শুক্রে অভিযান ২৬ |
|||
মিশন/ মহাকাশযান |
দেশ |
উৎক্ষেপণের তারিখ |
প্রধান লক্ষ্য ও
ফলাফল |
ম্যারিনার 10 (Mariner 10) |
আমেরিকা |
04/11/1973 |
শুক্র ও বুধ
গ্রহের চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে তথ্য সংগ্রহ
করা। |
মিশন সফল হয়। |
আমেরিকার ম্যারিনার মিশনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সফল মিশন ছিল ম্যারিনার-10। মিশন ম্যারিনার-10 ছিল বুধের প্রথম
অভিযান। এই মিশনকে বলা যায় একের ভিতর দুই।
এই মিশনে ম্যারিনার-10 নভোযান বুধ ও শুক্র দুটো
গ্রহের পাশ দিয়েই গিয়েছে এবং দুটো গ্রহেরই ছবি তুলে পাঠিয়েছে। ম্যারিনার-10 ছিল প্রথম নভোযান যেটা মহাকাশ অভিযানগুলোর জন্য ছিল সবচেয়ে দরকারি
পদক্ষেপ। কারণ এই মিশনে পৃথিবী থেকে বুধে যাওয়ার জন্য একটি নতুন পদ্ধতি অবলম্বন
করা হয়েছিল প্রথম বারের মতো। মহাকাশে গতিপথ পরিবর্তন করার জন্য শুক্র গ্রহের
অভিকর্ষ কাজে লাগানো হয়েছিল। এটা সফল হবার পর এই পদ্ধতি একটি অত্যন্ত দরকারি
পদ্ধতিতে পরিণত হয়। এই প্রথম সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে নভোযানের ত্বরণের ব্যবস্থা
করা হয় এবং অ্যান্টেনাকে নৌকার পালের মত ব্যবহার করে মহাকাশে গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করা
হয়।
চিত্র 29: ম্যারিনার-10
ম্যারিনার-10 মিশনের মূল লক্ষ্য ছিল:
- বুধ গ্রহের উপরিতলের উপাদান, বায়ুমন্ডল, পরিবেশ ও
অন্যান্য ভৌত ধর্ম পরীক্ষা করে দেখা।
- শুক্র গ্রহের বায়ুমন্ডল ও অন্যান্য ভৌত ধর্ম
পরীক্ষা করে দেখা।
- বুধ ও শুক্র গ্রহের চার পাশে জরিপ করে দেখা।
- এক গ্রহের মাধ্যাকর্ষণ বলকে কাজে লাগিয়ে নভোযান
অন্য গ্রহের দিকে নিয়ে যাওয়ার পদ্ধতির কারিগরি দিকগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখা।
- X-band ট্রান্সমিটারের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখা।
- আইনস্টাইনের জেনারেল থিওরি অব রিলেটিভিটি পরীক্ষা
করে দেখা।
ম্যারিনার-10 নভোযানে ১৫০০ মিলিমিটার ফোকাস দূরত্বের লেন্সযুক্ত ক্যামেরা ছিল। এই
ক্যামেরা দিয়ে অনেক দূর থেকে একের পর এক ছবি তুলতে তুলতে শুক্রের কাছ দিয়ে অগ্রসর
হয়েছে নভোযান। এই ছবিগুলোই মহাকাশ থেকে পাঠানো শুক্র গ্রহের প্রথম ছবি।[1]
শুক্রে অভিযান ২৭ |
|||
মিশন/ মহাকাশযান |
দেশ |
উৎক্ষেপণের তারিখ |
প্রধান লক্ষ্য ও
ফলাফল |
ভেনেরা 9 (Venera 9) |
সোভিয়েত ইউনিয়ন |
08/06/1975 |
তথ্য সংগ্রাহক
যন্ত্র নিয়ে শুক্র গ্রহে নামা। |
মিশন সফল হয়।
শুক্র গ্রহের ভূমি থেকে সরাসরি তথ্য ও ছবি পাঠায়। |
চিত্র 30: ভেনেরা-9/10 এর এই অংশটি শুক্রে অবতরণ করেছিল
১৯৭৫ সালের জুন মাসে এক সপ্তাহের ব্যবধানে আরো দুটো ভেনেরা নভোযান শুক্রে পাঠায় সোভিয়েত ইউনিয়ন। ভেনেরা-9 এবং ভেনেরা-10 এর গঠন ছিল হুবহু এক। বৈজ্ঞানিক উদ্দেশ্যও ছিল এক:
