Saturday, 18 April 2020

ছায়ামানবী: ইতিহাসের হাত ধরে মানুষের গল্প





স্কুলে পড়ার সময় যেসব ইতিহাস আমাকে পড়তে হয়েছিল সেগুলো আমি কখনোই পছন্দ করিনি। তার একটি কারণ হতে পারে আমাদের ইতিহাসের শিক্ষক এবং পরীক্ষাপদ্ধতি। ঐতিহাসিক চরিত্রগুলোর নাম, বাপের নাম এবং সন তারিখ মুখস্থ করানোটাই ছিল ইতিহাসের জ্ঞান মাপার মাপকাঠি। তারপর আমাদের দেশীয় রাজনীতির যে ইতিহাস আমাদের পড়ানো হয়েছিল – পরে জেনেছি সেগুলো ছিল বেশিরভাগই মিথ্যা। আমাদের  পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে। তাই সেরকম ইতিহাসের প্রতি আমার ভালোবাসা জন্মায়নি সেভাবে। পরবর্তীতে বিজ্ঞান এবং পদার্থবিজ্ঞান নাড়াচাড়া করতে গিয়ে দেখেছি বিজ্ঞানের ইতিহাস আমার বেশ ভালো লাগছে। তার পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসেরও কয়েকটা বই পড়ার পর মনে হলো – না ইতিহাস শুধু সন-তারিখ কিংবা চরিত্রগুলোর নামের মধ্যে সীমিত নয়। ইতিহাসের ঘটনা-পরম্পরা সামাজিক বিবর্তনের চলমান দলিল। ইতিহাস যে শুধু ইতিহাসের বইতে থাকে তা নয়, ইতিহাস আশ্রয় করে সৃষ্টি হয় কত গল্পের, কত উপন্যাসের। সেরকম একটি উপন্যাস ছায়ামানবী।

ছায়ামানবী উপন্যাসের লেখক অঞ্জন নন্দী। প্রফেসর অঞ্জন নন্দী। পদার্থবিজ্ঞানের মানুষ, আবার দক্ষ প্রশাসক - সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের অধ্যক্ষ তিনি। পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের একটি সেমিনারে অঞ্জন স্যার তাঁর লেখা এই বইটি আমাকে দিয়েছেন স্নেহের স্মারক হিসেবে।




উপন্যাসের বিষয়বস্তু যদি ইতিহাস হয় এবং তাও আবার চারশ বছর আগের পর্তুগিজদের ইতিহাস  - ব্যাপারটা মোটেও সহজ থাকে না। উপন্যাসের নায়ক-নায়িকা কল্পনার ডানায় ভর করে উড়তে পারে, কিন্তু যে আকাশে উড়ছে সেই আকাশটা ইতিহাস অস্বীকার করতে পারে না। যে পটভূমিতে উপন্যাসের পাত্র-পাত্রীরা দাঁড়ায় সেই পটভূমি ইতিহাসের প্রতিষ্ঠিত চরিত্র এবং ঘটনাগুলোর পরম্পরাতে সম্পৃক্ত। তাই লেখক এখানে দায়বদ্ধ থাকেন ইতিহাসের কাছে, সমসাময়িক স্থান-কালের বিজ্ঞানের কাছে। এই উপন্যাসে এই স্থান-কালের যুক্তিটা পরিপূর্ণভাবে মেনে চলা হয়েছে। এখানেই লেখকের সার্থকতা।

মহসিন কলেজের পাহাড়ের চূড়ায় চারশ বছরের বেশি পুরনো পর্তুগিজ ভবনটা অনেকেই দেখেছেন। কিন্তু তার ভেতর থেকে যে এমন একটা মানবিক প্রেম ও রাজনৈতিক গল্প বেরিয়ে আসতে পারে – তা ছায়ামানবী না পড়লে বুঝতেই পারতাম না। এই পর্তুগিজ ভবনের রহস্যঘেরা এক কাল্পনিক জগতে লেখকের সামনে কোন এক অলৌকিক প্রশ্রয়ে এসে পড়ে পর্তুগিজ ছায়ামানবী ইভা গনজালভেজ। এই তরুণী ইভার মাধ্যমেই আমরা জেনে যাই পুরো ঘটনা। একে একে আবির্ভুত হয় পর্তুগিজ দস্যু স্টিভ গনজালভেজ। বিয়ের আসর থেকে লুন্ঠন করে নিয়ে যাওয়া বাঙালি তরূণী স্বর্ণময়ীকে অপমান করার বদলে নিজের স্ত্রীর মর্যাদা দেয় স্টিভ। স্টিভ আর স্বর্ণময়ীর সন্তান ইভা।

মানুষ আর অমানুষের সংমিশ্রণ যে আমাদের প্রত্যেকের চরিত্রেই থাকে – লেখক সেই চিত্র একেঁছেন সুনিপুনভাবে এই উপন্যাসের প্রত্যেকটি চরিত্রেই। এভাবেই মূর্ত হয়ে ওঠে রবিন – ইভার প্রেমিক। বৃহত্তর চট্টগ্রাম, সন্দ্বীপ, আনোয়ারা, গোয়া, কলকাতা – তথা এই অঞ্চলের বাণিজ্য ও রাজনীতিতে পর্তুগিজদের যে ভূমিকা এবং সেখান থেকে আমাদের যে ফিরিঙ্গি সমাজ তৈরি হয়েছে – তার নিপুণ রেখাচিত্র হয়েছে এই উপন্যাসে। কল্পনা আর ইতিহাস মিলেমিশে এমন একটা টানটান বাস্তবতা তৈরি হয়েছে এখানে যাতে পড়ার সময় একবারও মনে হয়নি যে এটা লেখকের প্রথম উপন্যাস।

ঘটনার পাশাপাশি লেখক বিভিন্ন চরিত্রের জবানিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মানবিক দর্শনও প্রকাশ করেছেন। কয়েকটি লাইন এখানে উল্লেখ করা যায়:

বহুগামী শরীর যদি অপবিত্র হয় তবে পরশ্রীকাতর, লোভী, লাম্পট্যভরা মন কি অপবিত্র নয়?” – পৃষ্ঠা ৩৯

গোয়ায় রবিবার চার্চে যতো মানুষ যায় তার চেয়ে পতিতাপল্লীতে প্রতিদিন বেশি মানুষ আসা-যাওয়া করে। পৃষ্ঠা – ৪৬

একটা ঘর পুড়লে পাশের ঘরেও আগুন ছড়ায়, কিন্তু মনের ঘরে আগুন লাগলে, নিজেই পোড়ে, দোসর পায় না। পৃষ্ঠা -৪৮

মানুষ যত ক্ষমতাবান হয়, ততই সে স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে। একচ্ছত্র ক্ষমতা তাকে অন্ধ করে দেয়। চারপাশে সুখের মৌমাছি তোষামোদি শুরু করে। ফলে সে ভালোমন্দের পার্থক্য বুঝতে অপারগ হয়। পৃষ্ঠা - ৬৪

