উনবিংশ অধ্যায়
জাতীয় অধ্যাপক
১৯৫৬
সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নিয়েছিলেন সত্যেন বসু। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে
তাঁর অফিসটি তখনও তাঁর নামেই বরাদ্দ ছিল। বিশ্বভারতীর উপাচার্য হয়ে তিনি
শান্তিনিকেতনে চলে গিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর বেশিরভাগ বই তখনো কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে
তাঁর অফিসেই রয়ে গিয়েছিল। ১৯৫৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সত্যেন বসুকে এমেরিটাস
প্রফেসর পদে নিয়োগ দেন। তাঁর অফিসটি তাঁর নামেই বরাদ্দ করা হয় আবার। বিশ্বভারতীর
উপাচার্যের পদ ত্যাগ করে জাতীয় অধ্যাপক পদে যখন যোগ দেন ১৯৫৯ সালে - তখন কিছুদিন
তিনি এই অফিসটি ব্যবহার করেছিলেন নিজের কাজের জায়গা হিসেবে। ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশান
ফর দি কাল্টিভেশান অব সায়েন্সও তাঁকে এমেরিটাস প্রফেসর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
মেঘনাদ সাহা যখন ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশানের পরিচালক ছিলেন, সেই সময় যাদবপুরে অ্যাসোসিয়েশানের নতুন
ক্যাম্পাস স্থাপিত হয়েছিল। সত্যেন বসু যাদবপুরে অ্যাসোসিয়েশানে জাতীয় অধ্যাপক
হিসেবে তাঁর অফিস ও গবেষণাগার স্থাপন করেন। ন্যাশনাল প্রফেসরের বেতন ও গবেষণা
তহবিল আসতো সরকারের ডিপার্টমেন্ট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে। সত্যেন বসু
তাদের জানিয়ে দিলেন তাঁর গ্রান্ট ইত্যাদি
অ্যাসোসিয়েশানে পাঠাতে। ন্যাশনাল প্রফেসর হিসেবে সত্যেন বসুর কাজের
স্বাধীনতা ও পরিধি অনেক বেড়ে যায়।
সত্যেন বসু তত্ত্বীয় নিউক্লিয়ার ফিজিক্স
নিয়ে কাজ শুরু করলেন। মৌলিক কণাগুলো নিউক্লিয়াসে কীভাবে থাকে এবং তাদের পারস্পরিক
বল কীভাবে কাজ করে সে ব্যাপারে উৎসাহী তিনি। জৈব রসায়নের কিছু গবেষণা আগে
করেছিলেন, তিনি সেটাও চালিয়ে যেতে চান। তাঁর সাথে সেই সময় যেসব সহযোগী বিজ্ঞানী
কাজ করেছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম নৃপেন্দ্রনাথ ঘোষ কাজ করেছিলেন গ্রান্ড ইউনিফাইড
থিওরিতে, ড. পূমাংশু কুমার রায় কাজ করেছেন কণা
পদার্থবিজ্ঞানে, পার্থসারথী ঘোষ, সলিল রায়, শ্যামাদাস চ্যাটার্জি প্রমুখ।
প্রফেসর শ্যামাদাস মুখার্জি ১৯৫৪ সাল
থেকে কাজ করছিলেন বীরভূম জেলার বক্রেশ্বরে ঝর্ণা থেকে হিলিয়াম সংগ্রহের প্রকল্পে।
তিনিই প্রথম সেখানকার পানিতে তেজষ্ক্রিয়তা আবিষ্কার করেন এবং দেখেন যে পানিতে
হিলিয়াম আছে। সত্যেন বসু সেখানকার পানি বিশ্লেষণ করার বৈজ্ঞানিক প্রকল্প প্রস্তুত
করেন। তাঁর তত্ত্বাবধানে সেখানে স্থাপন করা হয় ল্যাবরেটরি। বক্রেশ্বরে পরে গড়ে
উঠেছে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র।
চিত্র: কলকাতায় নিল্স বোর ও সত্যেন বসু (১৯৬০) |
১৯৬০
সালের জানুয়ারি মাসে ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেসের আমন্ত্রণে ভারতে আসেন বিজ্ঞানী
নিল্স বোর। কংগ্রেস শেষে বোম্বে থেকে তিনি কলকাতা আসেন সত্যেন বসুর আমন্ত্রণে। সাহা
ইন্সটিটিউট অব নিউক্লিয়ার ফিজিক্সে ভাষণ দেন নিলস বোর। সেই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব
করেছিলেন সত্যেন বসু।
১৯৬১ সালে সত্যেন বসুকে দেশিকোত্তম উপাধি দেয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।
