18
আমি ‘হ্যাঁ’ বলবো কি ‘না’ বলবো বুঝতে না পেরে ইন্টারভিউ বোর্ডে ভ্যাবাচেকা খাওয়া চাকরিপ্রার্থীর মতো ভাবলেশহীন নিরীহ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম সুচরিত স্যারের দিকে। তাঁর পরনের সাদা-কালো চেকের শার্টটা নতুন। সম্ভবত এবারের ঈদ উপলক্ষে কিনেছেন। তাঁর মাথার চুলের পশ্চাৎগামী ঢেউয়ের স্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। গোঁফ-টানায় ব্যস্ত তাঁর বাম হাতের দিকে তাকিয়ে দেখলাম সেখানে আঙটির সংখ্যাও একটি বেড়েছে; তর্জনি আর অনামিকার পাথরগুলোর মাঝখানে মধ্যমাতে এখন একটির জায়গায় দুটি আংটির লাল-সবুজ পাথরের ঘনবসতি।
“জানেন না তো? প্রিন্সিপাল স্যারের রুমে গিয়ে বলে দেখেন যে ক্লাস সেভেনের ক্লাস নিতে পারবেন না – তখন বুঝবেন মুখে ঝাঁমা ঘষে দেয়া কাকে বলে।“ - সুচরিত স্যারের মুখ থমথম করছে রাগে কিংবা ক্ষোভে। ঘটনা কী জানার জন্য যথাসম্ভব নিচুস্বরে জানতে চাইলাম, “আপনি গিয়েছিলেন নাকি প্রিন্সিপালের রুমে?”
“নইলে আর বলছি কেন? আপনি তো গতকাল আসেননি।“
আমি যে গতকাল আসিনি সেই কথাটি সকাল থেকে অন্তত সাত-আটজনের কাছ থেকে সাত-আট রকমের ভঙ্গিতে শুনেছি। সকালে ছুটতে ছুটতে কোন রকমে বাসে উঠতে না উঠতেই ছোলাইমান স্যার বললেন, “আপনি গতকাল আসেননি কেন?”
আমি বেশ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, “কাল কেন কলেজে যাবো? গতকাল পর্যন্ত ছুটি ছিল না?”
“স্টুডেঁন্টদেঁর জঁন্য ছুঁটি ছিঁল। টিঁচারদের জঁন্য কঁলেঁজ এঁকদিঁন আঁগে খোঁলে।“
ছোলাইমান স্যারের গলার স্বর হঠাৎ এমন ভুতুড়ে হয়ে যাবার কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখলাম তিনি বৃদ্ধাঙ্গুষ্টি ও তর্জনি সহযোগে নাসারন্ধ্রের লোম উৎপাটনে ব্যস্ত।
মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের ১৯ তারিখ পর্যন্ত রমজানের ছুটি ছিল কলেজের। ছুটির দিনে সময় দ্রত শেষ হয়ে যায়। একটা মাস যে কীভাবে শেষ হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না। এতদিন দেরি করে ঘুম থেকে উঠতে উঠতে আজকে সকালে আর উঠতেই পারছিলাম না। আরেকটু হলেই বাস ফেল করতাম। গুলজার সিনেমার সামনে এসেই আমার রিকশার চেন পড়ে গেল। আর প্রায় সাথে সাথেই পাশ দিয়ে দ্রুত বেগে চলে এলো এয়ারফোর্সের গাড়ি। রিকশাওয়ালাকে কোন রকমে টাকাটা দিয়ে ছুটতে ছুটতে এসে গাড়িতে উঠেই ছোলাইমান স্যারের কাছে শুনলাম যে আমি গতকাল কলেজে যাইনি।
