পঞ্চম অধ্যায়
চাকরির খোঁজে
উচ্চ মাধ্যমিক,
বিএসসি অনার্স, এমএসসি সব পরীক্ষাতে প্রথম স্থান অধিকার করে অনেকগুলো গোল্ড মেডেল
পেয়ে সত্যেন বসুর প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা যখন শেষ হলো তখন এক রূঢ় বাস্তবতার
মুখোমুখি হতে হল তাঁকে। শুধু তাঁকে নয় - সেই সময়ের প্রায় সব শিক্ষিত বাঙালি
তরুণকে। ভারতবর্ষের সব জায়গায় স্বদেশী আন্দোলন চলছে। যে কোন প্রতিষ্ঠানে ইংরেজ ও
ভারতীয়দের মধ্যে বৈষম্য প্রকট। ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। তার
প্রভাব এসে পড়েছে ব্রিটিশ ভারতে। ফলে দেখা গেল শিক্ষিত বাঙালি তরুণদের জন্য
উপযুক্ত কোন চাকরি নেই কোথাও।
সেই সময় ভারতবর্ষে সবচেয়ে বেশি বেতন ও
মর্যাদাপূর্ণ চাকরি ছিল ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস বা আইসিএস। এই পরীক্ষা হতো লন্ডনে।
লন্ডনে গিয়ে কয়েক মাস ধরে প্রস্তুতি নিয়ে এই পরীক্ষা দিতে হতো। মেধার সাথে আর্থিক
সঙ্গতিও থাকতে হতো এই পরীক্ষা দেয়ার জন্য। সি ভি রামন এই পরীক্ষা দিতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু দুর্বল স্বাস্থ্যের কারণে লন্ডনে যেতে পারেননি বলে রামন আইসিএস পরীক্ষা
দিতে পারেননি। আইসিএস-এর পরে যে সরকারি চাকরিটার মান ও বেতন সবচেয়ে বেশি ছিল তা ছিল
ফাইন্যান্সিয়াল সিভিল সার্ভিস বা এফসিএস। এই পরীক্ষা ভারতে বসেই দেয়া যায়। কিন্তু
পরীক্ষা ভারতে হলেও ব্রিটিশ সরকার অনেক যাচাই বাছাই করে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দেয়।
কারো বিরুদ্ধে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সাথে যুক্ত থাকার কোন প্রমাণ পাওয়া গেলে
তাকে পরীক্ষা দিতে দেয়া হয় না। সিভি রামন এফসিএস পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন এবং
সহকারী অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেল পদে যোগ দিয়ে কাজ করছেন কলকাতায়।[1] এর বাইরে
সরকারের শিক্ষা বিভাগের মর্যাদাপূর্ণ চাকরি হলো ইম্পেরিয়েল এডুকেশান সার্ভিস বা
আইইএস। আইইএস পোস্টগুলোতে সাধারণত ভারতীয়দের যোগ দিতে দেয়া হতো না। স্যার
জগদীশচন্দ্র বসু লর্ড রিপনের সুপারিশ নিয়েও প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রফেসর পদে যোগ
দিতে পারেননি অনেকদিন। অনেক পরে যোগ দিতে পারলেও তাঁকে বেতন অফার করা হয়েছিল
প্রভিন্সিয়াল সার্ভিসের স্কেলে যা ইম্পেরিয়াল সার্ভিসের বেতনের চেয়ে অনেক কম। তখন ভারতীয়
ও ব্রিটিশদের মধ্যে বেতনবৈষম্য ছিল প্রকট। একই পদে কাজ করেও ভারতীয়রা বেতন পেতেন