সেখানে উপাচার্য হিসেবে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেননি সত্যেন বসু। তাঁর সেই
মনোকষ্ট কখনও যায়নি। সত্যেন বসু উৎসাহ নিয়ে যেসব কাজ শুরু করেছিলেন তার কোনটাতেই
ব্যর্থ হননি। শুধুমাত্র বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি তাঁর বিজ্ঞান-প্রকল্প
বাস্তবে রূপ দিতে পারেননি রবীন্দ্রভক্তদের গোঁড়ামির কারণে।
১৯৬২ সালের মে মাসে
সুইডেনের স্টকহোমে ওয়ার্ল্ড পিস কাউন্সিলের কার্যকরী কমিটির সভায় অংশ নেন। আগস্ট
মাসে জাপানের টোকিওতে সায়েন্স অ্যান্ড ফিলোসফি সেমিনারে আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে
বক্তৃতা দেন। সেপ্টেম্বর মাসে মস্কোতে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড পিস কনফারেন্সে যোগ দেন।
অক্টোবরে হায়দরাবাদে আংরেজি হটাও কনফারেন্স উদ্বোধন করেন এবং ভাষণ দেন। তারপর কলকাতা
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তৃতা দেন সত্যেন বসু।
চিত্র: সাহা ইন্সটিটিউটে ভাষণ দিচ্ছেন সত্যেন বসু |
চিত্র: ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্সটিটিউটের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রশান্তচন্দ্র মহ্লানবিশের সাথে সত্যেন বসু (১৯৬২)
ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সত্যেন বসু তার সাথে জড়িত। তাঁর বন্ধু প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের অনুরোধে তিনি ইন্সটিটিউটের জেনারেল সেক্রেটারির দায়িত্বও পালন করেছিলেন কয়েক বছর। ১৯৬২ সালে সত্যেন বসুকে সম্মানসূচক ডিএসসি ডিগ্রি প্রদান করে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইন্সটিটিউট।
১৯৬৩
সালের মে মাসে রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অতিথি হিসেবে সমাবর্তন-বক্তৃতা দেন
সত্যেন বসু। বছরের মাঝামাঝি তিনি কায়রো সফরে যান ভারতীয় বিজ্ঞানীদের প্রতিনিধি
হয়ে।
১৯৬৪ সালে সত্যেন বসুর
৭০তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়। রাজ্যসরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় মহাজাতিসদনে নাগরিক
সম্বর্ধনা দেয়া হয় সত্যেন বসুকে। সম্বর্ধনা কমিটির সভাপতি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ
রাজ্যসরকারের মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেন। সত্যেন বসুর সম্মানে আয়োজন করা হয়
বোস স্ট্যাটিসটিক্স ও ইউনিফাইড থিওরি বিষয়ে সেমিনার।
চিত্র: সত্যেন বসুর ৭০তম জন্মবার্ষিকীতে নাগরিক সম্বর্ধনা (১৯৬৪)
একই
সাথে দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়েও আয়োজন করা হয় "ফরটি ইয়ার্স অব বোস
স্ট্যাটিসটিক্স" সেমিনার। সেখানে দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয় সত্যেন বসুকে
সম্মানসূচক ডিএসসি ডিগ্রি প্রদান করে।
চিত্র: ভারতীয় উপরাষ্ট্রপতি ড. জাকির হুসেনের কাছ থেকে দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডিএসসি ডিগ্রি গ্রহণ করছেন সত্যেন বসু (১৯৬৪) |
১৯৬৫
সালে ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রস উদ্বোধন করেন সত্যেন বসু। বাংলা ভাষায় সত্যেন বসুর
অবদানের জন্য তাঁকে জগত্তারিণী পদক দেয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। এপ্রিলে খড়গপুর
ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সমাবর্তন-বক্তৃতা দেন সত্যেন
বসু।
১৯৬৮ সালে এশিয়াটিক সোসাইটির
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন সত্যেন বসু। ১৯৬৯ সালে কলকাতার রাজা রাজকৃষ্ণ সড়কে
বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদের নিজস্ব ভবন উদ্বোধন করেন তিনি। তারপর মার্চ মাসে দিল্লীর
ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইন্সটিটিউটে সমাবর্তন বক্তৃতা দেন।
১৯৭০ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়
সত্যেন বসুকে সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি প্রদান করে।
১৯৭১ সালের ১২ মার্চ দিল্লীর ন্যাশনাল
ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরিতে কৃষ্ণান মেমোরিয়েল লেকচার দেন সত্যেন বসু। ১০ মে
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন বক্তৃতা দেন।
১৯৭৩ সালের ১৬ জুন কলকাতা
বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন বক্তৃতা দেন সত্যেন বসু। ২৯ ডিসেম্বর কলকাতা
ম্যাথম্যাটিক্যাল সোসাইটি সত্যেন বসুর বৈজ্ঞানিক অবদান শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন
করে। সেখানে উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তৃতা দেন তিনি।
চিত্র: ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরির কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি সত্যেন বসু |
১৯৭৪
সালে তাঁর আশিতম জন্মবার্ষিকী জাতীয়ভাবে উদ্যাপন করা হয়। এবং একই সাথে উদ্যাপন
করা হয় তাঁর আবিষ্কৃত সংখ্যায়নের সুবর্ণ জয়ন্তী। এ উপলক্ষে কলকাতায় আন্তর্জাতিক
সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে দেশ- বিদেশের খ্যাতনামা বিজ্ঞানীরা উপস্থিত ছিলেন।
সত্যেন বসু তাঁর ভাষণে স্মৃতিচারণ করেন তাঁর দীর্ঘ অধ্যাপনা ও গবেষণা-জীবনের।
বক্তৃতার শেষের দিকে তিনি মন্তব্য করেন, "এখন আমি মনে করি আমার আর বেশিদিন
বেঁচে থাকার দরকার নেই।"
১৯৭৪ সালের জানুয়ারি মাসের ৯ তারিখ
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল হাসান সত্যেন বসুকে চিঠি লিখে জানান যে জাতীয়
অধ্যাপক হিসেবে তাঁর মেয়াদ আরো পাঁচ বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছে। ১৯৫৯ থেকে তিন
মেয়াদে পনের বছর জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে কাজ করার পর এটা ছিল চতুর্থ মেয়াদের চিঠি।
সেই চিঠির উত্তর তিনি লিখতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু শেষ করতে পারেননি। সেই অসমাপ্ত
চিঠি থেকে বোঝা যায় আশি বছর বয়সেও সত্যেন বসু কী পরিমাণ কর্মতৎপর ছিলেন এবং আরো
অনেক কাজ করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। চিঠিটির বাংলা অনুবাদ তারঁ মৃত্যুর পর ১২
ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪-এর আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। এখানে বাংলা অনুবাদটি
দেয়া হলো:
চিত্র: শেষ বয়সে সত্যেন বসু |
প্রিয় অধ্যাপক নুরুল হাসান,
জানুয়ারির ৯ তারিখে নয়া দিল্লি থেকে (নং ৩৬৪/ই এম '৭৪)
আপনি আমাকে যে চিঠি দিয়েছেন, তার জন্য ধন্যবাদ। প্রথম যৌবনে মানুষের মনে যে অতি
উজ্জ্বল আশার স্বপ্ন জেগে ওঠে, জীবন সায়াহ্নে যেন তাকেই ব্যঙ্গ করা হয়। জীবনের শেষ