শুক্রগ্রহে অবতরণ করে শুক্রের পরিবেশ আরো ভালোভাবে পরীক্ষা করা। আগের মিশনগুলো থেকে এই মিশনদুটোর নতুনত্ব ছিল - শুক্র গ্রহের ভূমি থেকে ছবি তুলে সরাসরি পৃথিবীতে পাঠানো। ভেনেরা-9 নভোযানের গঠন ছিল আগের ভেনেরা নভোযানগুলোর চেয়ে অনেক বেশি শক্ত এবং ভারী। এই নভোযানের ভর ছিল ২০১৫ কিলোগ্রাম। যে অংশটা শুক্র গ্রহে নামার জন্য তৈরি করা হয়েছিল তার ভর ছিল ১৫৬০ কিলোগ্রাম। শুক্রের প্রচন্ড তাপমাত্রা সহ্য করার জন্য অ্যালুমিনিয়াম শিল্ড দিয়ে ঘিরে রাখা হয় সবগুলো দরকারি যন্ত্রপাতি। ল্যান্ডারটি দুই মিটার উঁচু, এবং ৬৬০ কিলোগ্রাম ভারী। ডাটা ট্রান্সমিশানের হার ছিল সেকেন্ডে ২৫৬ বিট। ১৯৭৫ সালে এটা কিন্তু অনেক উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ট্রান্সমিশান। ল্যান্ডিং-এর উপরে বড় ডিস্ক ও সিলিন্ডার আকৃতির টাওয়ারের গায়ে লাগানো প্যাঁচানো অ্যান্টেনা। এগুলোর মাধ্যমে ডাটা ট্রান্সমিশান করা হয়েছে শুক্র থেকে পৃথিবীতে। ছবি তোলার যন্ত্রপাতি এবং সাথে ছিল থার্মোমিটার, ব্যারোমিটার, অ্যানেমোমিটার, স্পেকট্রোমিটার, বাতাসে ভাসমান ধুলিকণার আকার ও ঘনত্ব মাপার জন্য নেফেলোমিটার (nephelometer) ইত্যাদি।
১৯৭৫ সালের ৮ জুন উৎক্ষেপণ করা হয় ভেনেরা-9। প্রায় সাড়ে চারমাস পর ২২ অক্টোবর শুক্রগ্রহে অবতরণ করে ভেনেরা-9। অবতরণ করার ৫৩ মিনিট পর্যন্ত টিকে থাকতে পেরেছিল যন্ত্রপাতিগুলো এবং পৃথিবীতে ডাটা পাঠিয়েছিল। ভেনেরা-9 শুক্র গ্রহের ১৮০ ডিগ্রি প্যানারোমিক ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছিল।
ভেনেরা-9 মিশন থেকে শুক্রের পরিবেশ ও মাটির গঠন সম্পর্কে বেশ কিছু নতুন তথ্য পাওয়া যায় এবং তাপ ও চাপ সংক্রান্ত আগের তথ্যগুলোর সত্যতা পাওয়া যায়। যে তথ্যগুলো পাওয়া যায় তা সংক্ষেপে এরকম:
- শুক্রের ভূমি থেকে ৩০-৩৫ কিলোমিটার উপরে ৩০-৪০ কিলোমিটার পুরু মেঘের আস্তরণ।
- বায়ুমন্ডলে আছে হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl), হাইড্রোজেন ফ্লোরাইড (HF), ব্রোমিন (Br), এবং আয়োডিন (I)।
- শুক্রপৃষ্ঠে বায়ুমন্ডলের চাপ পৃথিবীপৃষ্ঠে বায়ুমন্ডলের চাপের ৯০ গুণ।
- শুক্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৪৮৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
- আলোর উজ্জ্বলতা পৃথিবীর মেঘাচ্ছন্ন দিনের উজ্জ্বলতার মতো।
- শুক্রপৃষ্ঠে আলোতে ছায়া তৈরি হয়।
- বাতাসে তেমন কোন ধুলিকণা নেই।
- ৩০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার আকারের পাথর দেখা গেছে। এত বছর পরেও এই পাথরগুলি ক্ষয়ে যায়নি।
শুক্রে অভিযান ২৮ |
|||
মিশন/ মহাকাশযান |
দেশ |
উৎক্ষেপণের তারিখ |
প্রধান লক্ষ্য ও
ফলাফল |
ভেনেরা 10 (Venera 10) |
সোভিয়েত ইউনিয়ন |
14/06/1975 |
তথ্য সংগ্রাহক
যন্ত্র নিয়ে শুক্র গ্রহে নামা। ভেনেরা-৯ এর মতো। |
মিশন সফল হয়।
শুক্র গ্রহের ভূমি থেকে সরাসরি তথ্য ও ছবি পাঠায়। |
ভেনেরা-9 উৎক্ষেপণের ছয় দিন পর ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন ভেনেরা-10 উৎক্ষেপণ করা হয়। ভেনেরা-9 ও ভেনেরা-10 এর নভোযানের গঠন ছিল হুবহু একই রকম। তাদের লক্ষ্যও ছিল একই। তবে দুটো নভোযান শুক্রের দুটো ভিন্ন ভিন্ন স্থানে অবতরণ করেছিল। ভেনেরা-9 শুক্রে অবতরণ করার তিন দিন পর ২৫ অক্টোবর ১৯৭৫ ভেনেরা-10 শুক্রপৃষ্ঠে অবতরণ করে। শুক্রে নামার পর ৬৫ মিনিট পর্যন্ত নভোযানের সবগুলো বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি সচল ছিল। ভেনেরা-10 যে ছবিগুলো পাঠিয়েছিল সেখান থেকে দেখা গেছে শুক্রপৃষ্ঠে বড় বড় প্যানকেক আকৃতির পাথর আছে, সেই পাথরগুলোর ফাঁকে ফাঁকে দেখা যাচ্ছে আগ্নেয়গিরির লাভাস্রোত। শুক্রের ভূমিতে বাতাসের বেগ সেকেন্ডে 3.5 মিটার বা ঘন্টায় 12.6 কিলোমিটার।
