ষষ্ঠ
অধ্যায়
মঙ্গলে প্রাণ
মঙ্গল
গ্রহে সবগুলো
অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হলো একটা প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানা - মঙ্গলে প্রাণের
অস্তিত্ব থাকা সম্ভব কি না। নাসার অনেকগুলো সফল মিশন থেকে মঙ্গল গ্রহের বর্তমান
পরিবেশ সম্পর্কে যতটুকু জানা গেছে - তাতে বোঝা যাচ্ছে যে বর্তমান অবস্থায় মঙ্গল
গ্রহে স্বাভাবিক-প্রাণ থাকা সম্ভব নয়।
কিন্তু এই 'স্বাভাবিক-প্রাণ' বলতে আমরা বুঝছি পৃথিবীর প্রাণ-রাসায়নিক ভিত্তির
উপর গড়ে ওঠা প্রাণ। পৃথিবীর প্রাণের মূল ভিত্তি তরল পানি। পৃথিবীতে তরল পানির অস্তিত্ব
যেখানে আছে - সেখানেই প্রাণের সন্ধান পাওয়া গেছে। তাই বিজ্ঞানীদের ধারণা মঙ্গলেও
যদি পানির অস্তিত্ব থাকে - তাহলে প্রাণের অস্তিত্বও থাকতে পারে। বিজ্ঞানীরা
মঙ্গলে পানির অস্তিত্বের ব্যাপারে অনেকটাই নিশ্চিন্ত হয়েছেন। কিন্তু শুধুমাত্র
পানির আভাস থাকলেই যে প্রাণের উদ্ভব ঘটবে এমন কোন নিশ্চয়তা নেই।
মঙ্গল মিশনগুলো মঙ্গল
গ্রহের সবদিক থেকে হাজার হাজার ছবি তুলে পাঠিয়েছে। সাথে পাওয়া গেছে অসংখ্য
তথ্য-উপাত্ত। সেগুলো বিশ্লেষণ করে মঙ্গল গ্রহে পানি থাকার সম্ভাবনা আছে কি না সে
ব্যাপারে আলোকপাত করেছেন বিজ্ঞানীরা।
মঙ্গল গ্রহের বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রা
ও বায়ুচাপ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত ধারণা পেয়েছেন। মঙ্গলের বায়ুচাপ মাত্র ৬.১ মিলিবার। পৃথিবীর গড়
বায়ুচাপ ১০১৩.২৫ মিলিবার। পৃথিবীর গড়
বায়ুচাপকে আমরা হিসেবের সুবিধার্থে ১ atm বা ১ অ্যাটমোস্ফেরিক
প্রেসার একক ধরে থাকি। সে হিসেবে মঙ্গলের গড় বায়ুচাপ হলো পৃথিবীর বায়ুচাপের এক
হাজার ভাগের ছয় ভাগ (6.0 x 10-3) মাত্র। মঙ্গলের গড় তাপমাত্রা -৬৩
ডিগ্রি সেলসিয়াস। শূন্য ডিগ্রি তাপমাত্রায় পানি বরফ হয়ে যায়। সেখানে শূন্য
ডিগ্রিরও ৬৩ ডিগ্রি নিচে কোন তরল পানি থাকতে পারে না। তাপমাত্রা ও বায়ুচাপের
পরিবর্তনের সাথে পানির যে তিন অবস্থা - তরল, কঠিন, বায়বীয় - তার পরিবর্তন ঘটে।
পৃথিবীর এক বায়ুমন্ডলীয় চাপে শূন্য ডিগ্রি থেকে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়
পানি তরল আকারে থাকে, ১০০ ডিগ্রির উপরে গেলে পানি বাষ্পে বা বায়বীয় অবস্থায় চলে
যায়, আর শূন্য ডিগ্রির নিচে গেলে পানি বরফ বা কঠিন অবস্থায় চলে যায়।
বায়ুর চাপ কমতে থাকলে
পানির স্ফুটনাংকও কমতে থাকে। বায়ুর চাপ কমতে কমতে ৬.১ মিলিবার বা 6.0 x 10-3 atm এর কাছাকাছি এলে ০.০১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পানি একই সাথে কঠিন, তরল কিংবা বায়বীয়
অবস্থায় থাকতে পারে। এই অবস্থাকে পানির ট্রিপল পয়েন্ট বলা হয়। মঙ্গল গ্রহের