ব্রিটিশদের চেয়ে অনেক কম। স্যার জগদীশচন্দ্র বসু এর প্রতিবাদে বেতন নিতে অস্বীকার
করেন এবং বেতন ছাড়াই কাজ করেন প্রথম কয়েক বছর।[2] আচার্য
প্রফুল্লচন্দ্র রায় প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপনা করছিলেন প্রভিন্সিয়াল সার্ভিস
পদে। বিজ্ঞান গবেষণা বা সায়েন্টিফিক সার্ভিসের অবস্থাও খুব একটা ভালো ছিল না।
ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেসের সভাপতির
রিপোর্টে ১৯১৫ সালের ইম্পেরিয়াল
সায়েন্টিফিক সার্ভিসের একটা সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরেছিলেন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র
রায়। নিচের সারণিতে ইওরোপিয়ান এবং ভারতীয়দের মধ্যে বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরা হলো।[3]
সারণি: ইন্ডিয়ান ইম্পেরিয়াল সায়েন্টিফিক সার্ভিস ১৯১৫
সার্ভিস |
অফিসার |
গড় মাসিক বেতন (রুপি) |
||
ইওরোপিয়ান |
ইন্ডিয়ান |
ইওরোপিয়ান |
ইন্ডিয়ান |
|
বোটানিক্যাল |
২ |
০ |
১০০০ |
০ |
জিওলজিক্যাল |
১৬ |
০ |
১০১০ |
০ |
জুলজিক্যাল |
৩ |
১ |
৯৭০ |
৭০০ |
এগ্রিকালচারাল |
৩৮ |
৫ |
১০০০ |
৪৬০ |
ফরেস্ট |
৯ |
১ |
১০৪০ |
৬৬০ |
মেডিক্যাল অন সিভিল এমপ্লয়মেন্ট |
২৪ |
৫ |
১২২০ |
৫২০ |
ইন্ডিয়ান মিউনিশান বোর্ড |
১১ |
১ |
৭৮০ |
৩০০ |
মেটিওরলজিক্যাল |
১০ |
২ |
৯৭০ |
৭৭০ |
ভেটেরিনারি |
২ |
৬ |
১১০০ |
|
এডুকেশনাল |
৩৪ |
৩ |
|
|
ট্রিগোনমেট্রিক্যাল |
৪৬ |
০ |
|
|
আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় প্রেসিডেন্সি কলেজের চাকরি শেষ করে কলকাতা
বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান কলেজে 'পালিত প্রফেসর' পদে যোগ দিয়েছেন।
সেখানে তিনি বড় একটা কেমিস্ট্রু ল্যাব স্থাপন করেছেন এবং তাঁর প্রিয় ছাত্রদের
সেখানে গবেষণাকাজে নিযুক্ত করেছেন। জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ, জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখার্জি,
মানিকলাল দে - সবাই কাজ শুরু করেছেন। কিন্তু সত্যেন বসু কিংবা মেঘনাদ সাহাদের সে
সুযোগ ছিল না।
১৯১৫ সালে সত্যেন বসুরা যখন পাস করে বের
হলেন তাঁদের সামনেও সরকারি চাকরিতে পরীক্ষা দেয়ার বিধিবদ্ধ সুযোগ ছিল। মেঘনাদ
সাহার সংগতি ছিল না আইসিএস পরীক্ষা দেয়ার জন্য লন্ডনে যাবার। আইএফএস পরীক্ষা দেয়ার
জন্য তিনি দরখাস্ত করেছিলেন। কিন্তু স্বদেশী আন্দোলনের সাথে জড়িত থাকার 'অপরাধে'
মেঘনাদ সাহাকে সেই পরীক্ষাও দিতে দেয়া হলো না। অনন্যোপায় হয়ে মেঘনাদ সাহা দিনে