তারপর পাঁচলাইশ, মুরাদপুর, টাইগারপাস পার হয়ে আগ্রবাদে এসে আবার শুনতে হলো। আগ্রাবাদ থেকে অঞ্জন স্যার উঠে পাশে বসেই বললেন, “তুমি তো গতকাল আসনি।“
“হ্যাঁ, গতকাল যাইনি। আমি জানতাম না। আমি ভেবেছিলাম গতকাল পর্যন্ত ছুটি ছিল। কোন নোটিশ তো দেয়নি।“
“ছুটির তালিকায় লেখা আছে।“
“ছুটির তালিকা তো আমি পাইনি।“
“ছুটির তালিকা গতকাল দিয়েছে। কিন্তু তুমি তো গতকাল আসনি।“
আমি বুঝতে পারছি না কীভাবে কী হচ্ছে। গতকাল যদি ছুটির তালিকা দিয়ে থাকে – তাহলে সবাই আগে থেকে কীভাবে জানেন যে গতকাল খোলা ছিল। হয়তো নোটিশ জারি হয়েছিল। কলেজ যেদিন ছুটি হয় সেদিন মন্ত্রী আসার কারণে তাড়াহুড়োর মধ্যে আমি দেখিনি সেই নোটিশ।
“নতুন রুটিন দেখেছো?” – প্রশ্নটা করে আমি কিছু বলার আগেই অঞ্জন স্যার বললেন, “ওহ্ দেখবে কীভাবে? তুমি তো কাল আসনি।“
“হ্যাঁ, আমি গতকাল কলেজে যাইনি।“ – যথাসম্ভব শান্তস্বরে বললাম।
“তোমাকে ক্লাস সেভেনের ক্লাসটিচার করা হয়েছে।“
“মানে কী? আমাকে ক্লাস সেভেনে ক্লাস নিতে হবে?” – অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম।
“তোমাকে তো আরো নিচের দিকের ক্লাস দিতে চেয়েছিল। আমি অনেক বলে-কয়ে তোমাকে ক্লাস সেভেনে এনেছি। আমার নিজের ক্লাস তোমার জন্য ছেড়ে দিয়েছি। আমিই তো গতবছর ক্লাস সেভেনের ক্লাসটিচার ছিলাম। ক্লাস সেভেনের অংক করাতাম আমি।“
“এবছর থেকে আমি ক্লাস সেভেনের অংক করাবো?”
“হ্যাঁ। কোন সমস্যা হবে না। তুমি যেটা পারবে না, আমি দেখিয়ে দেবো।“
“আপনি এবার কোন্ ক্লাস নিচ্ছেন?”
“আমি এবার ক্লাস ফাইভে যাচ্ছি।“
অঞ্জন স্যার নিজের ক্লাস আমাকে ছেড়ে দিয়ে আমার এত বড় উপকারটা কেন করছেন জানি না। এই কলেজের শিক্ষা-পদ্ধতি আমি ঠিক বুঝতে পারছি না। আমাকে তো নিয়োগ দেয়া হয়েছে পদার্থবিজ্ঞানের লেকচারার হিসেবে। তাহলে আমাকে কেন ক্লাস সেভেনের অংক ক্লাস নিতে হবে? যে কোনো ক্লাসে গিয়ে ক্লাস নিতে আমার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু পুরো ব্যাপারটা বুঝতে পারলে কাজ করতে সুবিধা হয়। কিন্তু কাকে জিজ্ঞেস করবো?