বায়ুচাপ পানির ট্রিপল পয়েন্টের বায়ুচাপের সমান। কিন্তু তাপমাত্রায় শূন্য ডিগ্রির
অনেক নিচে হওয়াতে মঙ্গলে তরল পানি থাকার সম্ভাবনা প্রায় শূন্য। কিন্তু মঙ্গলের
তাপমাত্রা দিনের বেলায় বিষুবীয় অঞ্চলে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে। তার
মানে সেই অঞ্চলে খুব সামান্য পরিমাণে তরল পানি থাকলেও থাকতে পারে। সেই আশায় মঙ্গলে
পানির সন্ধান করে চলেছে সবগুলো আধুনিক মঙ্গল মিশন।
মঙ্গল গ্রহের ভূমিতে
অসংখ্য নদী নালা হ্রদের চিহ্ন রয়েছে যা কালের আবর্তনে শুকিয়ে গেছে। ভূমির এসব গঠন
তরল পানি-প্রবাহের প্রমাণ বহন করছে। মঙ্গল গ্রহের ভূমির উপরিস্তরে এখন কোন তরল
পানি নেই। প্রমাণ পাওয়া গেছে যে মঙ্গলের ধূলি বা রেগোলিথের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রচুর
বরফ জমে আছে। রেগোলিথের মাঝে মাঝে এই রন্ধ্র বা ছিদ্রগুলো তৈরি হয়েছে জমাট
কার্বন-ডাই-অক্সাইড বা ড্রাই আইস থেকে। শীতকালে ড্রাই আইসের উপর সামান্য ধূলি পড়লে
তা আটকে যায় সেখানে। শীতের শেষে তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে কার্বন ডাই অক্সাইড
বাষ্পীভূত হয়ে যায়। তখন অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত ধূলো বা রেগোলিথের আস্তরণ ভূমিতে রয়ে
যায়। এভাবে বছরের পর বছর ধরে এই প্রক্রিয়া চলতে চলতে এক মিটারেরও বেশি পুরু
রেগোলিথের স্তর জমা হয়েছে ভূমির উপর। এই ছিদ্রগুলোর মধ্যে মঙ্গলের বায়ুমন্ডলের
জলীয়বাষ্প জমে বরফ হয়ে থাকার সম্ভাবনা আছে।
চিত্র:
তাপমাত্রা ও বায়ুচাপের সাথে পানির অবস্থার পরিবর্তন
মার্স ওডিসি মিশনের ছবি ও ডাটা থেকে
প্রমাণ পাওয়া গেছে যে মঙ্গলের ভূমির উপরিস্তরের কাছাকাছি প্রচুর জমাট বরফ আছে।
নাসার মঙ্গল মিশন ওডিসি গামা রে স্পেকট্রোমিটারের সাহায্যে এই পানি শনাক্ত করেছে।
সূর্য ও অন্যান্য নক্ষত্র থেকে শক্তিশালী মহাজাগতিক রশ্মি মঙ্গলের ভূমিতে আসে।
ভূমির রাসায়নিক উপাদানের সাথে মহাজাগতিক রশ্মির বিক্রিয়ায় ভূমি থেকে গামা রশ্মি ও
নিউট্রন কণা নির্গত হয়। কী ধরনের মৌলের সাথে মহাজাগতিক রশ্মির বিক্রিয়া ঘটছে তার
উপর নির্ভর করে নিউট্রন কণাগুলোর নির্গমনের গতি। নিউট্রন কণাগুলো কত বেগে নির্গত
হচ্ছে তা শনাক্ত করা হয় মার্স ওডিসি স্যাটেলাইটের গামা রে স্পেকট্রোমিটারের
সাহায্যে। দেখা গেছে মঙ্গলের ভূমির মাত্র এক মিটার নিচেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
হাইড্রোজেনের উপস্থিতি। এই হাইড্রোজেন প্রচুর পানির উপস্থিতির প্রমাণ। ঠিক কী
পরিমাণ পানি মঙ্গলের ভূমির নিচে আছে তা সঠিকভাবে বলা এখনো সম্ভব হয়নি। তবে
আনুমানিক হিসেবে দেখা গেছে পৃথিবীর মহাসাগরগুলোতে একশ মিটার গভীরতা পর্যন্ত যতটুকু
পানি ধরবে তার চেয়ে কম হবে না মঙ্গলের পানির পরিমাণ।