তিন-চারটা টিউশনি করছেন কলকাতার এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত সাইকেলে চেপে।
সত্যেন বসুর কলকাতায় নিজেদের বাড়ি আছে,
রেলওয়েতে বাবার চাকরি আছে, বড়লোক শ্বশুর আছে - চাকরি না পেলে একদম চলবে না অবস্থা
এমন নয় তাঁর। লন্ডনে গিয়ে আইসিএস পরীক্ষা দেয়ার সংগতি থাকা সত্ত্বেও আইসিএস-এর
প্রতি কোন আগ্রহ দেখাননি তিনি। আইএফএস পরীক্ষার প্রতিও তাঁর কোন আগ্রহ ছিল না। ১৯১৬
সালে সত্যেন বসুর প্রথম সন্তানের জন্ম হয়েছে।
বাবা রেলওয়েতে
চাকরি করেন বলে সত্যেন বসুরও রেলওয়েতে চাকরির সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু কোন আগ্রহ
দেখাননি সত্যেন।
তার সংগত কারণও ছিল। কারণ সত্যেন বসু তখন
একটি টিউশনি করছিলেন। গৌরীপুরের জমিদারের ছেলে প্রমথেশ বড়ুয়াকে প্রাইভেট
পড়াচ্ছিলেন তিনি। এক বছর তিনি প্রমথেশ বড়ুয়াকে পড়িয়েছিলেন। গৃহশিক্ষকতায় তিনি
সম্মানী পেতেন মাসে ২০০ রুপি - যেটা ছিল সেই সময়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারারের বেতনের
চেয়েও বেশি। প্রমথেশ বড়ুয়ার বয়স ছিল তখন ১২ বছর, পড়তেন কলকাতার হেয়ার স্কুলে। পরবর্তীতে
প্রমথেশ বড়ুয়া ভারতীয় চলচিত্রের নায়ক ও পরিচালক হয়েছিলেন।
সত্যেন বসুর রসায়নের বন্ধুরা
প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের তত্ত্বাবধানে গবেষণা শুরু করেছেন দেখে তাঁরও ইচ্ছে হলো
গবেষণা করার। ভবিষ্যতে তিনি যে বিজ্ঞানী হবেন, বিজ্ঞান গবেষণা করবেন সেরকম
পূর্বপ্রস্তুতি কিংবা লক্ষ্য তাঁর তখনো ছিল না। মিশ্র গণিতে ঠিক কী বিষয়ে গবেষণা
করা যায় এবং কার তত্ত্বাবধানে গবেষণা করা যায় তা নিয়ে কিছুদিন ভেবে তিনি গেলেন
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিতের 'রাসবিহারী অধ্যাপক' গণেশপ্রসাদের কাছে। এ
প্রসঙ্গে সত্যেন বসু লিখেছেন:
"১৯১২/১৩ সালে ড. গণেশ প্রসাদ
এলেন রাসবিহারী চেয়ারে ফলিত গণিতের অধ্যাপক হয়ে। খুব সুনাম -
জার্মানি থেকে নাকি ড. ক্লাইনের কাছে গবেষণা করে এসেছেন। বেনারস থেকে
কলকাতায় যোগ দিয়েছেন, সাধাসিধা মানুষ, আচার্য রায়ের জীবনধারা - তাঁর আদর্শ। সমবায়-ম্যান্সনে
রিক্ত আসবাবহীন ফ্ল্যাটে থাকেন। জার্মান বই ও এনসাইক্লোপিডিয়ায় ঘেরা সব সময়। আমরা
সকলেই নাম শুনেছি। তাঁর প্রশ্নপত্র সৃষ্টিছাড়া কঠিন তথ্যে কন্টকিত - মেধাবী ছাত্ররাও সকলে ভূমিসাৎ হয়ে পড়তো।
আশুতোষের ডাকে নবনির্মিত বিজ্ঞান কলেজে যোগ দিয়েছেন। এ যাবৎ প্রেসিডেন্সি কলেজই
বিজ্ঞানে উচ্চশিক্ষাদান একচেটিয়া করে রেখেছিল।
... ... ... ...