মানুষ বহুরূপী। তার মুখোশ পাল্টাতে সময় লাগে না। পৃষ্ঠা - ৬৮

মানুষ স্বার্থের ক্রীতদাস। সাপ শুধু নিজেকে রক্ষা করতে কাউকে ছোবল মারে। মানুষ সাপের চেয়েও ভয়ঙ্কর। স্বার্থের কারণে কাউকে দংশন করতে দ্বিধা করে না। পৃষ্ঠা - ১১৪

কুকর্মের স্বাক্ষী রাখতে নেই। পৃষ্ঠা - ১২৬

পথে নামলেই অচেনা পথ চেনা হয়ে যায়। নিজের প্রয়োজনেই মানুষ পথ চিনে নেয়। পৃষ্ঠা - ১৩৩

দুটো মানুষ সারাজীবন বিবাহিত জীবন কাটিয়েও হয়তো সুখী নয়। তাদের অজস্র যৌনস্মৃতি থাকতে পারে, কিন্তু তাদের দুই হৃদয়ের মধ্যে যোজন যোজন দূরত্ব। কেউ কাউকে ভালোবাসে না। সুখে থাকার অভিনয় করতে করতে অসুখী জীবনযাপনে তারা অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। পৃষ্ঠা - ১৬০

সমসাময়িক ইতিহাসের কোন বিকৃতি ঘটেনি এই উপন্যাসে – সেটাই লেখকের বড় কৃতিত্ব। দুটো ব্যাপারে আরেকটু সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। যেমন - ইভা আর রবিনের বিয়ে হয় ২৪ জানুয়ারি ১৬৬৬। কিন্তু বলা হচ্ছে পরদিন খ্রিস্টানদের বড়দিন। এই তথ্যটি সঠিক নয়।  আরেকটি ব্যাপার ঘটেছে যখন স্টিভ গোয়ায় যায় ভাইসরয়ের সাথে দেখা করতে। সেই ঘটনা ঘটে ১৬৬৫ সালের দিকে। বলা হচ্ছে স্টিভকে থাকতে দেয়া হয়েছিল ডোনা পাউলা বিচের কাছে। আসলে ডোনা পাউলা বিচের নামকরণ হয়েছে আরো প্রায় একশ বছর পর। ডোনা পাউলা ছিলেন জাফনাপটনমের পর্তুগিজ ভাইসরয় -এর আত্মীয়। ডোনা ১৭৪৪ সালে গোয়ায় আসে। ১৭৫৬ সালে বিয়ে করে। ১৭৮২ সালে মারা যায়। স্টিভের জানার কথা নয় ডোনার কথা। অথচ স্টিভ ভাবছে ডোনা পাউলার কথা। উপন্যাসে ডোনাকে বলা হয়েছে একজন জেলের মেয়ে, বড় লোকের ছেলের প্রেমে পড়ে আত্মহত্যা করেছে। আসলে প্রচলিত কাহিনিটি ছিল উলটো। ডোনা বড়লোকের মেয়ে – প্রেম করেছিল একজন গোয়ানিজ জেলের ছেলের সাথে। (পৃ১১২)

এই বইটি প্রকাশিত হয়েছে এবারের বইমেলায়। প্রকাশ করেছে মুক্তধারা নিউইয়র্ক। মুদ্রিত হয়েছে চট্টগ্রামের দি অ্যাড কমিউনিকেশন থেকে। এমন চমৎকার ছাপা এবং কাগজ অনেকদিন কোন বইতে দেখিনি। দীপক দত্তের প্রচ্ছদ অসাধারণ – তবে প্রচ্ছদের ছায়ামানবীকে ভবিষ্যত পৃথিবীর কোন সাই-ফাই চরিত্র বলে মনে হয়, ইভা গঞ্জালভেসের সাথে মেলানো যায় না।

সবশেষে আমি লেখককে অভিনন্দন জানাতে চাই এই বলে যে ছায়ামানবীর মানবিক চারাগাছ বিকশিত হয়েছে পত্রপল্লবে। অভিনন্দন। 

জগদীশচন্দ্র বসু - পর্ব ২৭



জগদীশচন্দ্র বসুর বই

গবেষণা-গ্রন্থ

      Publisher: Longmans, Green and Co. (London, New    York, Toronto, Bombay, Calcutta and Madras).

1.         Response in the Living and Non-living. (with 117       illustrations), 1902.
2.         Plant Response: As a means of Physiological   Investigation. (with 278 illustrations), 1906.
3.         Comparative Electro-Physiology: A Physico-   physiological Study. (with 406 illustrations), 1907.
4.         Researches on Irritability of Plants. (with 190   illustrations), 1913.
5.         Life Movements in Plants, Vol. I. Parts I and II. (with 92       illustrations), 1918.
6.         Life Movements in Plants, Vol. II. (with 128    illustrations), 1919.
7.         Life Movements in Plants, Vols. III and IV. (in one     vol.), (with 107 illustrations), 1921.
8.         The Ascent of Sap. (with 93 illustrations), 1922.
9.         Physiology of Photosynthesis. (with 60 illustrations),   1924.
10.       Nervous Mechanism of Plants. (with 82 illustrations),   1926.
11.       Plant Autographs and their Revelations. (with 121       illustrations), 1927.
12.       Collected Physical Papers. (with 123 illustrations), 1927.
13.       Motor Mechanism of Plants, 1928.
14.       Growth and Tropic Movements of Plants. 1929.
  

বাংলা রচনা সংকলন

১।       অব্যক্ত। প্রকাশক বসু বিজ্ঞান মন্দির, ৯৩/১, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোড,  কলিকাতা ৭০০০০৯, ১৯২১।
  