চিত্র: ২০১৫ সালে নাসা ঘোষণা করেছে যে মঙ্গলে তরল পানির সন্ধান
পাওয়া গেছে। গার্নি ক্রেটারের পাড় থেকে যে সরল রেখাগুলো নিচের দিকে নেমে গেছে
সেগুলোর একেকটার দৈর্ঘ্য প্রায় ১০০ মিটার। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন যে এগুলো সব
মঙ্গলের লবণাক্ত পানির ধারা।
মঙ্গল
গ্রহে প্রাণ থাকার ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা খুব বেশি আশাবাদী হয়ে উঠেছিলেন পৃথিবীতে
পাওয়া মঙ্গলের উল্কাপিন্ড পরীক্ষা করে। ১৯৮৪ সালে অ্যান্টার্কটিকার অ্যালেন হিল্স-এ
পাওয়া যায় উল্কাপিন্ড এ-এল-এইচ-৮৪০০১। আইসোটোপিক ডেটিং পদ্ধতিতে বিজ্ঞানীরা
নিশ্চিত হয়েছেন যে এই উল্কাপিন্ডের বয়স প্রায় ৪০০ কোটি বছর। এই পাথরটি মঙ্গল
গ্রহের অংশ। প্রায় দেড় কোটি বছর আগে এটা মঙ্গল গ্রহ থেকে ছিটকে পড়েছিল। তারপর
মহাকাশে বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে এসে পৌঁছেছে প্রায় ১ কোটি ১০
লক্ষ বছর আগে। ১৯৮৪ সালে এই পাথরটি আবিষ্কৃত হয়। কিন্তু ১৯৯৬ সালে বিজ্ঞানীরা দাবি
করেন যে এই পাথরে মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের প্রমাণ আছে। এই দাবির ভিত্তিতে
প্রথম বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় ১৯৯৬ সালের আগস্ট মাসে। তারপর থেকে
এপর্যন্ত কয়েক শ' গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে শুধুমাত্র এই উল্কাপিন্ডের উপর ভিত্তি
করে মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের সপক্ষে।
এই
পাথরটিতে পাওয়া গেছে সিলিকেট ছাড়াও আরো অনেক ধরনের খনিজ কার্বনেট, যাদের মধ্যে আছে
ক্যালসাইট, ম্যাগনেসাইট, অ্যানকেরাইট, ও সাইডেরাইট। সাইডেরাইটের মধ্যে আছে ম্যাগনেটাইট
ও পাইরোটাইটের কৃস্টাল। দেখা গেছে পাথরের সিলিকেটগুলোর বয়স প্রায় ৪৫০ কোটি বছর।
কিন্তু কার্বনেটগুলোর বয়স ৩৯০ থেকে ৪১০ কোটি বছরের মধ্যে। তার মানে মঙ্গল গ্রহ
তৈরি হবার সময় যে সিলিকেট ছিল তার উপর কার্বনেট এসেছে আরো ৫০ কোটি বছর পর। খনিজ
কার্বনেট তৈরি হয় পানি থেকে। সুতরাং মঙ্গলে কার্বনেট থাকার অর্থ হচ্ছে সেখানে সেই
সময় পানি ছিল। ১ কেজি ৯৩১ গ্রাম ভরের পাথরটির মাত্র ১% অর্থাৎ মাত্র ১৯ গ্রাম হলো
খনিজ কার্বনেট। তা সত্ত্বেও বিজ্ঞানীরা উৎসাহী হয়ে উঠেন মঙ্গলে প্রাণ থাকার
ব্যাপারে।
মঙ্গলে
প্রাণ থাকার ব্যাপারে বড় প্রমাণ হলো এই উল্কাপিন্ডের একটি অংশে অণুজীবের ফসিল
পাওয়া যায়। সূক্ষ্ম নলাকৃতি এসব ফসিল ন্যানো-ব্যাকটেরিয়ার বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যদিও এখনো নিশ্চিন্তভাবে প্রমাণিত হয়নি, কিন্তু বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে মঙ্গল
গ্রহে এধরনের ফসিল আরো পাওয়া যাবে - যা মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্বের পক্ষে সাক্ষ্য
