ইউনিভার্সিটি অব কেইপ টাউন
ঘন সবুজ বনের ভেতর বিশাল ক্যাম্পাস ছবির মতো সুন্দর। হাইওয়ের কাছে কেইপ টাউন ইউনিভার্সিটির রাগবি মাঠ। মাঠের ওপারে অসংখ্য বহুতল অ্যাকাডেমিক ভবন। একটা বিল্ডিং থেকে অন্য বিল্ডিং-এর মাঝখানে রাস্তা ছাড়া খালি জায়গা খুব একটা নেই। সব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। শান্ত স্নিগ্ধ। বিশ্বমানের একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস যেরকম হওয়া উচিত। আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে পুরনো সবচেয়ে ভালো বিশ্ববিদ্যালয় এটা।
১৮২৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আফ্রিকা মহাদেশের
এই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। শুধু বয়সে নয়, মানের দিক থেকেও শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে এই
বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে প্রায় ছাব্বিশ হাজার শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এপর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন
প্রাক্তন ছাত্র নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন। ১৯৫০ সালের নোবেল শান্তি পুরষ্কারবিজয়ী
রালফ বানচি, ১৯৫১ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানের নোবেলবিজয়ী ম্যাক্স থেইলার, ১৯৭৯ সালে
চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেলবিজয়ী অ্যালেন ম্যাকলয়েড, ১৯৮২ সালের রসায়নে নোবেলবিজয়ী
অ্যারন ক্লুং, আর ২০০৩ সালে সাহিত্যে নোবেলবিজয়ী জন কোয়েৎজি- সবাই জীবনের একটা
পর্যায়ে পড়াশোনা করেছিলেন এই ক্যাম্পাসে।
ক্যাম্পাসে প্রচুর শ্বেতাঙ্গ ও ভারতীয়
শিক্ষার্থী চোখে পড়ছে। পরিসংখ্যান বলছে মোট শিক্ষার্থীর তিনভাগের একভাগ শ্বেতাঙ্গ।
প্রায় ১৮% ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট। অধ্যাপকদের মধ্যে এখনো তিনভাগের দুই ভাগ
ইউরোপিয়ান বংশদ্ভূত শ্বেতাঙ্গ। দক্ষিণ আফ্রিকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কৃষ্ণাঙ্গদের
নিয়োগ বাড়ানোর বিভিন্ন পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে।
আপার ক্যাম্পাসে সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং,
কমার্স সব ফ্যাকাল্টি। পুরো আপার ক্যাম্পাসের চারদিক ঘিরে যে রাস্তা - তার নাম
মাদিবা সার্কেল। নেলসন ম্যান্ডেলার নাম মাদিবা। তার মানে এই রাস্তার নামকরণ হয়েছে
বেশি বছর হয়নি।
ইউনিভার্সিটি অব কেইপ টাউনের জেইমসন হল
কাছেই ফুডকোর্ট। লাঞ্চ করা যেতে পারে।
একটা বেজে গেছে। এলিজাবেথের পছন্দ ইন্ডিয়ান ফুড। রাইস অ্যান্ড চিকেন কারি উইথ
চিলি। আমি নিলাম মাটন।
“তোমার প্ল্যানটা বলবে?” যেতে যেতে প্রশ্ন এলিজাবেথের।
লাঞ্চটাইম
“সেই মিউজিয়ামে কী আছে?”
“মেডিকেল স্টাফ। পৃথিবীর প্রথম হার্ট ট্রান্সপ্লেন্টেশান হয়েছিল সেখানে।
সেটা কীভাবে করা হয়েছিল তা দেখায়।”
“তুমি কি ডাক্তার?"
“না, আমি ফিজিসিস্ট। তুমি কী?”
“আমি হেয়ার ডিজাইনার।"
"সেলুনে কাজ করো?"
"না না। আমি হেয়ার স্টাইলিস্ট নই,
হেয়ার ডিজাইনার।"
“মানে?"
“চুলের ডিজাইন করি। পরচুলা বানানোর কারখানায়
কাজ করি।”
তার
নিজের চুলের যে অবস্থা তাতে সে কীরকম ডিজাইনার কে জানে। অবশ্য দর্জির
নিজের জামাকাপড় দেখে তো আর বিচার করা যায় না সে কেমন সেলাই করে।
“তোমার প্ল্যান কী?”
“নিজে একটা দোকান দেবো। চুলের দোকান।”
“দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার কথা জানতে চাচ্ছি না। এখনকার প্ল্যান
বলো। আমার সঙ্গে যাবে, নাকি নিজের পথ
দেখবে?”