ড. গণেশপ্রসাদ এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন প্রফেসর।
ছাত্ররা তাঁর কাছে অনুসন্ধানের শিক্ষানবিশী করতে ঝুঁকে পড়লো। গণেশপ্রসাদের কাছে
গেল কলকাতার সেরা বিজ্ঞানের ছাত্ররা - তবে তারা অনেকেই গণেশের কাছে কম নম্বর
পেয়েছিল এমএসসি পরীক্ষায়। কিন্তু সে তো প্রেসিডেন্সি শিক্ষকদের দোষ - অন্তত তাই
গণেশপ্রসাদের ধারণা। প্রাক্তন শিক্ষকদের বিষয়ে বিরুদ্ধ মন্তব্য শুনলেও নবীনেরা
মাথা হেঁট করে বসে থাকেন - উত্তরের সাহস নেই। পাশ করে আমিও হাজির হলাম
গণেশপ্রসাদের কাছে। আমার এমএসসি পরীক্ষকও ছিলেন তিনি - তবে আমার অবস্থা
পূর্বগামীদের মত অতো খারাপ ছিল না। তাই ড. প্রসাদ
প্রথমে একটু করুণা করেছিলেন - তবে শেষ অবধি গুরুনিন্দা
হজম করা শক্ত দাঁড়াল। তখন আমার স্পষ্টভাষী বলে ভারি দুর্নাম। কাজেই গণেশপ্রসাদের বিরুদ্ধ মতের প্রত্যুত্তর
দিয়েছিলাম। গণেশ চটে গেলেন। বললেন - পরীক্ষায় ভাল করলে কী হবে - তোমার দ্বারা
অনুসন্ধান হবে না। ব্যর্থ মনোরথ হয়ে চলে এলাম। ভাবলাম নিজেই যা পারি করবো।"[4]
এসময় বিহার
সরকার নতুন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলো। সত্যেন বসু প্রেসিডেন্সি কলেজের
প্রিন্সিপাল জেম্স, অধ্যাপক দেবেন্দ্রনাথ মল্লিক প্রমুখের প্রসংশাপত্রসহ দরখাস্ত
করলেন। কিন্তু হতাশ হতে হল। অধ্যাপক মল্লিক একদিন তাঁকে ডেকে জানালেন যে বিহারের
ডি-পি-আই চিঠি লিখে জানিয়েছেন, "আপনার ছাত্র এত ভাল যে আমাদের ঠিক দরকারে
লাগবে না।"
সত্যেন বসুর মনে হলো ফার্স্ট ক্লাস না
পেয়ে সেকেন্ড ক্লাস পেলেই বুঝি ভালো ছিল। আর একবার তাঁর বাবার বন্ধুর কথামত আলিপুর
আবহাওয়া অফিসে একটা দরখাস্ত পাঠিয়েছিলেন। তাদের জবাব এলো, "বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কৃতী ছাত্রের উপযুক্ত কোন চাকরি
এখানে খালি নেই। প্রার্থী অন্য কোথাও দরখাস্ত করলে ভালো হয়।”
যেই সময়ে সত্যেন বসু
বিভিন্ন জায়গায় দরখাস্ত করে বিফল হচ্ছিলেন, গণেশপ্রসাদের কাছে গবেষণার সুযোগ চাইতে
গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরে এসেছিলেন, সেই ১৯১৫-১৬ সালে কলকাতায় অন্তত একটি জায়গায় অবাধে
বৈজ্ঞানিক গবেষণা করার সুযোগ ছিল। ডাক্তার
মহেন্দ্রলাল সরকারের উদ্যোগে ১৮৭৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বউবাজার স্ট্রিটের ২১০
নম্বর বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশান ফর দি কাল্টিভেশান অব
সায়েন্স (আইএসিএস)। তিনি চেয়েছিলেন এমন
একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে যার অনুপ্রেরণা হবে লন্ডনের রয়েল ইনস্টিটিউশন
এবং ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশান ফর অ্যাডভান্সমেন্ট অব সায়েন্স। বিদেশি শাসকদের
অর্থানুকুল্যে নয়, শুধু দেশবাসীর দরাজ অনুদানেই তিনি গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন একটি