জগদীশচন্দ্র বসুর গবেষণাপত্র

1.         On polarisation of electric rays by double refracting    crystals, J. Asiatic Soc. Beng. 64, 291-296, 1896.
2.         On double refraction of the electric ray by a strained    dielectric. The Electrician 36, 290-291, 1895.
3.         On a new electropolariscope, The Electrician 36, 291-  292, 1895.
4.         On the determination of the indices of refraction of     various substances for the electric ray, I-Index of      refraction of sulpher, Proc. R. Soc. A59, 160-167, 1896.
5.         A simple and accurate method of determination of the   index of refraction of light, Unpublished.
6.         On the determination of wave-length of electric radiation      by diffraction grating, Proc. R. Soc. A60, 167-178, 1897.
7.         On a complete apparatus for the study of the properties of electric waves, Phil. Mag. 43, 55-68, 1897.
8.         Electromagnetic radiation and the polarisation of the    electric ray. Friday Evening Discourse at the Royal     Institution of London on 29th Jan, 1897.
9.         On the selective conductivity exhibited by certain       polarisating substances. Proc. R. Soc. A60, 433-436,    1897.
10.       On the determination of the indices of refraction of     various substabces for the electric ray. II-Index of     refraction of glass, Proc. R. Soc. A62, 293-300, 1897.
11.       On the influence of thickness of air-space on total      reflection of electric radiation. Proc. R. Soc. A62, 301-   310, 1897.
12.       On the equation of plane of polarisation of electric     waves by a twisted structure. Proc. R. Soc. A63, 146-     152, 1898.
13.       On the production of a "Dark Cross" in the field of       electromagnetic radiation. Proc. R. Soc. A63, 152-155, 1898.
14.       On a self-recovering coherer and the study of the      cohering action of different metals. Proc. R. Soc. A65,   166-172, 1899.
15.       On the periodicity in the electric touch of chemical     elements. Preliminary Notice. Proc. R. Soc. A66, 450-   451, 1900.
16.       On electric touch and the molecular changes produced in       matter by electric waves. Proc. R. Soc. A66, 452-474,   1900.
17.       On the similarity of effect of electrical stimulus on     inorganic and living substabces. The Electricians, Sept.   1900.
18.       On the continuity of effect of light and electric radiation on matter. Proc. R. Soc. A70, 154-174, 1901.
19.       On the similarities between radiation and mechanical   strains. Proc. R. Soc. A70, 174-185, 1901.
20.       On the strain theory of photographic action. Proc. R.    Soc. A70, 185-193, 1901.
21.       On the change of conductivity of metallic particles under       cyclic electromotive variation. Lecture, British Association at Glasgow Sec A. Sept, 1901.
22.       The response of inorganic matter to mechanical and    electrical stimulus. Friday evening discourse at the      Royal Institution, 10th May, 1901.
23.       On the electric response in ordinary plants under      mechanical stimulus. J. Linn. Soc. (Bot.) 35, 275-304,     1902.
24.       Sur la response electrique de la Matiere Vivante. Paper read before the Societe Francaise de Physique, Paris,      1902.
25.       On the electromotive wave accompanying mechanical   disturbance in metals in contact with electrolyte. Proc.     R. Soc. A70, 273-294, 1902.
26.       Diurnal variation of moto excitability in Mimosa. Ann. Bot. (Lond.) 27, 759-779, 1913.
27.       Action of drugs in plants. Proc. R. Soc. Med. 8, 1-40,   1914.
28.       The influence of homodromous and heterodromous     electric currents on transmission of excitation in plant   and animal. Proc. R. Soc. B88, 483-507, 1915.
29.       The high magnification crescograph. Proc. R. Soc.          October 1917.
30.       The problem of movement in plants. Trans. Bose Res.   Inst. 1, 31-42, 1918.
31.       The "praying" palm tree. Trans. Bose Res. Inst. 1, 5-30, 1918.
32.       Action of stimulus on vegetable tissues. Trans. Bose    Res. Inst. 1, 31-42, 1918.
33.       Diurnal variation of moto excitability in Mimosa. Trans. Bose Res. Inst. 1, 43-72, 1918.
34.       Response of particle-pulvinus preparation of Mimosa   Pudica. Trans. Bose Res. Inst. 1, 73-96, 1918.
35.       On conduction of excitation in plants. Trans. Bose Res. Inst. 1, 97-106, 1918.
36.       On electric control of excitatory impulse. Trans. Bose   Res. Inst. 1, 107-134, 1918.
37.       Effect of indirect stimulus on pulvinated organs. Trans. Bose Res. Inst. 1, 135-140, 1918.
38.       Modifying influence of tonic condition of response.    Trans. Bose Res. Inst. 1, 141-148, 1918.
39.       The high magnification crescograph for researches on   growth. Trans. Bose Res. Inst. 1, 151-172, 1918.
40.       Effect of temperature on growth. Trans. Bose Res. Inst. 1, 173-182, 1918.
41.       The effect of chemical agents on growth. Trans. Bose   Res. Inst. 1, 183-187, 1918.
42.       Effect of variation of turgor and of tension on growth.   Trans. Bose Res. Inst. 1, 188-194, 1918.
43.       Effect of electric stimulus on growth. Trans. Bose Res. Inst. 1, 195-200, 1918.
44.       Effect of mechanical stimulus on growth. Trans. Bose   Res. Inst. 1, 200-204, 1918.
45.       Action of light on growth. Trans. Bose Res. Inst. 1, 205- 212, 1918.
46.       Effect of indirect stimulus on growth. Trans. Bose Res. Inst. 1, 213-218, 1918.
47.       Response of growing organs in state of sub-tonicity.    Trans. Bose Res. Inst. 1, 219-226, 1918.
48.       Resumption of autonomous pulsation and of growth    under stimulus. Trans. Bose Res. Inst. 1, 227-232, 1918.
49.       Action of light and warmth on autonomous activity.    Trans. Bose Res. Inst. 1, 233-238, 1918.
50.       A comparison of responses in growing and non-growing organs. Trans. Bose Res. Inst. 1, 239-251, 1918.
51.       Researches on growth and movements in plants by     means of the high magnification crescograph. Proc. R.    Soc. B90, 364-400, 1918.
52.       The balanced crescograph. Trans. Bose Res. Inst. 2, 255- 267, 1919.
53.       On tropic movements. Trans. Bose Res. Inst. 2, 268-270,       1919.
54.       Tropic curvature with longitudinal transmission of     effects of stimulus. Trans. Bose Res. Inst. 2, 271-278,    1919.
55.       Tropic curvature with transverse transmission of effect of stimulus. Trans. Bose Res. Inst. 2, 279-287, 1919.
56.       Mechanotropism: twining of tendrils. Trans. Bose Res. Inst. 2, 288-300, 1919.
57.       On galvanotropism. Trans. Bose Res. Inst. 2, 301-304, 1919.
58.       On thermonastic phenomena. Trans. Bose Res. Inst. 2, 305-312, 1919.