শুক্রে অভিযান ২৯ |
|||
মিশন/ মহাকাশযান |
দেশ |
উৎক্ষেপণের তারিখ |
প্রধান লক্ষ্য ও
ফলাফল |
পাইওনিয়ার ভেনাস 1 (Pioneer Venus 1) |
আমেরিকা |
20/05/1978 |
শুক্র গ্রহের
চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে তথ্য সংগ্রহ করা। |
মিশন সফল হয়। |
সোভিয়েত
ইউনিয়নের ভেনেরা মিশনের সাফল্যের পাশাপাশি আমেরিকান স্পেস এজেন্সির (নাসা) শুক্র গ্রহের মিশনগুলোও সফল হচ্ছিলো।
ম্যারিনার প্রোগ্রামগুলো সরাসরি শুক্র গ্রহে নামার মিশন ছিল না। সুনির্দিষ্টভাবে
শুক্রগ্রহের চারপাশে ঘুরার জন্য এবং শুক্র গ্রহে নেমে সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য
আমেরিকা পাইওনিয়ার ভেনাস মিশন হাতে নেয়। এই মিশনের আওতায় দুটো নভোযান পাঠানো হয়
শুক্র গ্রহে। একটি শুক্র গ্রহের চারপাশে ঘুরার জন্য, অন্যটি শুক্র গ্রহে নামার
জন্য।
চিত্র 31: পাইওনিয়ার ভেনাস-1
পাইওনিয়ার ভেনাস-1 উৎক্ষেপণ করা হয় ১৯৭৮ সালের ২০ মে। এটা শুক্র গ্রহের চারপাশে একটি উপবৃত্তাকার কক্ষপথে প্রবেশ করে ১৯৭৮ সালের ৪ ডিসেম্বর। এটা ছিল একটি চ্যাপ্টা সিলিন্ডারের মত যার উচ্চতা 1.2 মিটার এবং ব্যাস 2.5 মিটার। সবগুলো বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি রাখা ছিল সিলিন্ডারের সামনের দিকে। পেছনের দিকে ছিল চুম্বকত্ব মাপার জন্য ম্যাগনেটোমিটার। সিলিন্ডারের চারপাশের দেয়ালে লাগানো সোলার প্যানেল থেকে প্রয়োজনীয় জ্বালানি উৎপাদনের ব্যবস্থা। একটি 1.09 মিটার ব্যাসের ডিশ আন্টেনার মাধ্যমে পৃথিবীর সাথে এর যোগাযোগ। পুরো নভোযানের ভর ছিল 517 কেজি যার মধ্যে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির ভর ছিল 45 কেজি।
সতের ধরনের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা করার যন্ত্রপাতি সাথে নিয়ে গিয়েছিল পাইওনিয়ার ভেনাস-1:
- শুক্রের মেঘের বিন্যাস মাপার জন্য ক্লাউড ফটোপোলারিমিটার (cloud
photopolarimeter)
- ভূমির উপরিতলের বৈশিষ্ট্য মাপার জন্য সারফেস র্যাডার ম্যাপার (surface radar mapper)
- শুক্রের বায়ুমন্ডল থেকে অবলোহিত রশ্মির নিঃসরণ মাপার জন্য ইনফ্রারেড রেডিওমিটার (infrared
radiometer)
- শুক্র গ্রহ থেকে নিসৃত ও বিচ্ছুরিত অতিবেগুনি রশ্মি মাপার জন্য আলট্রাভায়োলেট স্পেকট্রোমিটার (ultraviolet
spectrometer)
- উপরের আবহাওয়ামন্ডলের উপাদান বিশ্লেষণ করার জন্য নিউট্রাল ম্যাস স্পেকট্রোমিটার (neutral mass
spectrometer)
- সৌরঝড়ের বৈশিষ্ট্য মাপার জন্য সোলার উইন্ড প্লাজমা এনালাইজার (solar wind plasma
analyzer)
- শুক্রের চুম্বকত্ব মাপার জন্য ম্যাগনেটোমিটার (magnetometer)
- সৌরঝড় ও তার প্রভাব মাপার জন্য ইলেকট্রিক ফিল্ড ডিটেক্টর (electric field
detector)
- আয়নমন্ডলের তাপীয় বৈশিষ্ট্য মাপার জন্য ইলেকট্রন তাপমানযন্ত্র (electron
temperature probe)
- আয়নমন্ডলের আয়নের পরিমাণ এবং বৈশিষ্ট্য মাপার জন্য আয়ন ম্যাস স্পেকট্রোমিটার (ion mass
