বিদায় কলকাতা
১৯৩১ সালে
কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মেয়র ছিলেন ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায়।
কর্পোরেশনের উদ্যোগে রামনকে নাগরিক সম্বর্ধনা দেয়া হয় ১৯৩১ সালের ২৬ জুন।[1] কর্পোরেশনের
মিলনায়তনের নিচের তলায় সিঁড়ির কাছে রামনকে অভ্যর্থনা জানান মেয়র, ডেপুটি মেয়র, এবং
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। রামন তাঁর বক্তৃতায় কলকাতাকে এশিয়ার জ্ঞানের নগরী বলে
আখ্যায়িত করেন। সম্বর্ধনা সভায় রামন দু'জন মানুষের প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা
জানান। একজন হলেন ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার। তাঁর কাল্টিভেশান সেন্টার ছিল ভারতের
প্রথম বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠান। সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় তিনি ঐ প্রতিষ্ঠান গড়ে
তুলেছিলেন। আর অন্যজন হলেন স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। তিনি কলকাতাকে সত্যিকারের
বিদ্যা-নগরীতে পরিণত করেছিলেন।
রামন কলকাতাকে একেবারে নিজের করে
নিয়েছিলেন। ১৯০৭ থেকে ১৯৩২ এই পঁচিশ বছরে তিনি কলকাতায় বসে সাফল্যের সর্বোচ্চ
শৃঙ্গে ঊঠেছেন। তাঁর হাতেই প্রাণ পেয়েছে মহেন্দ্রলাল সরকারের প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়ান
অ্যাসোসিয়েশান ফর দি কাল্টিভেশান অব সায়েন্স। এই প্রতিষ্ঠানকে তিনি এনে দিয়েছেন
নোবেল পুরষ্কার। এই প্রতিষ্ঠান থেকেই তিনি প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রথম
পদার্থবিজ্ঞান গবেষণা-সাময়িকী 'ইন্ডিয়ান জার্নাল অব ফিজিক্স'। কলকাতাতেই সারাজীবন
থেকে যাবেন ভেবে কলকাতায় জমিও কিনেছিলেন স্যার রামন। কিন্তু কলকাতা ছেড়ে চলে যেতে
হলো তাকে।
টাটাগোষ্ঠী ব্যাঙ্গালোরে প্রতিষ্ঠা
করেছিলেন ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স। ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট হলেও এই
প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও অধ্যাপকদের প্রায় সবাই ছিলেন ইওরোপিয়ান। পরিচালক স্যার
মার্টিন ফরস্টার অবসরে যাবেন ১৯৩৩ সালের এপ্রিল মাসে। পরবর্তী পরিচালক
খোঁজা হচ্ছে। এত বড় প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া অনেক
দীর্ঘ। ১৯৩১ সালের জুলাই মাসে দুটো কমিটি গঠন করা হলো উপযুক্ত মানুষ খুঁজে বের
করার জন্য। একটি কমিটি ব্রিটেনে, অন্যটি ইন্ডিয়ায়। ব্রিটিশ কমিটির প্রধান ছিলেন
নোবেলবিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী স্যার উইলিয়াম ব্র্যাগ। ইংল্যান্ডে যেসব আবেদনপত্র জমা
হয়েছিল সেগুলো জমা রেখে কমিটি প্রাথমিক মন্তব্য করেছিল, “ইন্ডিয়ার জন্য
এখন তো আর ইংল্যান্ড থেকে কাউকে নিয়ে যাবার দরকার নেই যেখানে সি ভি রামনের মত
যোগ্য লোক রয়েছেন। স্যার রামন যদি ইন্সটিটিউটের পরিচালক পদ গ্রহণ করতে রাজি হন,
তাহলে আর কাউকে খোঁজার দরকার নেই।”[2]
১৯৩২ সালের ১৮ জুলাই ইন্সটিটিউট
কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নেয় যে স্যার সি ভি রামনকে ইন্সটিটিউটের ডিরেক্টর পদে নিয়োগ