গাড়ি থেকে নেমে গেট দিয়ে ঢোকার সময় পেছন থেকে ছুটে এলেন কাদের সাহেব।
“অ ছার, অঁনে ত গতকাইল ন আইয়ন।“
“জ্বি কাদের ভাই, আঁই গতকাইল ন আই।“
কাদের সাহেব কলেজের অ্যাকাউন্ট্যান্ট। কলেজে জয়েন করেছেন আমার কাছাকাছি সময়ে বা তার কিছুদিন আগে। আমি জয়েন করার কিছুদিন পরেই নিজে এসে পরিচয় দিয়ে গেছেন – তাঁর বাড়ি আমাদের বাড়ি থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে। তারপর থেকে আমার সাথে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষাতেই কথাবার্তা হয়। কাদের সাহেব বললেন, “স্যার, গতকালের একটা ছুটির দরখাস্ত মনে করে জমা দিয়ে দেবেন।“
“আচ্ছা, ঠিক আছে কাদের ভাই।“
“মনে করে দিয়েন স্যার। প্রিন্সিপাল স্যার বলে দিয়েছেন – অনুমোদিত ছুটি ছাড়া অনুপস্থিত থাকলে বেতন কাটতে। আমাকে স্যার বেতনের বিল রেডি করতে হবে।“
একদিন কলেজে না এলেই যে এত ঝামেলা হয় তা জানা ছিল না। গতকালই যে আসতে হবে তা জানলে তো আসতাম। ভাইস-প্রিন্সিপালের রুমে গিয়ে অ্যাটেনডেন্স খাতায় সাইন করতে গিয়ে দেখলাম গতকালের তারিখে আমাকে অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে। আজকের তারিখে সাইন করে মুখ তুলতেই ভাইস-প্রিন্সিপাল ম্যাডাম বললেন, “প্রদীপ, আপনি গতকাল আসেননি।“
“জ্বি ম্যাডাম। আমি জানতাম না যে গতকাল কলেজ খোলা ছিল।“
“আপনার নতুন ক্লাস রুটিন লিখে নেন। আপনাকে ক্লাস সেভেনের ক্লাসটিচার করা হয়েছে, আর গণিত ক্লাস দেয়া হয়েছে।“
ভাইস প্রিন্সিপাল ম্যাডামের ডেস্কে দুটো বড় বড় হার্ড-পেপারে রুটিন লেখা আছে। একটাতে ক্লাস ওয়ান থেকে টুয়েল্ভ পর্যন্ত ক্লাস অনুসারে সাজানো রুটিন, আরেকটাতে শিক্ষকদের নাম অনুসারে লেখা আছে কোন্দিন কোন্ পিরিয়ডে কী ক্লাস। ক্লাস রুটিন লিখতে গিয়ে গুণে দেখলাম সপ্তাহে আমার ঊনত্রিশটি ক্লাস। সপ্তাহে মোট ক্লাসের সংখ্যা ৩৯টি। এতদিন সপ্তাহে মাত্র ১৫টি ক্লাস নিচ্ছিলাম। এখন ক্লাসের সংখ্যা এক লাফে দ্বিগুণ হয়ে গেল।
ভাইস-প্রিন্সিপাল ম্যাডামের রুম থেকে বের হয়ে টিচার্স-রুমের দিকে যাচ্ছিলাম। সংযুক্তা ম্যাডামের ডাকে থামলাম।
“প্রদীপ, আপনার সাথে একটু কথা আছে।“
“বলেন ম্যাডাম।“
“আপনি তো গতকাল আসেননি।“
“হ্যাঁ ম্যাডাম, আমি গতকাল আসিনি।“
“আপনাকে ক্লাস সেভেনের হাজিরা-খাতা ইত্যাদি দেখিয়ে দিতাম। এখন তো আপনি ক্লাসটিচার।“
“এখন দেবেন?”
“ফার্স্ট পিরিয়ড আপনার। অ্যাসেম্বলির পর দেব। বেশিক্ষণ লাগবে না।“
“ঠিক আছে ম্যাডাম।“
টিসার্চ-রুমে ঢুকতেই সুচরিত স্যার জিজ্ঞেস করলেন, “আপনাকে ক্লাস সেভেনের অংক দিয়েছে না?”
“হ্যাঁ। আপনাকে?”