দিকে বন্ধু-বান্ধব ও ছাত্রদের কাছ থেকে প্রীতি ও সম্মান পেতে বেশ ভাল লাগে। জীবনের
শেষ বেলায় মানুষ নানা দুশ্চিন্তায় ক্লিষ্ট হয়। ওই সময় বেঁচে থাকার জন্য যে সংগ্রাম
করতে হয়, তা অনেক সময় বুদ্ধিজীবী মানুষের উদ্দীপনা নষ্ট করে দেয়। কেউ যদি পড়াশোনা
ও গবেষণা নিয়ে জীবন কাটাতে চায় তার জন্য প্রথম প্রয়োজন অভাব থেকে মুক্তি, কাল কী
হবে, এই চিন্তা থেকে রেহাই। সুতরাং জাতীয় অধ্যাপকের পদের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর
বৃদ্ধি আশীর্বাদ ছাড়া আর কিছু নয়।
আমি
হিলিয়াম সংগ্রহ গবেষণা প্রকল্পাদি দীর্ঘ মেয়াদে অনুমোদনের পক্ষপাতী। এই প্রকল্প
আধা-বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদন শুরু করতে চলেছে। ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র
আমাদের উৎপন্ন পরিশোধিত হিলিয়ামের সবটাই চেয়েছেন। আমার প্রস্তাব ঐ প্রস্তাবের
মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়িয়ে দেওয়া হোক। তা করা হলে আমরা আরও সুপরিকল্পিতভাবে কাজ
করতে পারবো।
পুরো
জানুয়ারি মাস কাটলো দেশের বিভিন্ন জায়গায় সেমিনার সম্বর্ধনা সিম্পোজিয়াম মিটিং
ইত্যাদি করতে করতে। আশি বছরের দুর্বল শরীর এত ধকল সইবার কথা নয়। কিন্তু সত্যেন বসু
কাউকেই বিমুখ করেননি। তিনি জানতেন আর সময় নেই তাঁর। তারপর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে
১৯৭৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়।
তাঁর মৃত্যুতে সারা দেশে শোকের ছায়া নেমে আসে। কলকাতায় হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয় তাঁর শোকসভায়। তাঁর বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের খুঁটিনাটি সবকিছু হয়তো বোঝা সবার পক্ষে সম্ভব নয়, কিন্তু তিনি যে সব মানুষকে ভালোবাসতেন, তিনি যে সবার কাছের মানুষ ছিলেন তাতে কারো কোন সন্দেহ ছিল না।
১৯৮৬
সালে ভারত সরকারের ডিপার্টমেন্ট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি'র উদ্যোগে কলকাতায়
প্রতিষ্ঠিত হয় 'এস এন বোস ন্যাশনাল সেন্টার ফর বেসিক সায়েন্সেস'। স্বায়ত্বশাসিত এই
গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অ্যাস্ট্রোফিজিক্স অ্যান্ড কসমোলজি, কেমিক্যাল বায়োলজি অ্যান্ড
ম্যাক্রোমলিকিউলার সায়েন্সেস, কন্ডেন্সড ম্যাটার ফিজিক্স অ্যান্ড ম্যাটেরিয়েল
সায়েন্সেস, এবং থিওরেটিক্যাল সায়েন্সে পিএইচডি পর্যায়ের গবেষণা কোর্স পরিচালনা করা
হচ্ছে।
চিত্র: সত্যেন বসুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকেটের উদ্বোধনী খাম |
১৯৯৪
সালে সত্যেন বসুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ করেছে ভারত সরকার।
১৯৯৫ সালে প্রথমবারের মত বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেশান তৈরি করা সম্ভব হয়েছে আমেরিকান গবেষণাগারে। কলরাডোর প্রফেসর এরিক কর্নেল ও কার্ল ওয়াইম্যান এবং এম-আই-টি'র প্রফেসর উলফগং কেটারলি এই আবিষ্কারের জন্য নোবেল পুরষ্কার পান। তখন সবাই আবার বেশি করে সরব হন সত্যেন বসুর ব্যাপারে। অনেকেই বলতে থাকেন সত্যেন বসুকে নোবেল পুরষ্কার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে ইত্যাদি। পরের অধ্যায়ে সে ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
No comments:
Post a Comment