“রোডস মেমোরিয়েল দেখার প্ল্যান আছে। মিউজিয়ামেরটা জানি না এখনো।”
“কখন জানবে?”
“রোডস মেমোরিয়েলে যাবার পর।”
“তাহলে চলো। পাহাড়ে উঠতে হবে।”
হাঁটতে হাঁটতে রাগবি মাঠের দিকে এলাম।
সেখান থেকে সুড়ঙ্গ পথে মিডল ও লোয়ার ক্যাম্পাসে যাওয়া যায়। রোডস মেমোরিয়েল আপার
ক্যাম্পাসেরও উপরে।
রাগবি মাঠের একপাড়ে একটা উঁচু পাথরের
বেদি। বেদিটা এখন খালি। এটাতে সিসিল রোডের বিশাল আকৃতির এক মূর্তি ছিল গতবছর
পর্যন্ত। দক্ষিণ আফ্রিকার অনেক জায়গায় সিসিল রোডের মূর্তি আছে। সিটিতে, পার্লামেন্টের
কাছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, পার্কে।
রোডসের মূর্তি সরানো হচ্ছে (ছবি: ইন্টারনেট)
হাইওয়ের নাম রোডস
ড্রাইভ, একটা বিশ্ববিদ্যালয়ও আছে তার নামে আফ্রিকায়- রোডস ইউনিভার্সিটি। তার স্মরণে
বিশাল এক মেমোরিয়েল- যা আমরা দেখতে যাচ্ছি। কে ছিলেন এই সিসিল রোডস?
“হি ওয়াজ আ ফাউন্ডার অব সাউথ আফ্রিকা” - এলিজাবেথ বললো।
আসলেই কি? যতটুকু পড়েছি সিসিল রোড
সম্পর্কে তাতে মানুষটাকে ভয় করা যায় - কিন্তু শ্রদ্ধা করা যায় না কিছুতেই।
সিসিল জন রোডস-এর জন্ম ইংল্যান্ডের
হার্টফোর্ডশায়ারে ১৮৫৩ সালের ৫ জুলাই। তার বাবা ছিলেন একজন সাধারণ পাদ্রী। সিসিল
ছিলেন চিররুগ্ন। লেখাপড়াও তেমন করতে পারেননি স্বাস্থ্যগত কারণে। ১৭ বছর বয়সে তাঁর
বাবা-মা তাঁকে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঠিয়ে দেন। সিসিলের বড় ভাই হারবার্ট আগে থেকেই
আফ্রিকায় থাকতেন।
সিসিলের স্বাস্থ্য খারাপ, মেজাজ খিটখিটে
হলেও ব্যবসায়িক বুদ্ধি ছিল ভালো। ১৮ বছর বয়সে ভাইয়ের সাথে তুলার ব্যবসা শুরু করেন।
কিন্তু ২ বছরের মধ্যে ব্যবসা ফেল করে। ইংল্যান্ড ফিরে গিয়ে অক্সফোর্ডে পড়াশোনার
চেষ্টা করেন সিসিল কিছুদিন। কিন্তু এক সেমিস্টার না যেতেই বুঝতে পারেন যে পড়াশোনা
তার জন্য নয়।
সিসিল ফিরে এলেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। হীরার
খনি আবিষ্কৃত হয়েছে ততদিনে। অনেক ক্ষুদ্রব্যবসায়ীও তখন হীরার ব্যবসা করছেন। সিসিলও
শুরু করলেন। ১৮৯০ সালের মধ্যে পৃথিবীর হীরা ব্যবসায়ীদের মধ্যে একচ্ছত্র অধিপতি হয়ে
ওঠেন সিসিল রোডস। তারপর শুরু করেন ফলের ব্যবসা। ১৮৯২ সালের মধ্যেই আফ্রিকার সব
ফলের ব্যবসা চলে আসে তাঁর হাতে।
আফ্রিকান কালো মানুষদের তিনি মানুষ বলে
মনে করতেন না। তিনি প্রকাশ্যেই বলতেন কালোদের কাজ হলো কুলিগিরি করা বা বড়জোর ক্ষেতখামারে
কাজ করা। অন্যকিছু করতে চাইলে তাদের বাধা দেয়া উচিত।
১৮৭৭ সালে তিনি রাজনীতিতে যোগ দিয়ে
পার্লামেন্টের মেম্বার হন। ১৮৯০ সালে সিসিল রোড কেইপ কলোনির (দক্ষিণ আফ্রিকা ও
নামিবিয়ার পুরোটা) প্রধানমন্ত্রী হন। আফ্রিকান অশ্বেতাঙ্গদের সম্পর্কে তাঁর নীতি
ছিলো, “তারা হলো