“ক্লাস সিক্সের অংক।“
“আমাকে ক্লাস থ্রি” – আমার ডানপাশে বসা আলী হায়দার স্যার বললেন।
সামনের ডেস্ক থেকে আবুল হোসেন খান বললো, “আমাকে ক্লাস ফোর।“
মনে হচ্ছে আমরা যারা নতুন জয়েন করেছি – ঠিক বুঝতে পারছি না কেন আমাদের স্কুলের ক্লাস দেয়া হলো। আলী হায়দার বোটানির ডেমনেস্ট্রেটর পদে জয়েন করেছেন। আবুল হোসেন খান জয়েন করেছে ফিজিক্সের ডেমনেস্ট্রেটর পদে। আমাদের সবার নিয়োগ কলেজে। তাহলে স্কুলে ক্লাস নিতে হবে কেন? স্কুলের জন্য তো আলাদা নিয়োগ-প্রাপ্ত শিক্ষক আছেন।
“আচ্ছা, আমাদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারে কি লেখা আছে যে আমাদের স্কুলে ক্লাস নিতে হবে? চলেন আমরা প্রিন্সিপালের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করি।” – সুচরিত স্যারের দিকে তাকিয়ে কথাগুলো বলতেই তিনি ক্ষোভ ঝাড়লেন আমার ওপর, “মুখে ঝাঁমা ঘষে দেয়া কাকে বলে জানেন?”
ঝাঁমা বস্তুটা কেউ ইচ্ছে করে বানায় না। ইট পোড়ানোর সময় মাঝে মাঝে কিছু ইট বেশি পুড়ে গিয়ে ঝাঁমা হয়ে যায়। সেগুলো বিশেষ কোন কাজে লাগে না। অথচ সেই খসখসে ছিদ্রযুক্ত বস্তুটা বাংলা প্রবচনে বেশ দাপট দেখায়। সুচরিত স্যার রসায়নের মানুষ। ঝাঁমার বৈজ্ঞানিক ব্যুৎপত্তির নাড়ি-নক্ষত্র আমার চেয়ে অনেক ভালো জানেন। তাঁকে ঝাঁমা নিয়ে ঘাটানো ঠিক হবে না। জানতে চাইলাম গতকাল কী হয়েছিল।
জানা গেল তিনি গতকাল প্রিন্সিপাল স্যারকে জিজ্ঞেস করেছিলেন এ ব্যাপারে। প্রিন্সিপাল স্যার তাঁর মুখে ঝাঁমা ঘষে দিয়েছেন। বলেছেন, নিয়োগপত্রে পরিষ্কার লেখা আছে, কর্তৃপক্ষ যে সব কাজ করতে বলবেন সব করতে হবে। ভাবলাম বাসায় গিয়ে নিয়োগপত্রটি আবার ভালো করে পড়ে দেখতে হবে।
ফারুকী স্যার এতক্ষণ ধরে আমাদের কথাগুলো শুনছিলেন। এবার বললেন, “যত নিচের দিকের ক্লাস নেবেন, ততই আরামে থাকবেন। ক্লাস থ্রি-ফোরে অংক করাবেন, প্রায় সবাই ১০০ করে পাবে, সবাই খুশি থাকবে। কারো কোন অভিযোগ থাকবে না। আমি তো চাই, আমাকে ক্লাস থ্রি-ফোরের ক্লাস দেয়া হোক।“
আমি বললাম, “না স্যার, যে কোনো ক্লাসে ক্লাস নিতে আমার কোন আপত্তি নেই। আমি শুধু জানতে চাচ্ছিলাম এখানে সিস্টেমটা কী।“
“প্রদীপ, আমরা এতবছর এখানে থেকেও সিস্টেমটা কী বুঝতে পারলাম না, আর তুমি এসেই সব বুঝে ফেলতে চাও?” – ডেস্কের উপর থেকে হ্যান্ড-মাইক তুলে নিতে নিতে হাসিমুখে বললেন সাঈদ স্যার।