spectrometer)
- আয়নমন্ডলের কণাগুলোর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করার জন্য চার্জ পার্টিক্যাল রিটারডিং পটেনশিয়াল অ্যানালাইজার (charged particle
retarding potential analyser)
- শুক্র গ্রহের অভিকর্ষজ ক্ষেত্রের মান নির্ণয় করার জন্য রেডিও সায়েন্স এক্সপেরিমেন্ট (radio science
experiment)
- বায়ুমন্ডলের বৈশিষ্ট্য নির্ণয়ের জন্য রেডিও অকাল্টেশান এক্সপেরিমেন্ট (radio occultation
experiment)
- বায়ুমন্ডলের উপরিস্তরের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করার জন্য অ্যাটমোস্ফেরিক ড্র্যাগ এক্সপেরিমেন্ট (atomospheric drag
experiment)
- সৌরঝড়ের বিশৃঙ্খলার প্রকৃতি মাপার জন্য যন্ত্রপাতি
- গামা রশ্মি নির্ণয় ও বিশ্লেষণ করার জন্য গামা ডিটেক্টর
পাইওনিয়ার ভেনাস-1 নভোযান শুক্রের চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে জরিপ করেছে শুক্র গ্রহের চারপাশ। র্যাডারের মাধ্যমে অসংখ্য ছবি তুলে পাঠিয়েছে পৃথিবীতে। ১৯৯২ সালের আগস্টে নভোযানটির কক্ষপথে থাকার জন্য যে জ্বালানি দরকার হয় তা শেষ হয়ে যায়। ফলে ওটা কক্ষচ্যুত হয়ে মহাকাশের কোথাও ঘুরছে এখন।
শুক্রে অভিযান ৩০ |
|||
মিশন/ মহাকাশযান |
দেশ |
উৎক্ষেপণের তারিখ |
প্রধান লক্ষ্য ও
ফলাফল |
পাইওনিয়ার ভেনাস 2 (Pioneer Venus 2) |
আমেরিকা |
08/08/1978 |
শুক্র গ্রহে নেমে
তথ্য সংগ্রহ করা। |
মিশন সফল হয়। |
চিত্র 32: পাইওনিয়ার ভেনাস-2
পাইওনিয়ার ভেনাস মিশনের ভেনাস অরবিটার উৎক্ষেপণের প্রায় তিন মাস পর ১৯৭৮ সালের ৮ আগস্ট পাইওনিয়ার ভেনাস-2 উৎক্ষেপণ করা হয়। শুক্র গ্রহে এক সাথে চারটি প্রোব (probe) বা পরীক্ষণযন্ত্র নামানো হয় শুক্রের প্রাকৃতিক পরিবেশ পরীক্ষা করে দেখার জন্য। পাইওনিয়ার ভেনাস-2 নভোযানের মূল কাঠামোর ভর ছিল 290 কেজি। চারটি প্রোবের মধ্যে ছিল একটি বড় প্রোব - যার ভর 315 কেজি,
আর তিনটি ছোট প্রোব - যাদের প্রত্যেকটির ভর 90
কেজি। দেড় মিটার ব্যাসের বড় প্রোবটি মূল নভোযান থেকে শুক্রের উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেয়া হয় ১৯৭৮ সালের ১৬ নভেম্বর। ৮০০ সেন্টিমিটার ব্যাসের ছোট তিনটি প্রোব পাঠানো হয় ২০ নভেম্বর। চারটি প্রোবই শুক্রের বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করে ৯ ডিসেম্বর।
বড় প্রোবটিতে যেসব বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ছিল তা হলো:
- বায়ুমন্ডলের উপাদান বিশ্লেষণ করার জন্য নিউট্রাল ম্যাস স্পেকট্রোমিটার (neutral mass
spectrometer)
- বায়ুমন্ডলের উপাদান মাপার জন্য গ্যাস ক্রোমাটোগ্রাফ (gas chromatograph)
- বায়ুমন্ডলে কতটুকু সৌর-শক্তির প্রবাহ (solar flux) ঘটে তা মাপার জন্য সোলার ফ্লাক্স রেডিওমিটার
- শুক্রের বায়ুমন্ডল থেকে অবলোহিত রশ্মির নিঃসরণ মাপার জন্য ইনফ্রারেড রেডিওমিটার (infrared radiometer)
- মেঘের কণার আকার ও আকৃতি পরিমাপের জন্য স্পেকট্রোমিটার
- মেঘের কণার অস্তিত্ব খুঁজে বের করার জন্য নেফেলোমিটার (nephelometer)
- তাপ, চাপ ও ত্বরণ মাপার যন্ত্র
ছোট
প্রোবগুলোতে ছিল তাপ, চাপ, ত্বরণ মাপার যন্ত্র, বাতাসের উপাদান নির্দেশক যন্ত্র,