59.       On phototropism. Trans. Bose Res. Inst. 2, 313-327,    1919.
60.       Dia-phototropism and negative phototropism. Trans.    Bose Res. Inst. 2, 328-337, 1919.
61.       The relation between the quantity of light and the      induced phototropic curvature. Trans. Bose Res. Inst. 2, 338-345, 1919.
62.       The phototropic curve and its characteristics. Trans.    Bose Res. Inst. 2, 346-361, 1919.
63.       The transmitted effect of photic stimulation. Trans. Bose       Res. Inst. 2, 362-377, 1919.
64.       On photonastic curvatures. Trans. Bose Res. Inst. 2, 378- 387, 1919.
65.       Effect of temperature on phototropic curvature. Trans.   Bose Res. Inst. 2, 388-396, 1919.
66.       On phototropic torsion. Trans. Bose Res. Inst. 2, 397-  409, 1919.
67.       Radio-thermotropism. Trans. Bose Res. Inst. 2, 410-415,       1919.
68.       Response of plants to wireless stimulation. Trans. Bose Res. Inst. 2, 416-424, 1919.
69.       Geotropism. Trans. Bose Res. Inst. 2, 425-441, 1919.
70.       Geo-electric response of shoot. Trans. Bose Res. Inst. 2, 442-460, 1919.
71.       The mechanical and electrical response of root to various       stimuli. Trans. Bose Res. Inst. 2, 461-466, 1919.
72.       Geo-electric response of root. Trans. Bose Res. Inst. 2, 467-477, 1919.
73.       Localisation of geoperceptive layer by means of the    electric probe. Trans. Bose Res. Inst. 2, 478-502, 1919.
74.       On geotropic torsion. Trans. Bose Res. Inst. 2, 503-508, 1919.
75.       On thermo-geotropism. Trans. Bose Res. Inst. 2, 509-  519, 1919.
76.        Diurnal movements in plants. Trans. Bose Res. Inst. 2, 523-534, 1919.
77.       Diurnal movements due to alteration of light and      darkness. Trans. Bose Res. Inst. 2, 535-545, 1919.
78.       Diurnal movement due to variation of temperature     affecting growth. Trans. Bose Res. Inst. 2, 546-553,     1919.
79.       Daily movements in plants due to thermo-geotropism.   Trans. Bose Res. Inst. 2, 554-568, 1919.
80.       The after-effect of light. Trans. Bose Res. Inst. 2, 569-  575, 1919.
81.       The diurnal movement of the leaf of Mimosa. Trans.    Bose Res. Inst. 2, 576-597, 1919.
82.       On plant and animal response. Proc. R. Soc. Med. 13,   101-128, 1920.
83.       On electric localisation of the geo-perceptive layer.     Trans. Bose Res. Inst. 3, 599-618, 1920.
84.       The relation between the angle of inclination and the    geo-electric excitation. Trans. Bose Res. Inst. 3, 619- 630, 1920.
85.       The critical angle of geo-electric excitation. Trans. Bose Res. Inst. 3, 631-640, 1920.
86.       Researches on the effect of anaesthetics on growth.     Trans. Bose Res. Inst. 3, 641-649, 1920.
87.       The effect of anaesthetics on geotropic response. Trans. Bose Res. Inst. 3, 650-658, 1920.
88.       The effect of carbon dioxide on geotropic action. Trans. Bose Res. Inst. 3, 659-675, 1920.
89.       On physiological anisotropy induced by gravitational   stimulus. Trans. Bose Res. Inst. 3, 676-686, 1920.
90.       The death-spasm in geotropically curved organs. Trans. Bose Res. Inst. 3, 687-694, 1920.
91.       The complex response of pulvonus of Mimosa to      transmitted excitation. Trans. Bose Res. Inst. 3, 695-708,   1920.
92.       Investigations on dia-geotropism of dorsiventral organs. Trans. Bose Res. Inst. 3, 709-727, 1920.
93.       The dia-heliotropic attitude of leaves. Trans. Bose Res. Inst. 4, 731-750, 1921.
94.       The electric response of Mimosa Pudica. Trans. Bose   Res. Inst. 4, 751-758, 1921.
95.       Simultaneous determination of velocity of excitation by mechanical and electric methods. Trans. Bose Res. Inst.    4, 759-765, 1921.
96.       The multiple response of Mimosa. Trans. Bose Res. Inst.      4, 766-770, 1921.
97.       The effect of carbon dioxide on the mechanical and    electric pulsation of Desmodium gyrans. Trans. Bose   Res. Inst. 4, 771-775, 1921.
98.       The transmission of death excitation. Trans. Bose Res. Inst. 4, 776-785, 1921.
99.       The spread of the water-hyacinth. Trans. Bose Res. Inst. 4, 786-795, 1921.
100.      Response to mechanical stimulus by variation of electric resistance. Trans. Bose Res. Inst. 4, 796-804, 1921.
101.      Resistivity variation in plants under electric stimulus.   Trans. Bose Res. Inst. 4, 805-813, 1921.
102.      The quadrant method of response to stimulus of light.   Trans. Bose Res. Inst. 4, 814-824, 1921.
103.      The self-recording radiograph. Trans. Bose Res. Inst. 4, 825-834, 1921.
104.      On a vegetable photo-electric cell. Trans. Bose Res. Inst.      4, 835-843, 1921.
105.      An automatic method for the investigation of velocity of       transmission of excitation in Mimosa. Phil. Trans. R.   Soc. B204, 63-97, 1923.
106.      Circulation and assimilation in plants. Proc. R. Soc.    Med. 17, 19-24, 1924.
107.      Life and its mechanism. Modern Review, December,      1924.
108.      Physiological and antomical investigations on Mimosa    Pudica. Proc. R. Soc. B98, 290-312, 1925.
109.      Carbon assimilation of plants, Scientica, September,       1926.
110.      The mechanism of life. Modern Review, December,        1926.
111.      The photosynthetic recorder. Collected Physical Papers, 347-356, 1927.
112.      The magnetic crescograph and the magnetic radiometer. Collected Physical Papers, 347-356, 1927.
113.      The resonant recorder. Phil. Trans. 1912; Irritibility of     plants, 1913; Collected Physical Papers, 364-378, 1927.
114.      The nervous impulse in plants. Scientica, January, 1929.
115.      The ascent of sap. Trans. Bose Res. Inst. 6, 30-43, 1931.
116.      Methods of record of the erectile response of the leaf by electro-magnetic tapper and the automatic recorder.        (Acharya J. C. Bose: A Scientist & A Dreamer, Vol. 3).
117.      Rhythmic pulsation in plants. (Acharya J. C. Bose: A      Scientist & A Dreamer, Vol. 3).
118.      The relation of the pulsatory movement of the leaflet of             desmodium to the ascent of sap. (Co-author: S. C. Deb). (Acharya J. C. Bose: A Scientist & A Dreamer, Vol. 3).
119.      The conduction of impulse in plants. (Acharya J. C.        Bose:    A Scientist & A Dreamer, Vol. 3).
120.      Polar excitation of animal nerve with an electric current of increasing intensity. (Co-author: N. N. Das). (Acharya    J. C. Bose: A Scientist & A Dreamer, Vol. 3).
121.      Capture of fish by drugging a stream. (Acharya J. C.       Bose: A Scientist & A Dreamer, Vol. 3).
122.      The ossibility of differential effects on certain fishers by water disturbances and by vegetable extracts. (Acharya            J. C. Bose: A Scientist & A Dreamer, Vol. 3).