দেয়া হবে। ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের কাউন্সিল রামনকে পরিচালক পদ গ্রহণ করার জন্য
অনুরোধ করলেন। রামন খুব অবাক হয়ে গেলেন। ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউটের ডিরেক্টর পদ বেশ
ভালো পদ নিঃসন্দেহে, কিন্তু তিনি এই পদের জন্য তো আবেদনই করেননি।
কলকাতার সবকিছু ছেড়ে তিনি
ব্যাঙ্গালোরে যেতে রাজি নন এখনি। তবে এখনো হাতে সময় আছে বেশ কয়েক মাস। তিনি
সিদ্ধান্ত নিলেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৩৩ সালের ১লা এপ্রিল থেকে ১৫ মাসের বিনাবেতন
ছুটি নেবেন। তিনি প্রস্তাব করলেন সেই সময়টুকু অধ্যাপক দেবেন্দ্র মোহন বসু
ডিপার্টমেন্টে রামনের দায়িত্ব পালন করবেন। আর অ্যাসোসিয়েশানের দায়িত্ব তিনি নিজেই
পালন করতে পারবেন ব্যাঙ্গালোর থেকে। তিনি ভেবেছিলেন সবকিছু তাঁর পরিকল্পনা অনুযায়ী
হবে। কিন্তু একটা বড় ধাক্কা খেলেন রামন।
নোবেল পুরষ্কার পাবার পর সারাদেশ
রামনকে মাথায় তুলে নাচলেও কলকাতায় রামন-বিরোধী গ্রুপ দাঁড়িয়ে গেছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
নোবেল পুরষ্কার পাওয়ার পর কলকাতার বাঙালিদের মধ্যে যেরকম উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছিল,
রামনের ব্যাপারে সেরকম উচ্ছ্বাস একটুও দেখা গেল না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্যার
জগদীশচন্দ্র বসুর বিজ্ঞান-গবেষণার ব্যাপারে উচ্চকন্ঠ ছিলেন, কিন্তু রামনের
ব্যাপারে ছিলেন একেবারেই চুপ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অন্যান্য
বাঙালি অধ্যাপকদের মনে কিছুটা ঈর্ষার মেঘ জমতে শুরু করলো। ব্যাক্তিত্বের সংঘাত
স্পষ্ট হয়ে উঠলো। এতদিন যাঁরা রামনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন তাঁরাই আস্তে আস্তে
রামনের খুঁত বের করতে শুরু করলেন। রামনের ক্ষুরধার জিভ থেকে যে সোজাসাপ্টা
কথাগুলো সব সময় বেরোয় সেই অপ্রিয় সত্যকথাগুলো কেউ আর সহ্য করতে রাজি নন।
১৯৩২ সালের শেষের দিকে কলকাতার বাংলা
সংবাদপত্রে রামন-বিরোধী ফিচার প্রকাশিত হতে শুরু করলো। রামনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
তোলা হলো তিনি পালিত প্রফেসরশিপের অমর্যাদা করছেন। অ্যাসোসিয়েশানকে তিনি
মাদ্রাজিদের আখড়ায় পরিণত করে ফেলেছেন। বাংলায় বাস করে, বাংলার খেয়ে তিনি
মাদ্রাজিদের নিয়ে আসছেন অ্যাসোসিয়েশানে। অথচ তাঁর ছাত্রদের মধ্যে যে প্রচুর বাঙালি
ছিল তা আমরা দেখেছি।
বাঙালি রাজনীতিপরায়ণ। যে কোন বিষয়কে
রাজনৈতিক রূপ দিতে আমাদের জুড়ি নেই। রামনের ব্যাপারে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।
বলা হলো রামন অ্যাসোসিয়েশানের সম্পাদক হবার অনুপযুক্ত। পত্রিকায় অভিযোগ তোলা হলো
যে রামন অ্যাসোসিয়েশানে বাঙালিদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করতে চাচ্ছেন। কিন্তু আসল
ব্যাপারটা ছিল অন্যরকম। আগে নিয়ম ছিল এককালিন পাঁচশ রুপি দিয়ে অ্যাসোসিয়েশানের
আজীবন সদস্য হতে পারতেন যে কেউ। এই আজীবন সদস্যরা অ্যাসোসিয়েশানকে ক্লাবের মতো
ব্যবহার করতে চাইতেন। রামন এই অবাধ সসস্যপদের ব্যাপারে আপত্তি তুলেছিলেন। তিনি
