পূর্ণিমার চাঁদ
পৃথিবী
যখন সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে থাকে তখন সুর্যের আলো চাঁদের পিঠে প্রতিফলিত হয়ে
চাঁদের পুরো পিঠটাই দেখা যায়। তখন পূর্ণিমা হয়। সাধারণত প্রতি মাসে একটি করে
পূর্ণিমা হয়। বছরে বারোটি পূর্ণিমা হয়। কয়েক বছর পর পর কোন কোন বছর তেরোটা
পূর্ণিমাও হতে পারে।
প্রাচীনকাল থেকে এই পূর্ণিমার আলোতে
মানুষ অনেক সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় উৎসবে মেতে ওঠে। আমাদের বাংলাদেশে বিভিন্ন মাসের
পূর্ণিমার বিভিন্ন নাম আছে। যেমন বৈশাখী পূর্ণিমা, আষাঢ়ী পূর্ণিমা, মাঘী পূর্ণিমা
ইত্যাদি।
আমেরিকান রেড ইন্ডিয়ানরা বারো মাসের
বারোটি পূর্ণিমার নাম দিয়েছিল তাদের কাজের সুবিধার্থে। তারা সেই সময় কোন আধুনিক
ক্যালেন্ডার ব্যবহার করতো না। তাদের নিজেদের ক্যালেন্ডার ছিল চাঁদের সময় অনুযায়ী।
তাই বিভিন্ন মাসের পূর্ণিমার আলাদা আলাদা নাম ছিল। যেমন: উল্ফ মুন, স্নো মুন, পিংক মুন, ফ্লাওয়ার মুন, স্ট্রবেরি মুন, কর্ন
মুন, হান্টার্স মুন ইত্যাদি।
পূর্ণিমা সম্পর্কে অনেকেই অনেক রকম
সংস্কারে বিশ্বাস করেন। কেউ কেউ মনে করেন পূর্ণিমার সময় শরীরের পুরনো ব্যথা-বেদনা বেড়ে
যায়। কিন্তু ব্যাপারটা পুরোটাই মানসিক। পূর্ণিমার সময় মানসিক রোগীদের রোগ বেড়ে যায়
বলেও বিশ্বাস করেন অনেকে। কিন্তু তারও কোন বৈজ্ঞানিক তথ্য ও উপাত্ত পাওয়া যায়নি।
তবে পূর্ণিমায় জোয়ারের টান বাড়ে সেটা বৈজ্ঞানিক সত্য। কারণ সেই সময় পৃথিবী, চাঁদ ও
সূর্য একই সরলরেখায় থাকে। জোয়ার-ভাটা সম্পর্কে একটু পরেই আলোচনা করবো।
No comments:
Post a Comment