সহায়ক বই

১।  প্রদীপ দেব, উপমহাদেশের এগারজন পদার্থবিজ্ঞানী, শুদ্ধস্বর, ঢাকা, ২০১৪।
২।  শ্রী মনোজ রায় ও শ্রী গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু, প্রথম      খন্ড, বসু বিজ্ঞান মন্দির, কলিকাতা, ১৯৬৩।
৩।  শ্রী বিমলেন্দু মিত্র, শ্রী আশুতোষ গুহঠাকুরতা, ও শ্রী বিনয়কৃষ্ণ দত্ত, আচার্য      জগদীশচন্দ্র বসু, দ্বিতীয় খন্ড, বসু বিজ্ঞান মন্দির, কলিকাতা, ১৯৬৫।
৪।  শ্রী জগদীশচন্দ্র বসু, অব্যক্ত, শতবার্ষিক সংস্করণ, পঞ্চম মুদ্রণ, বসু বিজ্ঞান      মন্দির, কলিকাতা, ১৯৮৯।
৫।  সালাম আজাদ, জগদীশচন্দ্র বসু, বাংলা একাডেমী, ঢাকা, ১৯৯৫।
৬।  সুমন্ত রায়, বিজ্ঞানাচার্য জগদীশচন্দ্র বসু, অনন্যা, ঢাকা, ২০০১।
৭।  তপন চক্রবর্তী, উপমহাদেশের দুই অমর বিজ্ঞানী, আগন্তুক, ঢাকা, ২০১০।
৮। দেবাঞ্জন সেনগুপ্ত, নিবেদিতা জগদীশচন্দ্র, এক অচেনা সম্পর্কের সন্ধান,      গাঙচিল, কলকাতা, ২০১০
৯।  Patrick Geddes, An Indian Pioneer of Science The life and     work of Sir Jagadis C. Bose, Longmans, Green & Co, New   York, 1920.
১০।     অনিল আচার্য (সম্পাদক), ব্যক্ত অব্যক্ত জগদীশচন্দ্র বসু, অনুষ্টুপ, কলকাতা,         ২০১১।
১১। Ashish Nandy, Alternative Sciences, Second Edition, Oxford       University Press, Delhi, 1995.
১২।     Subrata Dasgupta, Jagadis Chandra Bose and the Indian       Response to Western Science, Oxford University Press, New York, 1999.