প্রস্তাব করেছিলেন অ্যাসোসিয়েশানের সদস্য হতে হলে কমপক্ষে কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে,
বিজ্ঞানের প্রতি সত্যিকারের ভালোবাসা থাকতে হবে। কিন্তু তাঁর এই প্রস্তাব প্রচন্ড
বিরোধিতার মুখে পড়লো।
রামন বুঝতে পারছিলেন তাঁকে চলে যেতে
হবে। কিন্তু আই-এ-সি-এস এর দায়িত্ব উপযুক্ত কারো হাতে না দিয়ে তিনি কীভাবে
ব্যাঙ্গালোরে যাবেন? অ্যাসোসিয়েশানের সুনাম এবং অর্থনৈতিক অবস্থা তখন অনেক ভালো।
রামন ভাবলেন ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকারের নামে অধ্যাপকের পদ সৃষ্টি করবেন এবং সেই
পদে যিনি আসবেন তাঁর হাতেই তুলে দেবেন অ্যাসোসিয়েশানের সব দায়িত্ব।
এদিকে অধ্যাপক মেঘনাদ সাহা তখন
এলাহাবাদে। ১৯২১ সালে ইউরোপ থেকে ফিরে এসে তিনি কলকাতা ইউনিভার্সিটিতে যোগ
দিয়েছিলেন। কিন্তু ডিপার্টমেন্টের অর্থনৈতিক দুরাবস্থার কারণে তাঁর কোন
ল্যাবোরেটরি ছিল না। ফলে গবেষণার সুযোগের জন্য তিনি এলাহাবাদ ইউনিভার্সিটিতে যোগ
দিয়েছিলেন। কিন্তু এলাহাবাদেও তিনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছিলেন না। ফলে দশ
বছরের মধ্যেই তিনি কলকাতায় ফিরে আসার জন্য অস্থির হয়ে উঠেছিলেন। অ্যাসোসিয়েশানে
মহেন্দ্রলাল সরকারের নামে নতুন অধ্যাপক পদ সৃষ্টির প্রক্রিয়ার কথা শোনার পর তিনি সেই পদের জন্য
আগ্রহী হয়ে উঠলেন। সি ভি রামনকে চিঠি লিখে জানালেন নিজের আগ্রহের কথা।
প্রফেসর মেঘনাদ সাহা সেই পদের জন্য
খুবই যোগ্য মানুষ। কিন্তু রামনের মনে হলো অধ্যাপক সাহার গবেষণার গতি স্থিমিত হয়ে
পড়েছে। মেঘনাদ সাহার বয়স তখন প্রায় চল্লিশ। রামন অ্যাসোসিয়েশানের জন্য আরো তরুণ
কাউকে খুঁজছিলেন যার গবেষণায় এখনো গতি আছে। রামনের দৃষ্টিতে সাহার চেয়ে কৃষ্ণান-ই
বেশি উপযুক্ত নতুন এই পদের জন্য।
ইতোমধ্যে ১৯২৮ সালে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে যোগ দিয়ে ক্রিস্টাল ম্যাগনেটিজম বিষয়ে গবেষণায় নতুন
দিগন্তের সূচনা করেন কৃষ্ণান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমিত সুযোগের মধ্যে বসে
পরবর্তী পাঁচ বছরে এ বিষয়ে ব্যাপক গবেষণা করেন তিনি। ১৯২৮ থেকে ১৯৩৩ - এই পাঁচ
বছরে ক্রিস্টালের গঠন সম্পর্কিত যুগান্তকারী সব কাজ করেছেন তিনি এখানে। কৃষ্ণানের
বিশটি গবেষণা-পত্র প্রকাশিত হয় এই পাঁচ বছরে। সাম্প্রতিক কালে কার্বন সায়েন্সের যে
অগ্রগতি হচ্ছে তাতে অনেক বছর আগে প্রকাশিত গ্রাফাইটের এন-আইসোট্রপিক চৌম্বকধর্ম
সংক্রান্ত কৃষ্ণানের গবেষণাপত্রগুলোর ব্যাপক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।[3] ক্রিস্টালের
গঠন সংক্রান্ত কৃষ্ণানের গবেষণাগুলো কাজে লাগে ঘনবস্তুর (কনডেন্সড ম্যাটার)
চৌম্বকতত্ত্বের প্রতিষ্ঠায়।[4] কোয়ান্টাম
মেকানিক্সের প্রাথমিক যুগে চৌম্বকত্বের বিভিন্ন ধর্মের ব্যাখ্যা দেয়ার ক্ষেত্রে
কোয়ান্টাম মেকানিক্সের ব্যবহার শুরু করেন কৃষ্ণান। এর জন্য যে সব পরীক্ষা তিনি
করেন পরবর্তীতে সেগুলো চৌম্বকধর্ম বোঝার ক্ষেত্রে মাইলফলক হিসেবে স্বীকৃত হয়।[5]
সুতরাং রামন মেঘনাদ সাহাকে
লিখে জানালেন তাঁর সিদ্ধান্তের কথা। মেঘনাদ সাহা চিঠি পেয়ে খুবই অপমানিত বোধ
করলেন। ফল যা হলো তা সাংঘাতিক। রামনের সাথে সরাসরি কোন বিরোধিতায় এপর্যন্ত জড়াননি
