলে উঠে
গেলো তার। মিনিট খানেক চললো এরকম। ডেভিড বললো- “হানি, তুমি প্রদীপকে বেশি ডিস্টার্ব করো নি তো?”
ডেভিড
ভদ্রতা দেখাচ্ছে। এ ভদ্রতার দাম কত পড়বে জানি না। মনে মনে ভেবে রেখেছি আজ ডলার
চাইলে আগের বিশ ডলারের কথা মনে করিয়ে দেবো। বলবো আমার নিজের কোন চাকরি নেই। যাও
একটা পাবার সম্ভাবনা ছিল তা তোমার বাবা আমাকে ইন্টারভিউর খবর না জানিয়ে মাটি করে
দিয়েছে।
কিন্তু
সেরকম কিছু বলতে হলো না। জোয়ানাকে সাথে নিয়ে বেরিয়ে যাবার সময় হঠাৎ কিছু একটা মনে
পড়ার ভঙ্গিতে ফিরে দাঁড়ালো ডেভিড। আমি যা ভেবেছি তা ভুল প্রমাণ করে ডেভিড বললো, “আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম। এই নাও তোমার বিশ
ডলার। থ্যাংক ইউ সো মাচ”।
বিশ
ডলারের নোটটা হাতে নিয়ে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম। ডেভিডকে অহেতুক দু’নম্বরী মনে করেছিলাম। মানুষকে না জেনে
অবিশ্বাস করাটা যে কত বড় অন্যায় তা আমি জানি। আর জেনে শুনে সে অন্যায়টাই আমি
করেছি। খুব খারাপ লাগছে। হাঁচি পাচ্ছে খুব। প্রচন্ড শব্দে হাঁচলাম। ওদিক থেকে ভেসে
এলো ডেভিডের জড়ানো কন্ঠস্বর- “ব্লেস ইউ”।
No comments:
Post a Comment