জগদীশচন্দ্র বসু - পর্ব ২৬


ব্যক্তি জগদীশ
         
স্যার জগদীশচন্দ্র বসুর বিজ্ঞান-গবেষণা ও কর্মজীবনের যে পরিচয় আমরা পেলাম তাতে বোঝা যায় বাঙালীদের মধ্যে এত বড় কর্মযোগী মানুষ কদাচিৎ দেখা যায়। কিন্তু ব্যক্তি হিসেবে কেমন ছিলেন জগদীশচন্দ্র বসু? যে কোন মানুষ সম্পর্কেই এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর দেয়া সহজ নয়। কারণ মানুষ প্রকৃতিগতভাবেই খুব জটিল প্রাণী। আর জগদীশচন্দ্র বসুর ব্যক্তিত্ব ছিলো প্রখর রূপে জটিল।
          তাঁর গবেষণার সবটাই নিজের হাতে করা। এত যুগান্তকারী আবিষ্কার তিনি করেছেন - তাতে তাঁকে ঘিরে একটা শক্তিশালী বৈজ্ঞানিক দল গড়ে ওঠার কথা। কিন্তু তা হয়নি। তাঁর সরাসরি কোন গবেষক-ছাত্র ছিল না। দেবেন্দ্রমোহন বসু, সত্যেন বসু, মেঘনাদ সাহা, শিশির মিত্র প্রমুখ জগদীশচন্দ্রকে শিক্ষক হিসেবে সম্মান করতেন। জগদীশচন্দ্র পদার্থবিজ্ঞানের ক্লাসে পড়িয়েছেন এঁদের সবাইকে। কিন্তু কাউকেই নিজের গবেষণার সহযোগী করে নেননি। ফলে জগদীশচন্দ্র বসুর গবেষণার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া তাঁর গবেষণাপত্রগুলোর সবগুলোই ছিল পরীক্ষামূলক ফলাফলের প্রকাশ। পদার্থবিজ্ঞানের তাত্ত্বিক ভিত্তি আলোচনাকে তিনি এড়িয়ে গেছেন সম্পূর্ণভাবে। ফলে তাঁর গবেষণার মূল বিস্তৃত হয়নি যতটা হওয়া উচিত ছিল।
          তিনি দুই শতাধিক গবেষণাপত্র লিখেছেন, বই লিখেছেন চৌদ্দটা। এগুলোর জন্য বৈজ্ঞানিক-পরীক্ষানিরীক্ষা করতে হয়েছে হাজার হাজার। লক্ষ লক্ষ ডাটা পয়েন্ট বিশ্লেষণ করতে হয়েছে। এগুলো সব একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। আমাদের এটাও মনে রাখতে হবে যে সেই সময় কোন কম্পিউটার ছিল না। সবকিছুই হাতে-কলমে করতে হয়েছে। এসবের জন্য প্রচুর সহকারীর সাহায্য নিয়েছেন জগদীশচন্দ্র। কিন্তু কাউকেই তিনি তাঁর গবেষণার কৃতিত্বের ভাগ দেননি।
          নিবেদিতা যে তাঁর প্রথম চারটি বই এবং অনেকগুলো গবেষণাপত্র লিখে দিয়েছিলেন সেটা আমরা জানি। কিন্তু জগদীশচন্দ্র একবারের জন্যেও নিবেদিতার অবদান স্বীকার করেননি।
          কাউকেই যখন কৃতিত্ব দিচ্ছিলেন না, তখন বাধ্য হয়ে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় বলেছিলেন জগদীশচন্দ্রকে যে কাজটা ঠিক হচ্ছে না। এই যে এত ছেলেমেয়ে কাজ করছে তাদের কাজের স্বীকৃতি থাকবে না? এটা বিজ্ঞানের সাধারণ নীতিবোধের পরিপন্থি। তখন জগদীশচন্দ্র কয়েকটি গবেষণাপত্রে কারো কারো নাম উল্লেখ করেছেন Assisted by হিসেবে। অথচ তাঁর না জানার কথা নয় যে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় যা হয়ে থাকে তা হলো কোলাবোরেশান - অ্যাসিস্ট্যান্স নয়।
          আমরা বলতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি যে জগদীশচন্দ্রকে কত কষ্ট করে গবেষণা করতে হয়েছে। বাঙালী বলে, ভারতীয় বলে কত অসুবিধায় পড়তে হয়েছে। কিন্তু একটু তলিয়ে দেখলেই আমরা দেখতে পাই, তিনি তাঁর কর্মজীবনে সরকারী খরচে এগারো বার বিদেশে গেছেন গবেষণার কাজে এবং গবেষণা বাড়াতে। বছরের পর বছর তিনি ডেপুটেশানে থেকেছেন ইওরোপে। ইংরেজ সরকারের বেশিরভাগ কর্তা-ব্যক্তিই তাঁকে সহযোগিতা করেছেন। সে হিসেবে তাঁর সমসাময়িক প্রফুল্ল চন্দ্র রায়কে কষ্ট করতে হয়েছে আরো অনেক বেশি। কিন্তু প্রফুল্লচন্দ্রের হাত দিয়ে বাংলায় গড়ে উঠেছিল কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু জগদীশচন্দ্রের হাত দিয়ে কোন ইন্ডাস্ট্রি তো দূরের কথা, সার্বজনীন বিজ্ঞান-গবেষণাগারও গড়ে ওঠেনি। বসু-বিজ্ঞান মন্দির তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন, কিন্তু নিজেই বলেছেন যে ওটা যতটা না পরীক্ষাগার তার চেয়ে বেশি হলো মন্দির। বৈদিক মন্ত্র পড়ে তিনি সেই মন্দিরের আচার্য হয়েছেন এবং তাঁর সহকারীদের মন্ত্র পাঠ করিয়ে 'দীক্ষা' দিয়েছেন।
          বসু বিজ্ঞান মন্দিরে তিনি যাঁদের নিয়োগ দিয়েছেন বা তার আগেও যাঁদের নিয়োগ করেছেন নিজের সহকারী হিসেবে - তাদের কারোরই শিক্ষাগত যোগ্যতা বেশি ছিল না। তিনি চাইতেন না যে তাঁর সহকারীরা কেউ উচ্চতর শিক্ষা নিয়ে তাঁর সমকক্ষ হোক। নগেন্দ্রচন্দ্র নাগকে তিনি বসু-বিজ্ঞান-মন্দিরের উপ-পরিচালক নিযুক্ত করেছিলেন। তিনি ছিলেন ডাক্তার। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় তাঁর কোন ব্যুৎপত্তি ছিল না। জগদীশচন্দ্র বেঁচে থাকতেই তাঁর মৃত্যু হয়। বসু বিজ্ঞান মন্দির স্থাপিত হবার আগে থেকেই জগদীশচন্দ্রের কাজের সহকারী ছিলেন গুরুপ্রসন্ন দাস, সুরেন্দ্র চন্দ্র দাস, নরেন্দ্রনাথ সেন, নরেন্দ্রনাথ নিয়োগী - এঁদের কারোরই উচ্চ ডিগ্রি ছিল না। বিজ্ঞান-মন্দির স্থাপনের পর নিয়োগ পেয়েছিলেন গোপাল চন্দ্র ভট্টাচার্য, বিনয় কৃষ্ণ দত্ত, আশুতোষ গুহ-ঠাকুরতা। এঁদেরও কারো উচ্চ ডিগ্রি ছিল না। আশ্চর্যের বিষয় এই যে জগদীশচন্দ্র নিজেই চাইতেন যেন এঁরা কেউ আর পড়াশোনা না করেন।
          দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ব্যবস্থা ছিল এই যে কোনও কলেজে বা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানে কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধানের সার্টিফিকেট নিয়ে সরাসরি বিএসসি বা এমএসসি পরীক্ষা দেয়া যেতো। এমনকি মহেন্দ্রলাল সরকারের ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশান ফর দি কালটিভেশান অব সায়েন্সে বিজ্ঞান বক্তৃতা শুনে এবং সেখানে ল্যাবোরেটরির অভিজ্ঞতা থাকলেও পরীক্ষা দেয়া যেতো। বসু বিজ্ঞান মন্দিরে বছরের পর বছর কাজ করার পরেও কেউই পরীক্ষা দিতে পারেননি শুধুমাত্র জগদীশচন্দ্র চাননি বলে। একবার স্যার লায়ন্‌স নরেন্দ্রনাথকে ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্কলারশিপ দিয়ে বিদেশে নিয়ে গিয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণের সুযোগ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জগদীশচন্দ্র অনুমতি দেননি। বলেছিলেন, "তুমি যা জানো বা করতে পারো, ওদেশে গিয়ে কি তার চেয়ে বেশি কিছু শিখবে? যেতে হবে না।"[1]
