কত বড় কত ভারী
চাঁদের
মাঝখান বরাবর ব্যাস হলো ৩৪৭৬ কিলোমিটার। পৃথিবীর ব্যাস ১২৭৫৬ কিলোমিটার। তুলনায়
চাঁদ পৃথিবীর আয়তনের প্রায় চার ভাগের এক ভাগ। সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহ ও তাদের
উপগ্রহের তুলনায় আমাদের চাঁদ অনেক বড়। চাঁদের মোট ক্ষেত্রফল ৩৭.৯ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার অর্থাৎ ৩ কোটি ৭৯ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার।
বাংলাদেশের মতো ২৫৭টি দেশ পাশাপাশি থাকতে পারবে চাঁদে।[1]
চাঁদের পেট বরাবর পরিসীমা হলো ১০,৯২০ কিলোমিটার।
চাঁদের জমি বিক্রি হচ্ছে
বলে খবর প্রকাশিত হলে তাতে কান দিও না। কারণ জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী চাঁদের জমির
মালিকানা কোন নির্দিষ্ট দেশের নয়। পৃথিবীর সব দেশের নাগরিকেরই সমান অধিকার আছে
চাঁদের ওপর। আমেরিকা ছয় বার চাঁদে গিয়ে ছয়টি আমেরিকান পতাকা লাগিয়ে দিয়ে এসেছে
চাঁদের বুকে। কিন্তু তাতেও চাঁদে আমেরিকার মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
সৌরজগতের সমস্ত চাঁদের
মধ্যে আমাদের চাঁদই সবচেয়ে ভারী। পৃথিবীর চাঁদের চেয়েও আয়তনে বড় আরো চারটি চাঁদ
থাকলেও তাদের আয়তনের বেশিরভাগই গ্যাস। সেই তুলনায় পৃথিবীর চাঁদের ভর ও ঘনত্ব অনেক
বেশি। চাঁদের ভর ৭ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি কোটি টন। পৃথিবী চাঁদের তুলনায় প্রায় সাড়ে
একাশি গুণ ভারী। তার মানে সাড়ে একাশিটি চাঁদ মিলে পৃথিবীর সমান ভারী হবে।[2] চাঁদের গড় ঘনত্ব ৩৩৬০ কিলোগ্রাম/ঘন মিটার। অর্থাৎ চাঁদের এক ঘন মিটার
উপাদানের গড় ভর তিন টনের বেশি। পৃথিবীর গড় ঘনত্ব কিন্তু আরো বেশি। পৃথিবীর এক ঘন মিটার
উপাদানের গড় ভর পাঁচ টনেরও বেশি।
চাঁদের ব্যাস
|
৩৪৭৬ কিলোমিটার
|
চাঁদের পরিসীমা
|
১০,৯২০ কিলোমিটার
|
চাঁদের ক্ষেত্রফল
|
৩ কোটি ৭৯ লক্ষ কিলোমিটার
|
চাঁদের ভর
|
৭ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি কোটি টন
|
চাঁদের ঘনত্ব
|
৩৩৬০ কিলোগ্রাম/ঘন মিটার
|
No comments:
Post a Comment