প্রফেসর সাহা। মেঘনাদ সাহার 'Treatise on Heat' বইয়ের ভূমিকা লিখে দিয়েছিলেন স্যার রামন। তখনো পর্যন্ত ফর্মাল সম্পর্ক ছিল
তাঁদের মধ্যে। কিন্তু রামন নোবেল পুরষ্কার পাবার পর অধ্যাপক সাহা বেশ হতাশ
হয়েছিলেন। কারণ দেবেন্দ্রমোহন বসুর কাছে তিনি শুনেছিলেন যে সেই বছর নোবেল
পুরষ্কারের জন্য সাহার নাম সুপারিশ করা হয়েছে। সেটাও সহ্য করা যায়। কিন্তু এখন
অ্যাসোসিয়েশানে প্রস্তাবিত 'মহেন্দ্রলাল সরকার অধ্যাপক' পদে রামন অধ্যাপক সাহাকে প্রত্যাখ্যান
করলেন। সাহা ক্ষেপে গেলেন। তিনি ব্যাপারটাকে রাজনৈতিক রূপ দিলেন। স্যার আশুতোষ
মুখার্জির ছেলে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি তখন কলকাতার রাজনৈতিক নেতা। অধ্যাপক সাহা
তাঁকে বোঝালেন যে রামন যা করছেন তাতে কলকাতার ক্ষতি হবে। শ্যামাপ্রসাদ এবং তাঁর
দলের নেতৃত্বে জনপ্রতি পাঁচশ রুপি করে দিয়ে অ্যাসোসিয়েশানে অনেক নতুন আজীবন-সদস্য করানো
হলো।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রামনের ছুটি মঞ্জুর
করলো না। 'পালিত প্রফেসর' পদ থেকে পদত্যাগ করলেন রামন। ২৪ মার্চ ১৯৩৩ একটা স্টিমারে
করে রামন পরিবারের সবাইকে নিয়ে মাদ্রাজ রওনা হলেন। ২৮ মার্চ মাদ্রাজে পৌছে সেখান
থেকে গাড়িতে ব্যাঙ্গালোর পৌঁছলেন ৩০ মার্চ।
অ্যাসোসিয়েশানের সেক্রেটারি পদে তখনো আছেন
রামন। মে মাসের ২০ তারিখ 'মহেন্দ্রলাল সরকার প্রফেসর' পদে যোগ দিলেন কৃষ্ণান।[6]
১৯৩৪ সালের অ্যাসোসিয়েশানের
বার্ষিক সাধারণ সভায় রামনের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় দাঁড় করানো হলো। নতুন বাঙালি সদস্যরা
সবাই রামন-বিরোধী। কাউন্সিলের ভোটে অ্যাসোসিয়েশানের সেক্রেটারির পদ থেকে রামনকে
সরিয়ে দেয়া হলো। শুধু তাই নয় অ্যাসোসিয়েশানে রামনের সদস্যপদও বাতিল করা হলো। যে অ্যাসোসিয়েশান
রামনের গৌরবে গৌরবান্বিত হয়েছে - সেই অ্যাসোসিয়েশান থেকে 'গণতান্ত্রিক' পদ্ধতিতে
সরিয়ে দেয়া হলো স্যার সি ভি রামনকে।
রামনের পর ১৯৪২ সাল পর্যন্ত
অ্যাসোসিয়েশানে ছিলেন কৃষ্ণান। এখান থেকেই তিনি রয়েল সোসাইটির ফেলোশিপ পান ১৯৪০
সালে। স্যার রামন নিজে প্রস্তাব করেছিলেন কৃষ্ণানের নাম। কৃষ্ণান এলাহাবাদ ইউনিভার্সিটিতে
চলে গেলে অ্যাসোসিয়েশানের ভার নেন অধ্যাপক মেঘনাদ সাহা। তাঁর নেতৃত্বে অ্যাসোসিয়েশান
আরো বড় ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হয়। ইন্ডিয়ান অ্যসোসিয়েশান ফর দি কাল্টিভেশয়ান অব
সায়েন্স এখন একটি প্রথম সারির পূর্ণাঙ্গ গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
[3] M. S. Dresselhaus, G. Dresselhaus, and A.K. Ramdas, Impact of K. S. Krishnan on contemorary
carbon science research. Current Science, 1998. 75(10): p. 1212-1216.
[4] A. K. Ramdas and H. Alawadhi, Magneto-optics of II-VI diluted magnetic semiconductors. Current
Science, 1998. 75(11): p. 1216-1221.
[5] A. K. Raychaudhuri, Modern magnetism and the pioneering experiments of K. S. Krishnan.
Current Science, 1998. 75(11): p.
12071211.
No comments:
Post a Comment