রেডিওমিটার ইত্যাদি। ছোট তিনটি প্রোব শুক্র গ্রহের তিন দিকে নামানো হয়। একটি প্রোব
নামানো হয় শুক্রের যেদিকে দিন সেদিকে - অর্থাৎ ডে সাইডে, আরেকটি প্রোব নামানো হয়
ডে সাইডের উত্তর দিকে, এবং তৃতীয় প্রোবটি নামানো হয় যেদিকে রাত সেদিকে অর্থাৎ নাইট
সাইডে। ছোট প্রোবগুলির মধ্যে শুধুমাত্র ডে সাইডের প্রোবটি শুক্রের পৃষ্ঠে নামার পর
ঘন্টাখানেক সচল ছিল এবং ডাটা পাঠাতে সক্ষম হয়েছিল।
১৯৭৮ সালে শুক্রগ্রহে অনেকগুলো নভোযান পাঠানো হয়েছিল। আগস্ট মাসে আমেরিকান পাইওনিয়ার ভেনাস মিশনের পর সেপ্টেম্বর মাসে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেনেরা প্রোগ্রামের আওতায় আরো দুটো ভেনেরা নভোযান পাঠায়।
শুক্রে অভিযান ৩১ |
|||
মিশন/ মহাকাশযান |
দেশ |
উৎক্ষেপণের তারিখ |
প্রধান লক্ষ্য ও
ফলাফল |
ভেনেরা 11 (Venera 11) |
সোভিয়েত ইউনিয়ন |
09/09/1978 |
শুক্র গ্রহের
মাটিতে নামা |
মিশন সফল হয়।
শুক্র গ্রহের ভূমি থেকে সরাসরি তথ্য ও ছবি পাঠায়। |
চিত্র 33: ভেনেরা-11/12
ভেনেরা-11 ও ভেনেরা-12 মিশনদুটো ছিল হুবহু একই রকমের। একই ধরনের দুটো নভোযানে একই ধরনের যন্ত্রপাতি এবং একই উদ্দেশ্য নিয়ে শুক্রে পাঠানো হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল শুক্রের বায়ুমন্ডলের রাসায়নিক উপাদানগুলোর সব তথ্য সংগ্রহ করা, মেঘের প্রকৃতি নিরূপন করা, তাপমাত্রা বিশ্লেষণ করা এবং ভূমিস্তরের উপাদান ও ধর্ম পরীক্ষা করা।
ভেনেরা-11
নভোযানের গঠন ছিল ভেনেরা-9 ও ভেনেরা-10 এর অনুরূপ। যন্ত্রপাতির মধ্যে নতুন সংযোজন ছিল রঙিন ছবি তোলার ব্যবস্থা, বায়ুমন্ডলের উপাদান পরীক্ষা করার জন্য গ্যাস ক্রোমাটোগ্রাফ, বিচ্ছুরিত সৌর বিকিরণ পরীক্ষা করার জন্য যন্ত্রপাতি, মাটি খোড়ার যন্ত্র, তাপ ও চাপ মাপার যন্ত্র, ত্বরণ ও বায়ুর বেগ মাপার যন্ত্রপাতি।
১৯৭৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর উৎক্ষেপণ করা হয় ভেনেরা-11। ২৫ ডিসেম্বর তা শুক্রের বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করে। প্যারাসুটের সাহায্যে আস্তে করে ভূমিতে নামে নভোযান। ভূমি স্পর্শ করার সময় নভোযানের গতি ছিল প্রায় ২৮ কিলোমিটার। ভূমিতে নামার পরবর্তী 95 মিনিট পর্যন্ত তথ্য পাঠাতে সক্ষম হয়েছিল। রঙিন ছবি তোলার সমস্ত সরঞ্জাম থাকা সত্ত্বেও ক্যামেরার লেন্স কভার যথাসময়ে না খোলার কারণে কোন ছবি পাঠাতে পারেনি ভেনেরা-11। মাটির উপাদান পরীক্ষা করার জন্য নির্দিষ্ট চেম্বারে রাখা যায়নি বলে মাটির উপাদান পরীক্ষা করা যায়নি। ভেনেরা-11 এর পাঠানো তথ্য থেকে শুক্র গ্রহ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা নতুন যে তথ্য পেয়েছেন তা হলো শুক্রগ্রহে বিদ্যুৎ চমকায় এবং বজ্রপাত হয়। মেঘের স্তরে সালফার ও ক্লোরিন, এবং বায়ুমন্ডলের নিচের স্তরে কার্বন-মনোক্সাইড পাওয়া যায়।
শুক্রে অভিযান ৩২ |
|||
মিশন/ মহাকাশযান |
দেশ |
উৎক্ষেপণের তারিখ |
প্রধান লক্ষ্য ও
ফলাফল |
ভেনেরা 12 (Venera 12) |
সোভিয়েত ইউনিয়ন |
14/09/1978 |
শুক্র গ্রহের
মাটিতে নামা |
মিশন সফল হয়।
শুক্র গ্রহের ভূমি থেকে সরাসরি তথ্য ও ছবি পাঠায়। |
ভেনেরা-11 উৎক্ষেপণের পাঁচ দিন পর ভেনেরা-12