          জগদীশচন্দ্রের সাথে মানিয়ে চলতে না পেরে বেশ কয়েকজন বিজ্ঞান-মন্দির ছেড়ে চলে যান। নরেন্দ্র সেন ও নরেন্দ্র নিয়োগী ফিরে যান প্রেসিডেন্সি কলেজে। বশীশ্বর সেন বিবেকানন্দর এক আমেরিকান শিষ্যা - গারট্রুড এমারসনকে বিয়ে করে ফেলেন। গারট্রুড ছিলেন একজন ধনাঢ্য বিধবা। বশীশ্বর সেন তাঁর টাকায় বিবেকানন্দ ল্যাবরেটরিজ নামে নিজেই একটি ইন্সটিটিউট গড়ে তোলেন। এটি একটি প্রতিষ্ঠিত কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে রূপান্তরিত হয়। ভারতের স্বাধীনতার পর সেটা কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদান পায়।
          জগদীশচন্দ্র ভারতীয় বিজ্ঞানের উন্নতির কথা বলতেন সত্য। কিন্তু আসলে চাইতেন শুধু নিজের গবেষণার উন্নতি। তা না হলে রামনকে তিনি এত অপছন্দ করতে পারতেন না। প্রেসিডেন্সি কলেজে তাঁর বর্তমানেই রামন ও তাঁর গ্রুপ গবেষণা শুরু করেছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। অথচ সেই সময় শুরু হলো আঞ্চলিকতার কোন্দল। রামনকে অবাঙালি বলে কোনঠাসা করতে চেয়েছেন জগদীশচন্দ্র তো বটেই - এমনকি মেঘনাদ সাহাও। জগদীশচন্দ্র বসুকে মাথায় তুলে নেচেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। অথচ রামন সম্পর্কে জগদীশচন্দ্রের দেখাদেখি রবীন্দ্রনাথও কোন প্রশংসা কখনো করেননি। এমনকি রামন নোবেল পুরষ্কার পাবার পরেও নয়।
          জগদীশচন্দ্র এতবার বিদেশে গেছেন। তৎকালীন ইওরোপের প্রায় সব বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী ও শারীরবিজ্ঞানীর সংস্পর্শে তিনি এসেছিলেন। কিন্তু আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের ক্রমবিবর্তন এবং নতুন বিজ্ঞানের প্রতি যে তাঁর জানার আগ্রহ ছিল তার কোন প্রমাণ আমরা পাই না। ১৮৯৪ থেকে ১৯০১/০২ পর্যন্ত তিনি পদার্থবিজ্ঞানের একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রে গবেষণা করেছেন এবং উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছেন। অথচ সেই একই ফিল্ডের যুগান্তকারী আবিষ্কার হলো ইলেকট্রন-এর আবিষ্কার। ১৮৯৭ সালে ইলেকট্রন আবিষ্কার করেন জে জে থমসন। থমসনের সাথে ব্যক্তিগত পরিচয় ছিল জগদীশচন্দ্রের। অথচ নিজের গবেষণার কোথাও তিনি ইলেকট্রন আবিষ্কারের পরের ইফেক্ট নিয়ে কাজ করেননি। ১৯১১ সালে যখন প্রোটন আবিষ্কৃত হয় এবং পুরো পদার্থবিজ্ঞানের ভিত্তিই নতুন করে তৈরি হতে থাকে - তার আগেই তিনি চলে গেছেন উদ্ভিদবিদ্যার গবেষণায়। কিন্তু ১৮৯৬ সালে আবিষ্কৃত হয়েছে রেডিও-অ্যাক্টিভিটি। এই বিষয়ে প্রধান বিজ্ঞানী হেনরি ব্যাকোয়ারেল ও মেরি কুরির সাথেও পরিচয় হয়েছিল জগদীশের। অথচ তিনি তেজষ্ক্রিয়তার বিজ্ঞানকে একটুও আত্মস্থ করেননি। তার প্রমাণ - তাঁর বিনা আলোকে ছবি তোলার দাবি। একটা অশ্বত্থ গাছের পাতার মধ্যে তড়িৎ-তরঙ্গ চালনা করে ফটোগ্রাফিক প্লেটে পাতাটির ছবি তুলেছিলেন তিনি। কিন্তু এই ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন ভুল। তিনি বলেছেন ইলেকট্রিসিটির ফলে পাতার সুপ্ত তেজস্ক্রিয়তা জেগে উঠেছে। অথচ ততদিনে এটা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে যে তেজস্ক্রিয়তার সুপ্ত বা জাগ্রত অবস্থা থাকে না। বাইরের কোন কিছু দিয়েই তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা প্রভাবিত করা যায় না।
          গাণিতিক দক্ষতা ছিল না জগদীশচন্দ্রের। কিন্তু তাঁর uncommon common sense বা অসাধারণ সাধারণ জ্ঞান ছিল যে কোন বিষয়ে। খুব কম মানুষের মধ্যেই এই গুণ দেখা যায়।
          রবীন্দ্রনাথ ও জগদীশচন্দ্রের মধ্যে যে বন্ধুত্ব সেটা খুব বিরল। এরকম প্রবল ব্যক্তিত্ববান দুজন মানুষের মধ্যে এত দীর্ঘদিন এরকম বন্ধুত্ব টিকে থাকা সহজ কথা নয়। জগদীশচন্দ্রের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যে ত্যাগ ও চেষ্টা দেখা যায়, সে তুলনায় রবীন্দ্রনাথের জন্য জগদীশচন্দ্রের চেষ্টা ততটা দেখা যায় না। রবীন্দ্রনাথ যখন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার জন্য খাটছেন তখন জগদীশচন্দ্র ভেবেছেন - রবীন্দ্রনাথ সম্ভবত বিজ্ঞান-মন্দিরের জন্য ততটা খাটছেন না।
          জগদীশচন্দ্র রবীন্দ্রনাথের সাথে অনেক মজাও করেছেন অনেক সময়। বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবন থেকে প্রকাশিত রবীন্দ্রবীক্ষার ৪৭তম সংকলনে প্রকাশিত প্রশান্তচন্দ্র মহ্লানবীশের দিনলিপি থেকে একটা মজার ঘটনার কথা জানা যায়। জগদীশচন্দ্র বসুর প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র ছিলেন হরেন মুখার্জি। তিনি তখন বি এ ক্লাসের ছাত্র। হরেন মুখার্জির কাছে শোনা এই ঘটনা। একদিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রেসিডেন্সি কলেজে গেলেন জগদীশচন্দ্রের সাথে দেখা করতে। জগদীশচন্দ্র জানতেন যে রবীন্দ্রনাথ যাবেন সেখানে। তিনি ছাত্রদেরও বলে রেখেছিলেন। কিন্তু যেই খবর পেলেন যে রবীন্দ্রনাথ আসছেন, জগদীশচন্দ্র তখনি একটা এক্সপেরিমেন্ট শুরু করলেন এবং এমন ভাব করে রইলেন যেন তন্ময় হয়ে এক্সপেরিমেন্ট করার কারণে কবি-বন্ধুর উপস্থিতি টেরই পাননি। রবীন্দ্রনাথ তো জগদীশচন্দ্রের একাগ্রতা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলেন।
          আরেকবার জগদীশচন্দ্র রবীন্দ্রনাথকে বললেন, "বন্ধু, তুমি আমার বোস ইন্সটিটিউটকে বিশ হাজার টাকা দাও, আর আমি তোমার বিশ্বভারতীকে বিশ হাজার টাকা দিই।"
          রবীন্দ্রনাথ বুঝতে না পেরে জিজ্ঞেস করলেন, "তাতে লাভ কী?"
          জগদীশচন্দ্র উত্তর দিলেন, "লোকে দেখবে যে আমরা পরস্পরকে সাহায্য করলাম।"[2]
          শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্রভক্ত সাহেব অ্যান্ড্রুজ যিনি দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ নামে পরিচিত ছিলেন - জগদীশচন্দ্র তাঁকে মনে করতেন ব্রিটিশ সরকারের গুপ্তচর। রবীন্দ্রনাথকে একথা বলার পর রবীন্দ্রনাথ তা বিশ্বাস করেননি। ফলে ১৯১৪ সালের পর আর একদিনও শান্তিনিকেতনে যাননি জগদীশচন্দ্র। ব্রিটিশ চরকে রবীন্দ্রনাথ নিজের কাছে রেখেছেন সে কারণেই তাঁর রাগ ছিল? নাকি রবীন্দ্রনাথ তাঁর অনুমানে সায় দেননি সেই কারণে রাগ? মনে হয় শেষেরটাই। কারণ ব্রিটিশদের সাথে সবচেয়ে বেশি ঊঠাবসা ছিল জগদীশচন্দ্রের।
          এ প্রসঙ্গে আরো একটা ঘটনা এখানে উল্লেখযোগ্য - ১৯১৯ সালে পাঞ্জাবে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর 'স্যার' উপাধি ত্যাগ করেছিলেন। সেই উপলক্ষে জগদীশচন্দ্র তাঁকে এক লাইনের একটা  চিঠি লিখে সমর্থন জানিয়েছিলেন ২/৬/১৯১৯ তারিখে। লিখেছিলেন, "বন্ধু তুমি ধন্য।" কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো দু'বছর আগে ১৯১৭ সালে জগদীশচন্দ্র বসু নিজেও ব্রিটিশ সরকারের "স্যার" উপাধি পেয়েছেন। তিনি কিন্তু তা পরিত্যাগ করেননি।  
          জগদীশচন্দ্র ছিলেন কর্মবীর। তিনি বিশ্বাস করতেন নিজ কর্তব্যে। এক্ষেত্রে তাঁর আদর্শ ছিল মহাভারতের কর্ণ। কর্ণ চরিত্রটিকে তিনি খুব পছন্দ করতেন। রবীন্দ্রনাথকে তিনি লিখেছিলেন, "ভীষ্মের দেবচরিত্রে আমরা অভিভূত হই, কিন্তু কর্ণের দোষগুণ মিশ্রিত অপরিপূর্ণ জীবনের সহিত আমাদের অনেকটা সহানুভূতি হয়।" তাঁর প্রভাবেই রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন 'কর্ণ-কুন্তী সংবাদ'-এর মতো বিখ্যাত কবিতা।
          মৈত্রেয়ী দেবীর লেখায় জগদীশচন্দ্রের জীবন-সায়াহ্নের একটি ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। দার্জিলিং-এর মায়াপুরীতে একটি পার্টিতে বাবা সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্তের সাথে গিয়েছে বারো-তেরো বছরের কিশোরী মৈত্রেয়ী। পার্টিতে সে ঘুরঘুর করছিলো জগদীশচন্দ্রের অটোগ্রাফ নেবে বলে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অটোগ্রাফ সহজেই পেয়ে গেছে। রবিঠাকুর শুধু অটোগ্রাফই দেননি, সাথে একটা ছবিও এঁকে দিয়েছেন। এবার আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর অটোগ্রাফ নিতে পারলে তাকে আর পায় কে। গুটি গুটি পায়ে বিজ্ঞানাচার্যের কাছে গিয়ে অটোগ্রাফের খাতা মেলে ধরে "একটা সই দেবেন?" বলতেই জগদীশচন্দ্র গর্জন করে উঠলেন: "এটা কি জন্তুর থাবা যে যেখানে সেখানে পড়বে? আমি ছেলে-ছোকরাদের সই দিই না, যারা গবেষণা করেছে, কাজকর্ম করেছে তাদের দিই।"[3]
          এটা কিন্তু জগদীশচন্দ্রের মেজাজের সামগ্রিক চিত্র নয়। এই জগদীশচন্দ্রই কিন্তু ছেলে-ছোকরাদের সাথে দাপাদাপি করেছেন পদ্মার চরে। রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিচারণে আমরা তা দেখেছি। নিজের কোন সন্তান না থাকার একটা কষ্ট তো তাঁর ছিলই। কিন্তু তা কখনোই প্রকাশ করেননি তিনি। শোককে নিরবে সহ্য করার শক্তি তাঁর ছিল।
          জগদীশচন্দ্রের ছিল অবিশ্বাস্য রকমের যান্ত্রিক দক্ষতা। সামান্য উপকরণকে কাজে লাগিয়ে সূক্ষ্ম কাজের উপযোগী সরল যন্ত্রপাতি তিনি তৈরি করতে পারতেন। স্বদেশীয় সাধারণ মানুষদের কর্মদক্ষতা দেখলে তিনি তা কাজে লাগাতে চেষ্টা করতেন। এ প্রসঙ্গে একটা ঘটনা উল্লেখযোগ্য: প্রেসিডেন্সি কলেজে নিজের অফিসে একদিন বিকেল বেলা বসে কাজ করছেন জগদীশচন্দ্র। এসময় মলিন পোশাকের উস্কুখুস্কু এক লোক এসে ঢুকলো। দেখে চিনতে পারলেন জগদীশচন্দ্র। লোকটার নাম নানকুরাম। প্রেসিডেন্সি কলেজের বেয়ারার কাজ করতো। কিন্তু অকর্মন্যতার অভিযোগে তার চাকরি যায়। এখন সংসার চলছে না দেখে আবার এসেছে যদি চাকরিটা পাওয়া যায়। লোকটার করুণ অবস্থা দেখে দয়া হলো জগদীশের। প্রিন্সিপালকে বলে নানকুরামকে আবার বেয়ারার চাকরি দেয়া হলো। কিছুদিন পর ল্যাবের একটি ডায়নামো নষ্ট হলে নানকুরাম যন্ত্রটি মেরামত করার অনুমতি চায়। জগদীশচন্দ্র অবাক হয়ে অনুমতি দেন। দেখতে চান সে কী করে। দেখা গেলো নানকুরাম খুব সহজেই যন্ত্রটি মেরামত করে ফেললো। কীভাবে করলো জিজ্ঞেস করলে সে উত্তর দিলো এর আগে ডায়নামোটি আরেকবার খারাপ হয়েছিল। তখন মিস্ত্রী যখন ওটা মেরামত করছিলো তখন নানকুরাম দেখেছে কীভাবে কী করতে হয়। পরে এই নানকুরামকে দিয়েও অনেক যন্ত্র তৈরি করিয়েছেন জগদীশচন্দ্র। নানকুরাম ছাড়াও মালেক, পুঁটিরাম, জামশেদ, ও রজনীকান্তের মতো অল্পশিক্ষিত কারিগরদের শিখিয়ে নিয়ে গবেষণার যন্ত্রপাতি বানিয়েছেন জগদীশচন্দ্র।
          তাঁর বৈজ্ঞানিক গবেষণার যে ধারা ছিল তা বড় বেশি পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ নির্ভর। পদার্থবিজ্ঞানে তাঁর গবেষণার সময়-কাল খুব বেশি ছিল না, কিন্তু তাঁর পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণাগুলিই পরে অনেক নতুন বিজ্ঞানের পথ প্রদর্শক হয়েছে।
          জগদীশচন্দ্র বসু নিজের মতের ব্যাপারে যে অনমনীয় ছিলেন তা আমরা তাঁর সব কাজেই দেখেছি। সেই ছোটবেলায় টাট্টু ঘোড়ার দৌড় থেকে শুরু করে ইওরোপীয় বিজ্ঞানীদের আসরেও দেখেছি তিনি পিছু হটেননি কখনো। এই ব্যাপারটাই তাঁকে নিয়ে গেছে সামনে, এনে দিয়েছে সাফল্য।
           তাইতো আইনস্টাইনের মতো মানুষও স্বীকার করেছেন,
জগদীশচন্দ্র পৃথিবীকে যেসব অমূল্য তত্ত্ব উপহার দিয়েছেন, তার যে কোনটির জন্যে বিজয়স্তম্ভ স্থাপিত হওয়া উচিত।



[1] সুবীর কুমার সেন, ব্যক্ত অব্যক্ত, পৃ ৫১।
[2] নিত্যপ্রিয় ঘোষ, ব্যক্ত অব্যক্ত, পৃ ২৮০।
[3] মৈত্রেয়ী দেবী, স্বর্গের কাছাকাছি।


Latest Post

The Rituals of Corruption

  "Pradip, can you do something for me?" "Yes, Sir, I can." "How can you say you'll do it without even know...

Popular Posts