বর্বর। তাদেরকে পায়ের তলায় দাবিয়ে রাখতে হবে। তাদের হাতে কোন জমির মালিকানা দেয়া
যাবে না।”
সিসিল রোডস বিশ্বাস করতেন যে ইংরেজরাই
হলো পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত জাতি (First nation in the World)।
১৮৭৭ সালে তিনি একটা উইল
করেছিলেন। সেখানে তিনি ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন একটা গোপন সংগঠন গড়ে তোলার। যে সংগঠন পুরো
পৃথিবীকে ব্রিটিশ রাজত্বে পরিণত করবে। তাঁর শেষ উইলে
অবশ্য তিনি টেবল মাউন্টেনের আশেপাশের বিশাল আয়তনের জমি দক্ষিণ আফ্রিকার জনগণের জন্য
দিয়ে যান। অবশ্য তিনি কখনো চিন্তাও করতে পারেননি যে তাঁর মৃত্যুর একশ বছরেরও কম সময়ের
মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার ভূমির মালিক হবার অধিকার অর্জন করবে কালো মানুষেরা, সরকার
পরিচালিত হবে কালো মানুষদের দ্বারা যাঁদের তিনি মানুষ বলে মনে করতেন না।
সিসিল রোডস পরিকল্পনা করেছিলেন আফ্রিকা
মহাদেশের সর্বদক্ষিণের কেইপ টাউন থেকে সর্বউত্তরের মিশর পর্যন্ত ট্রেন লাইন বসানোর।
টেলিগ্রাফ লাইন বসানোর কাজ তিনি শুরু করেছিলেন।
১৯০২ সালে ৪৮ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়।
তাঁর উইল অনুসারে তাঁর সম্পদের কিছু অংশ নিয়ে ট্রাস্ট গঠিত হয়। একটা অংশ থেকে
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি দেয়া হয় প্রতিবছর। রোডস স্কলারশিপ খুবই
প্রেস্টিজিয়াস স্কলারশিপ পৃথিবীর স্কলারদের কাছে। কিন্তু সিসিল রোডস এর কথামতো এই
স্কলারশিপ শুধুমাত্র ইংরেজিভাষী শ্বেতাঙ্গ পুরুষদের জন্য সংরক্ষিত। ১৯৭৭ পর্যন্ত কোন
মেয়ে এই স্কলারশিপের জন্য মনোনীত হতো না। দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০১২ পর্যন্ত এই নিয়ম
চালু ছিল। ১৯৯১ সাল পর্যন্ত কোন কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান রোডস স্কলারশিপের জন্য বিবেচিত
হতো না।
রোডস মেমোরিয়েল
আপার ক্যাম্পাস থেকে
ছায়াঢাকা একটা রাস্তা ধরে উপরের দিকে ওঠার পর রোডস মেমোরিয়েল। ডেভিলস পিক-এর একটা
অংশে এই স্মারক-স্থাপনা। বিখ্যাত স্থপতি হারবার্ট ব্যাকার গ্রিক স্থাপত্যের
অনুসরণে ইউ আকৃতির এই স্থাপনা বানান গ্রানাইট পাথর দিয়ে। টেবিল মাউন্টেন থেকে আনা
হয় এসব পাথর।
মূল স্থাপনায় পৌঁছানোর জন্য ৪৯ ধাপের পাথরের
সিঁড়ি। সিসিল রোডসের জীবনের একেকটা বছরের জন্য একেকটা সিঁড়ি। নিচের ধাপের
সিঁড়িগুলোর মাঝখানে একটা বিশাল অশ্বারোহীর পিতলের মূর্তি। এই মূর্তি শারীরিক শক্তির
(Physical
Energy) প্রতীক।
উপরের সিঁড়ির প্রশস্ত রেলিং-এর ওপর একপাশে
চারটি করে দু’পাশে আটটি ব্রোঞ্জের
সিংহমূর্তি। সিঁড়িতে দাঁড়ালে কেইপ টাউনের অনেকদূর পর্যন্ত দেখা যায়। ইউনিভার্সিটির
ক্যাম্পাস, গ্রুট ইশকির হাসপাতাল সব দেখা যাচ্ছে।