উৎক্ষেপণ করা হয় ১৯৭৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর। ২১শে ডিসেম্বর এটা শুক্র গ্রহের বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করে। ভূমিতে নামার পরবর্তী 110 মিনিট পর্যন্ত এটা তথ্য পাঠাতে সক্ষম হয়েছিল। ক্যামেরা ডিজাইনের কোথাও সমস্যা ছিল, যার কারণে এটার ক্যামেরার লেন্স কভারও খোলেনি। ফলে কোন রঙিন ছবি পাওয়া যায়নি শুক্রের পৃষ্ঠ থেকে। অন্যান্য বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার ফলাফলগুলোও ছিল ভেনেরা-11 এর অনুরূপ।
শুক্রে অভিযান ৩৩ |
|||
মিশন/ মহাকাশযান |
দেশ |
উৎক্ষেপণের তারিখ |
প্রধান লক্ষ্য ও
ফলাফল |
ভেনেরা 13 (Venera 13) |
সোভিয়েত ইউনিয়ন |
30/10/1981 |
শুক্র গ্রহের
মাটিতে নামা |
মিশন সফল হয়।
শুক্র গ্রহের প্রথম রঙিন ছবি পাঠায়। |
চিত্র 34: ভেনেরা-13/14
১৯৮১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন আরো দুটো ভেনেরা মিশন পরিচালনা করে। ভেনেরা-13 ও ভেনেরা-14 মিশন দুটো ছিল হুবহু একই রকমের। তাদের উদ্দেশ্য ছিল শুক্রপৃষ্ঠ থেকে শুক্রের বায়ুমন্ডল ও ভূমির উপাদান পরীক্ষা করা এবং শুক্র গ্রহের রঙিন ছবি পাঠানো। সে উদ্দেশ্য বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির অনেক আধুনিকায়ন করা হয়েছে। মূল কাঠামোটি এমনভাবে তৈরি করা হয় যেন শুক্র গ্রহের প্রচন্ড চাপেও তার কোন ক্ষতি না হয়। বায়ুমন্ডলের ক্ষতিকর গ্যাস যেন ঢুকতে না পারে তার ব্যবস্থাও করা হয়। সব ইলেকট্রনিক্স ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি রাখা হয় তার ভেতর। কাঠামোটির ভর ছিল 760 কেজি। নভোযানটির ডিজাইন এমনভাবে করা হয় যেন নিচের যে অংশে সব যন্ত্রপাতি আছে সেই অংশ শুক্রের মাটিতে নামবে, আর উপরের অংশ যেটাতে অ্যান্টেনা এবং ট্রান্সমিশান কয়েল আছে সেটা শুক্রের পাশ দিয়ে উড়তে থাকবে। মাটির অংশ ডাটা সংগ্রহ করে উপরের অংশে পাঠাবে এবং উপরের অংশ অ্যান্টেনার মাধ্যমে সেই ডাটা এবং ছবি পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেবে।
যে অংশ ভূমিতে নামবে
সেখানে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির মধ্যে ছিল শুক্রের মাটির উপাদান ও আইসোটোপ পরীক্ষা করার ব্যবস্থা, বিচ্ছুরিত সূর্যালোক পরীক্ষা করার ব্যবস্থা, বায়ুমন্ডলের চার্জ পরীক্ষা করার যন্ত্র। আগের যে দুটো মিশনে রঙিন ছবি তোলার ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও ছবি তোলা যায়নি, সেই ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করে রঙিন ছবি তোলার জন্য ক্যামেরার সাথে লাল, নীল, সবুজ ও স্বচ্ছ ফিল্টার যোগ করে দেয়া হয়। শব্দ নির্ণয় করার জন্য অ্যাকস্টিক ডিটেক্টর (acoustic detector), এক্স-রে ফ্লুরোসেন্স স্পেকট্রোমিটার (x-ray fluoroscence spectrometer),
মাটি খোড়ার যন্ত্র, এবং শুক্রে ভূমিকম্প হয় কি না দেখার জন্য সিসমোমিটার (seismometer)।
১৯৮১ সালের ৩০ অক্টোবর উৎক্ষেপণ করা হয় ভেনেরা-13। উৎক্ষেপণের পর চার মাস ধরে মহাকাশে পথ চলার পর তা শুক্রের বায়মন্ডলে প্রবেশ করে ১৯৮২ সালের ১লা মার্চ।
নভোযানের নিচের অংশ আলাদা হয়ে যায় এবং উপরের অংশে শুক্রের পাশে উড়তে থাকে। নিচের
