৭০তম জন্মদিন
১৯২৮ সালে
জগদীশচন্দ্রের বয়স হলো ৭০ বছর। কিন্তু সমানে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। তাঁর ত্রয়োদশ গ্রন্থ Motor Mechanism of Plants প্রকাশিত হয় এবছর। তাঁর বিজ্ঞান-মন্দিরের বয়সও ১১ বছর হয়ে গেলো।
৩০শে নভেম্বর
সত্তর বছর পূর্তি উপলক্ষে ১লা ডিসেম্বর বসু বিজ্ঞান মন্দিরে সম্বর্ধনা দেয়া হয়
জগদীশচন্দ্রকে। বাংলার প্রায় সব বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন সেই সভায়।
কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অসুস্থতার কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে তিনি
"শ্রীযুক্ত জগদীশচন্দ্র বসু" শীর্ষক একটি দীর্ঘ কবিতা লিখে পাঠান।
অনুষ্ঠানে সেই কবিতাটি পাঠ করা হয়:
"যেদিন ধরণী ছিল ব্যথাহীন বাণীহীন মরু,
প্রাণের আনন্দ নিয়ে, শঙ্কা
নিয়ে, দুঃখ নিয়ে, তরু
দেখা দিল দারুণ নির্জনে।
কত যুগ যুগান্তরে
কান পেতে ছিল স্তব্ধ
মানুষের পদশব্দ তরে
নিবিড় গহন তলে। যবে এল
মানব অতিথি,
দিল তারে ফুল ফল,
বিস্তারিয়া দিল ছায়াবীথি।
ভারত এবং
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মনিষীরা শুভেচ্ছা-বাণী পাঠান জগদীশচন্দ্রের ৭০তম জন্মদিন
উপলক্ষে। ভিয়েনার বিখ্যাত উদ্ভিদবিজ্ঞানী প্রফেসর মোলিশ তখন বিজ্ঞান-মন্দিরে
সম্মানিত অতিথি। জগদীশচন্দ্র বসুর জন্মদিন এবং বিজ্ঞান-মন্দিরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
উপলক্ষে তিনি কলকাতায় চলে এসেছেন। সেবার তিনি এক বছর বিজ্ঞান-মন্দিরে থেকে
জগদীশচন্দ্রের গবেষণাগুলো দেখেছেন এবং পরে ভিয়েনায় গিয়ে তা প্রয়োগ করেছেন।
জগদীশচন্দ্রের প্রেসিডেন্সি কলেজের এবং
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের অনেকেই এসেছিলেন সেই অনুষ্ঠানে।
এলাহাবাদ থেকে এসেছিলেন অধ্যাপক মেঘনাদ সাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গিয়েছিলেন
সত্যেন বসু। জগদীশচন্দ্রের ভাগনে অধ্যাপক দেবেন্দ্রমোহন বসুও ছিলেন সেখানে।
No comments:
Post a Comment