“শংকর, চলেন, অ্যাসেম্বলি হবে আজ।“ – বলতে বলতে রুম থেকে বের হয়ে গেলেন সাঈদ স্যার। তাঁকে অনুসরণ করে বারান্দায় বের হয়েই প্রচন্ড জোরে হুইসেল বাজালেন শংকর স্যার।
********
সপ্তম শ্রেণি ক শাখার ক্লাসরুম খুঁজে পেতে তেমন কোন সমস্যা হলো না। আমাদের টিচার্স রুম থেকে বারান্দায় বের হয়ে ডান পাশের বারান্দার একেবারে শেষ মাথায় ইলেভেন-সি। সেখানে গিয়ে লেফ্ট টার্ন নিয়ে টুয়েল্ভ-এর ক্লাস্রুম পার হয়ে গেলেই ক্লাস সেভেন। চতুষ্কোণ ভবনের এক কোণায় ক্লাস সেভেন, আর তার বিপরীত কোণে আমাদের টিচার্স-রুম। বারান্দা দিয়ে না হেঁটে মাঠের উপর দিয়ে কোণাকুনি হেঁটে আসা যেতো।
সংযুক্তা ম্যাডাম সাথে আসতে চেয়েছিলেন। আমি মানা করেছি। ক্লাস সেভেনের শিক্ষার্থীদের সাথেও যদি নিজে নিজে পরিচিত হতে না পারি তাহলে ক্লাস নেবো কীভাবে? তিনি অবশ্য কিছু উপদেশ দিয়েছেন কীভাবে ক্লাস সামলাতে হবে – ইত্যাদি। বলেছেন, ‘কলেজ-স্টুডেন্টদের সামলানোর চেয়েও অনেক বেশি ডিফিকাল্ট হলো স্কুলের ক্লাস মেইনটেইন করা। ক্লাসটিচারের আলাদা দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে। ক্লাসে শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হলে আপনাকে খুব স্ট্রিক্ট হতে হবে। একটু লাই দিলেই কিন্তু ওরা মাথায় উঠে যাবে।“
“না ম্যাডাম, আমি তাদের কোন লাই দেবো না। নো লাই উইল বি গিভেন। নো লাই, নো মাথায় ওঠাওঠি।“
সংযুক্তা ম্যাডামকে তো বলেছি স্ট্রিক্ট থাকবো। কিন্তু স্ট্রিক্ট কীভাবে থাকতে হয় সেটা তো জানি না। ক্লাসে গিয়েই কি দাঁত কিড়মিড় করতে শুরু করবো? নাকি কথায় কথায় ধমক দেবো?
ক্লাসে ঢুকতেই “অ্যাটেন-শান”। এগারো-বারো বছর বয়সী ছেলে-মেয়েরা সব দম-দেয়া পুতুলের মত মেরুদন্ড সোজা করে, ঘাড় উঁচিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে আছে। এক একটা বেঞ্চে পাঁচ-ছ’জন করে বসেছে। স্বাভাবিক ক্লাসের চেয়ে বেশি শিক্ষার্থী এই ক্লাসে। দুই সেকশান এক সাথে বসেছে বলেই হয়তো। সংযুক্তা ম্যাডাম দুটো হাজিরাখাতা দিয়েছেন নাম ডাকার জন্য।
সহজ হয়ে বসতে বলার সাথে সাথে বই-খাতা ওল্টানোর খসখস শব্দ শোনা গেলো। কিন্তু কেউ কোন কথা বলছে না। সবার চোখ আমার দিকে। বুঝতে পারছি – তারা নিজেদের মতো জরিপ করছে আমাকে। আমার মনে হচ্ছে প্রায় সত্তর জোড়া চোখ আমাকে পরীক্ষা করে দেখছে আমি তাদের শিক্ষক হবার যোগ্যতা রাখি কি না।
এই পর্বের কাহিনীটা অনেক সুন্দর। স্টার্টিং আর এনডিংটা আমার চমৎকার লেগেছে।
ReplyDeleteঅনেক ধন্যবাদ।
Delete