অংশ ভূমিতে নামে প্যারাসুটের সাহায্যে। ভূমি থেকে 47 কিলোমিটার উঁচুতে প্যারাসুট খুলে যায়। পরবর্তী এক ঘন্টার মধ্যে শুক্রের ভূমিতে নামে ভেনেরা-13। নামার সাথে সাথে চারপাশের রঙিন ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেয় ভেনেরা-13। এই প্রথম অন্য কোন গ্রহের রঙিন ছবি সরাসরি অন্য কোন গ্রহ থেকে এলো পৃথিবীতে। ভেনেরা-13 শুক্রপৃষ্ঠের যে রঙিন ছবি পাঠিয়েছিল সেখানে দেখা গেছে কমলা ও বাদামী রঙের সমতল ভূমির উপর ছোট ছোট পাথর।
চিত্র 35: ভেনেরা-13 পাঠানো শুক্র গ্রহের প্রথম রঙিন ছবি
মাটি খুড়ে নমুনা সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ করা হয় সেখানেই। শুক্রের মাটি পরীক্ষা করে দেখা গেছে সেখানে পটাশিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি।
শুক্রের মাটিতে নামার পর যন্ত্রপাতিগুলো যেন কমপক্ষে 32 মিনিট সচল থাকে সেরকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। কিন্তু ডিজাইন এত ভালো ছিল যে শুক্রের 457 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এবং পৃথিবীর 89 গুণ বেশি বায়ুচাপেও যন্ত্রপাতিগুলো 127 মিনিট সচল ছিল।
শুক্রে অভিযান ৩৪ |
|||
মিশন/ মহাকাশযান |
দেশ |
উৎক্ষেপণের তারিখ |
প্রধান লক্ষ্য ও
ফলাফল |
ভেনেরা 14 (Venera 14) |
সোভিয়েত ইউনিয়ন |
04/11/1981 |
শুক্র গ্রহের
মাটিতে নামাও তথ্য সংগ্রহ করে পাঠানো। |
মিশন সফল হয়। |
ভেনেরা-14 মিশন ছিল ভেনেরা-13 মিশনের হুবহু একই রকম। একই উদ্দেশ্য, একই যন্ত্রপাতি। কেবল প্রথমটির পাঁচ দিন পর দ্বিতীয়টির উড্ডয়ন। ভেনেরা-14 উৎক্ষেপণ করা হয় ১৯৮১ সালের ৪ঠা নভেম্বর। মহাকাশে চার মাসের পথ পাড়ি দেবার পর শুক্রে নামার জন্য নভোযানের নিচের অংশ খুলে যায় ১৯৮২ সালের ৩ মার্চ। সেই অংশটি প্যারাসুটের সাহায্যে শুক্রের মাটিতে নামে ৫ মার্চ। নভোযানের উপরের অংশটি ট্রান্সমিশান যন্ত্রপাতিসহ শুক্রের পাশে উড়তে থাকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সব পরীক্ষা করা হয়। ভেনেরা-14 যেখানে নেমেছিল সেখানে তাপমাত্রা ছিল 470 ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের চাপ ছিল পৃথিবীর চাপের 94 গুণ। এই তাপে ও চাপে যন্ত্রপাতিগুলো 57 মিনিট সচল ছিল।
শুক্রে অভিযান ৩৫ |
|||
মিশন/ মহাকাশযান |
দেশ |
উৎক্ষেপণের তারিখ |
প্রধান লক্ষ্য ও
ফলাফল |
ভেনেরা 15 (Venera 15) |
সোভিয়েত ইউনিয়ন |
02/06/1983 |
শুক্র গ্রহের
চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে তথ্য সংগ্রহ করা। |
মিশন সফল হয়। |
সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেনেরা মিশনের শেষ দুটো মিশন ছিল ভেনেরা-15
এবং ভেনেরা-16। এই দুটো মিশনের উদ্দেশ্য এবং নভোযানের গঠন ছিল হুবহু একই ধরনের। মিশনের লক্ষ্য ছিল শুক্র গ্রহের চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে র্যাডারের মাধ্যমে শুক্রকে জরিপ করা।
চিত্র 36: ভেনেরা-15/16
ভেনেরা-15
