অ্যাপোলো-১০
মিশন
|
অ্যাপোলো-১০
|
কমান্ডার
|
টম স্ট্যাফোর্ড (Tom Stafford)
|
কমান্ড মডিউল পাইলট
|
জন ইয়ং (John Young)
|
লুনার মডিউল পাইলট
|
ইউজিন কারন্যান (Eugene Cernan)
|
কমান্ড মডিউলের ডাক নাম
|
চার্লি ব্রাউন (Charlie Brown)
|
লুনার মডিউলের ডাক নাম
|
স্নুপি (Snoopy)
|
উড্ডয়নের তারিখ
|
১৮/০৫/১৯৬৯
|
প্রত্যাবর্তনের তারিখ
|
২৬/০৫/১৯৬৯
|
মহাকাশে অতিবাহিত সময়
|
৮ দিন ০ ঘন্টা
|
মিশনের লক্ষ্য
|
চাঁদের কক্ষপথে চন্দ্রযানে
ঘুরতে ঘুরতে লুনার মডিউলের কর্মদক্ষতা পরীক্ষা করে দেখা। চাঁদে নামতে হলে যেভাবে
চন্দ্রযান নিয়ন্ত্রণ করতে হবে তা কক্ষপথে করে দেখা। কমান্ড মডিউল ও লুনার মডিউল
আলাদা করা এবং জুড়ে দেয়া।
|
ফলাফল
|
সফল। চাঁদের কক্ষপথে ২ দিন ১৩
ঘন্টা ৩৭ মিনিট ২৩ সেকেন্ডে ৩১ বার প্রদক্ষিণ করে।
|
মিশন
অ্যাপোলো-১০ ছিল চাঁদে নামার চূড়ান্ত মহড়া। ১৯৬৯ সালের ১৮ মে পৃথিবী থেকে উড্ডয়নের
পর ২২ মে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে চন্দ্রযান। টম স্ট্যাফোর্ড ও ইউজিন কারন্যান
লুনার মডিউলে প্রবেশ করেন এবং মডিউলটি কমান্ড মডিউল থেকে আলাদা করেন। কমান্ড
মডিউলের পাইলট জন ইয়ং কমান্ড মডিউল চালাতে থাকেন চাঁদের কক্ষপথে। একটার পেছনে
আরেকটা চাঁদের কক্ষপথে কিছুক্ষণ ঘুরার পর ইউজিন কারন্যান লুনার মডিউল বা স্নুপির
রকেট ইঞ্জিন চালু করে স্নুপিকে নিয়ে চাঁদের কক্ষপথ থেকে বেরিয়ে আরেকটি পথে চাঁদের
ষোল কিলোমিটারের মধ্যে চলে আসেন।
ঘন্টায় ছয় হাজার কিলোমিটার বেগে
স্নুপি চালিয়ে অ্যাপোলো-১১ মিশনের জন্য চাঁদে নামার নির্দিষ্ট স্থান পরীক্ষা করে
দেখা হয়। সাথে সাথে লুনার মডিউলের সমস্ত বৈজ্ঞানিক কাজকর্মের দক্ষতাও পরীক্ষা করে
দেখা হয় সবকিছু ঠিকমতো কাজ করছে কিনা। চাঁদের পিঠের উপর আট ঘন্টা ১০ মিনিট ধরে
উড়তে উড়তে সবকিছু দেখে স্নুপি। তারপর ফিরে আসে কমান্ড মডিউল বা চার্লি ব্রাউনের
সাথে যোগ দিতে। স্নুপির দুটো অংশ - একটা চাঁদে নামার, অন্যটা সেখান থেকে কমান্ড
মডিউলে ফিরে আসার। কমান্ড মডিউলে ফিরে আসার সময় রুটিন অনুসারে চাঁদে নামার অংশটা
সেখানে রেখে আসা হয়।
২৬ মে ১৯৬৯ পৃথিবীতে ফিরে আসেন অ্যাপোলো-১০
এর নভোচারীরা। আসার পথে তাঁরা প্রথমবারের মতো মহাকাশের রঙিন ছবি পাঠাতে সক্ষম হন।
পৃথিবীর মানুষ প্রথমবারের মতো টেলিভিশনে দেখলো মহাকাশের রঙিন ছবি।
No comments:
Post a Comment