“দেখেছো, একজন কত বড় মানুষ কত বড় বড় কাজ করে গেছেন?” মনে হচ্ছে এলিজাবেথ সিসিলের প্রশংসা করছে।
এলিজাবেথের সঙ্গে কোন ধরনের তর্কে যাওয়া
বৃথা। তার গায়ের চামড়া, চুলের রঙ তাকে এখনো অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা দেয় এই
পৃথিবীতে। সিসিল রোডসকে তার ভালো লাগতেই পারে।
নিচের দিকে তাকালে রাগবি মাঠের পাড়ে
সিসিলের মূর্তিশূন্য বেদি দেখা যাচ্ছে। অনেকদিন ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করে কৃষ্ণাঙ্গ
ছাত্রছাত্রীরা এই মূর্তি সরাতে বাধ্য করেছে।
মেমোরিয়েলের উপরের ধাপে সিসিল রোডস-এর
একটা আবক্ষ পিতলের মূর্তি। গায়ে হাত দিয়ে চিন্তা করছেন রোডস। পুরনো পিতলের মূর্তির
মুখ থেকে নাকটা কেউ সুন্দর করে কেটে নিয়ে গেছে। সেই জায়গায় পিতলের রঙ উজ্জ্বল।
সিসিল রোডসের নাক কেটে নেয়া হয়েছে
সিসিল চেয়েছিলেন এই
ভূখন্ডে রাজত্ব করবে শুধুই সাদারা। এমন একজন বর্বর, বর্ণবাদী, আধিপত্যবাদী মানুষের
নাম এখনো দক্ষিণ আফ্রিকায় যেভাবে ছড়িয়ে আছে - অনেক বছর লাগবে তা সরাতে। সিসিল রোডস
এতটাই প্রভাবশালী ছিলেন যে তার নামে ব্রিটিশ কলোনির একটা দেশের নামই ছিল-রোডেশিয়া।
যা এখন জিম্বাবুয়ে এবং জাম্বিয়া দুটো স্বাধীন দেশ।
“হি ওয়াজ নট ম্যারিড”-এলিজাবেথের
কথাগুলো শুনে মনে হচ্ছে খুবই আফসোস করছে সে।
“স্বাধীনচেতা মানুষ বিয়ে করে না।”
“ইউ আর রাইট।"
"তুমি কি স্বাধীনচেতা?"
"ইয়েস।"
রহস্যময় হাসি এলিজাবেথের মুখে।
সোয়া দুটা বেজে গেছে। যেতে হবে গ্রুট
ইশকির হাসপাতালে। মিউজিয়ামের তিনটার গাইডেড ট্যুরটা ধরতে হবে।
“কী ঠিক করলে?”
জ্ঞিজ্ঞেস করলাম এলিজাবেথকে। সে মেমোরিয়েলের
গায়ে সিসিল রোডসের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করা দেয়াল লিখনের ছবি তুলছে।
“অ্যাবাউট হোয়াট?”
“হার্ট মিউজিয়ামে যাবে?”
“পয়সা লাগে?”
“লাগে”
“কত?”
“তিনশ র্যান্ড”
“এত বেশি?”
“বেশি কোথায়? বিশ ইউরো। তোমাদের প্যারিসে ২০ ইউরোতে ঢুকা যায় কোথাও?”
“ঠিক বলেছো। আমার
তো ক্যাশ নেই।”
“ওরা ক্রেডিট নেয়। যাবে কিনা বলো। না গেলে-বাই।”
আমি সিঁড়ি দিয়ে নামতে শুরু করলাম।
দেখলাম সেও আসছে পেছনে।
ইউনিভার্সিটির এত বিশাল ক্যাম্পাসে এক
জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাবার, এক ক্যাম্পাস থেকে অন্য ক্যাম্পাসে যাবার, বাস ও
ট্রেন স্টেশন থেকে ক্যাম্পাসে যাতায়াত করার সুবন্দোবস্ত আছে। তাহলো জ্যামি শাটল
- ইউনিভার্সিটির নিজস্ব ক্যাম্পাস পরিবহন।
আকাশী রঙের ঝকঝকে নতুন অনেকগুলো বাস চলে ক্যাম্পাসে।
রোডস মেমোরিয়েল থেকে আপার ক্যাম্পাসে
ফিরে এসে জ্যামি শাটলের স্টপ খুঁজে পেতে দেরি হলো না। রুটম্যাপ দেখলাম। আমাদের
উঠতে হবে 9C বাসে।
No comments:
Post a Comment