ও ভেনেরা-16 নভোযান দুটো ছিল এর আগের সবগুলো ভেনেরা নভোযানের চেয়ে বড়। ভর প্রায় চার হাজার কেজি। মূল কাঠামো ছিল 5 মিটার লম্বা ও 6 মিটার ব্যাসের সিলিন্ডার আকৃতির। এর এক দিকে লাগানো 1.4 মিটার লম্বা অধিবৃত্তাকার (parabolic) ডিশ অ্যান্টেনা যার মাধ্যমে র্যাডারের সিগনাল গৃহীত হয়। তার পাশেই লাগানো 1 মিটার ব্যাসের আরেকটি অধিবৃত্তাকার ডিশ অ্যান্টেনা যার সাহায্যে উচ্চতা মাপক যন্ত্রের সিগনাল গৃহীত হয়। র্যাডারের সব যন্ত্রপাতিও সিলিন্ডারের এদিকে। সিলিন্ডারের অন্যদিকে আছে জ্বালানি ট্যাংক এবং ইঞ্জিন। সিলিন্ডারের দুপাশে আছে সোলার প্যানেল। পৃথিবীতে ডাটা পাঠানোর জন্য 2.6 মিটার ব্যাসের আরেকটি ডিশ-অ্যান্টেনা লাগানো আছে সিলিন্ডারের অন্যপাশে।
ভেনেরা-15
উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল ১৯৮৩ সালের ২রা জুন। তার পাঁচ দিন পর ৭ জুন তারিখে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল ভেনেরা-16।
শুক্রে অভিযান ৩৬ |
|||
মিশন/ মহাকাশযান |
দেশ |
উৎক্ষেপণের তারিখ |
প্রধান লক্ষ্য ও
ফলাফল |
ভেনেরা 16 (Venera 16) |
সোভিয়েত ইউনিয়ন |
07/06/1983 |
শুক্র গ্রহের
চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে তথ্য সংগ্রহ করা। ভেনেরা-১৫ এর সাথে কাজ। |
মিশন সফল হয়। |
প্রায় চার মাস মহাকাশপথ পাড়ি দিয়ে ভেনেরা-15 শুক্র গ্রহের কক্ষপথে প্রবেশ করে। একদিন পর তার কক্ষপথের তলের সাথে চার ডিগ্রি কৌণিক দূরত্বে এসে ঢুকে ভেনেরা-16। দুটা কাছাকাছি তলে থেকে দুটো নভোযানই সিন্থেটিক অ্যাপারচার র্যাডারের (SAR) সাহায্যে শুক্রগ্রহকে জরিপ করে। একটার ঠিক উপরে কাছাকাছি আরেকটি নভোযান থাকার সুবিধা হলো এই যে প্রথমটা যদি কোন অংশ জরিপ করতে না পারে, দ্বিতীয়টার জরিপে সেটা ধরা পড়বে। দীর্ঘ আট মাস ধরে শুক্রের ভূমি জরিপ করেছে ভেনেরা-15 এবং ভেনেরা-16। এই জরিপের তথ্য থেকে শুক্র সম্পর্কে একটা সার্বিক ধারণা বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন।
[1] ম্যারিনার-10 সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য পড়ো 'বুধ: যে গ্রহে একদিন সমান দুই বছর', প্রদীপ দেব, মীরা প্রকাশন ঢাকা, ২০১৮।
২ টা অনুরোধঃ-
ReplyDelete১.আপানার বই এর দাম টা যদি একটু কমানো যেত;
২.Nuclear Physics
Nuclear Scattering
এই দুই সিরিজ যদি বাংলায় ও লেখেন তবে বাঙালি দের জন্য ভাল হয়........
১ম টা রাখার চেষ্টা করবেন🙏, কিন্তু না পারলে অসুবিধা নেই......কিন্তু ২য় টা আপনাকে রাখতেই হবে।
অনেক ধন্যবাদ। বইয়ের দামের উপর আসলে আমার কোন হাত নেই। প্রকাশক বইয়ের নাম রাখেন। আমি কিন্তু লেখক হিসেবে প্রকাশকের কাছ থেকে কোন রয়ালটি পাই না।
ReplyDeleteআর নিউক্লিয়ার ফিজিক্স - সময় পেলে অবশ্যই বাংলায় লিখবো। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
একজন স্কুল ছাত্রের জন্য আপনার বইএর দাম টা এক্টু বেশি, আবার অনলাইনে বেশি পড়লে মাথা ব্যাথা করে, চেষ্টা করবেন যদি এক্টু দাম টা কমানো যায়।
Deleteআর আমি আপনার ২টা বই কিনেছি
১ শুক্র ২ অর্ক ও সূর্য্য মামা,
২য় বই টা আপনাকে update করতে হবে, অনেক নতুন তথ্য লেখা নাই
FB: SimAntA SahA SaRoB
অনেক ধন্যবাদ সীমান্ত। অর্ক ও সূর্যমামাতে সূর্যের তথ্য খুব কম রাখা হয়েছে। সূর্য সম্পর্কে একটা পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞানের বই লেখার পরিকল্পনা আছে।
Delete