প্রতিষ্ঠান যেখানে গবেষণা করার জন্য লাগবে
না কোন ডিগ্রির তকমা, শুধু বিজ্ঞান ভালবাসাই হবে যোগ্যতা। প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য
সম্পর্কে লেখা ছিল - “যাঁহারা এক্ষণে বিদ্যালয় পরিত্যাগ করিয়াছেন, অথচ
বিজ্ঞানশাস্ত্র অধ্যয়নে একান্ত অভিলাষী আছেন, কিন্তু উপায়াভাবে সে অভিলাষ পূর্ণ
করিতে পারিতেছেন না এইরূপ ব্যক্তিগণকে বিজ্ঞানচর্চা করিতে আহ্বান করা হইবে।”[5]
স্যার সি ভি রামন ১৯০৭ সালে কলকাতায়
চাকরিতে যোগ দিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণা শুরু করেছিলেন
আইএসিএস-এ। অফিসে যাওয়ার আগে এবং পরে তিনি গবেষণা চালিয়েছেন সেখানে। নিজের হাতে
গড়ে তুলেছেন ল্যাবরেটরি। পৃথিবীবিখ্যাত বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত হচ্ছিল তাঁর
গবেষণাপত্র।[6] এত বিশাল একটা
কর্মযজ্ঞে যোগ দেয়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সত্যেন বসু কিংবা মেঘনাদ সাহা শুরুতে
যাননি সেখানে। পরে সিভি রামন যখন এখানে কাজ করেই রামন ইফেক্ট আবিষ্কার করলেন এবং
নোবেল পুরষ্কার পেলেন তখন মেঘনাদ সাহার নেতৃত্বে স্যার সিভি রামনকে একপ্রকার অপমান
করে তাড়িয়ে দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির নেতৃত্বে এসেছিলেন বাঙালি বিজ্ঞানীরা।
সে যাই হোক, ১৯১৬ সালের একদিন স্যার
আশুতোষ মুখার্জির কাছ থেকে ডাক পেলেন সত্যেন বসু। তারপর তাঁর জীবনের মোড় ঘুরে গেল।
পরের অধ্যায়ে আমরা দেখবো কীভাবে তা হলো।
[1] স্যার সি ভি
রামন সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য পড়ুন প্রদীপ দেবের "চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট
রামন এশিয়ার প্রথম নোবেলবিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী", মীরা প্রকাশন, ঢাকা,
২০১৭।
[2] প্রদীপ দেব, জগদীশচন্দ্র বসু বিশ্বের
প্রথম জীবপদার্থবিজ্ঞানী, মীরা প্রকাশন, ঢাকা ২০১৬, পৃষ্ঠা ৩২-৩৩।
[3] C. K. Majumdar, Partha Ghose,
Enakshi Chatterjee, Samik Bandopadhyay, Santimay Chatterjee (editors), S. N.
Bose: The Man and His Work, S. N. Bose National Centre for Basic Sciences,
Calcutta, 1994.
[4] সত্যেন্দ্রনাথ
বসু, আমার বিজ্ঞানচর্চার পুরাখন্ড, সাপ্তাহিক বসুমতী (শারদীয়), ১৩৭৪।
বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ কর্তৃক প্রকাশিত 'সত্যেন্দ্রনাথ বসু রচনা সংকলন'-এ পৃষ্ঠা
২৩৩-২৩৪।
[5] শ্যামল চক্রবর্তী. বিশ্বসেরা বিজ্ঞানী. কলকাতা: শিশু সাহিত্য সংসদ
১৯৯৯.
[6] প্রদীপ দেব,
চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন এশিয়ার প্রথম নোবেলবিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী, মীরা
প্রকাশন, ঢাকা, ২০১৭। পৃষ্ঠা ৫১।
No comments:
Post a Comment