দেবে।
কার্বনেট
মিনারেলের মধ্যে সামান্য পরিমাণে ম্যাগনেটাইট পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা
মঙ্গলের ব্যাকটেরিয়াগুলো এই ম্যাগনেটাইট তৈরি করেছে। পৃথিবীতে এক শ্রেণির
ব্যাকটেরিয়া নিজেদের শরীরে মাইক্রোস্কোপিক ক্রিস্টাল তৈরি করে, পৃথিবীর চুম্বকত্ব
কাজে লাগিয়ে সমুদ্রের গভীরে দিক নির্ণয় করার জন্য। তাই এই ক্রিস্টালগুলোর নাম দেয়া
হয়েছে ম্যাগনেটাইট। মঙ্গলের পাথরে পাওয়া ম্যাগনেটাইট ক্রিস্টালগুলোর গঠনের সাথে
পৃথিবীতে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট ম্যাগনেটাইটের ক্রিস্টালের গঠনের মিল নেই।
বিজ্ঞানীরা প্রমাণ পেয়েছেন যে এই ক্রিস্টালের গঠনের সাথে পৃথিবীর ব্যাকটেরিয়ার
সৃষ্ট ম্যাগনেটাইটের ক্রিস্টালের গঠনের মিল আছে। সেসূত্রে বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন
যে এগুলো মঙ্গলের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা তৈরি হয়েছে। এখান থেকে দুটো সিদ্ধান্তে আসা
যায়। এক - মঙ্গলে অণুজীব ছিল, দুই - মঙ্গলের চুম্বকত্ব ছিল।
চিত্র:
এ-এল-এইচ-৮৪০০১ উল্কাপিন্ডে অণুজীবের ফসিল
মঙ্গলে
এখন কোন চুম্বকত্ব অবশিষ্ট নেই। কোন কোন পাথরে সামান্য চুম্বকত্বের আভাস পাওয়া
গেছে, যেখান থেকে প্রমাণিত হয় যে মঙ্গলে এক সময় চুম্বকত্ব ছিল। কিন্তু ঠিক কখন এবং
কী কারণে মঙ্গলের চুম্বকত্ব নষ্ট হয়ে গেছে সে ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত
হতে পারেননি।
কোন কোন বিজ্ঞানী যুক্তি দিচ্ছেন যে যে
প্রচন্ড সংঘর্ষের ফলে মঙ্গল গ্রহের এই পাথরটি ছিটকে বেরিয়ে গেছে - সেই সংঘর্ষের
ফলে প্রাণের কোন অস্তিত্বের প্রমাণ টিকে থাকার কথা নয়। কিন্তু মহাকাশ হলো প্রচন্ড
ঠান্ডা। এই উল্কাখন্ডগুলো যতদিন মহাকাশে ভ্রমণ করে - একটা বিশাল প্রাকৃতিক
ডিপ-ফ্রিজের মধ্যে থাকে। সুতরাং জীবনের কোন চিহ্ন যদি সেখানে থাকে তা মঙ্গল থেকে
পৃথিবীতে আসার ফলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে না। মঙ্গলের পাথরে কার্বনেটের চিহ্ন -
মঙ্গলে জীবনের চিহ্নই নির্দেশ করে।
মঙ্গল গ্রহের যে পরিবেশ তাতে কোন জীব বা
অণুজীব বেঁচে থাকতে পারে কি না - সে প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। পৃথিবীতে
কিছু অণুজীব আছে যারা অত্যন্ত প্রতিকুল পরিবেশেও বেঁচে থাকতে পারে। কিছু
ব্যাকটেরিয়া - যাদের নাম দেয়া হয়েছে কেমোলিথোওঅটোট্রোফস - নিজের শরীর থেকে শক্তি
নিয়েই পাথরের মধ্যে বেঁচে থাকতে পারে। এরা কোন ধরনের সূর্যালোক ছাড়া শুধুমাত্র ১%
অক্সিজেন লেভেলেও বেঁচে থাকতে পারে। এরা মিথেন, ম্যাঙ্গানিজ, লোহা কিংবা আর্সেনিক
থেকেও তাদের দরকারি শক্তি সংগ্রহ করতে পারে। এদের অনেকে খনিজ সালফার খেয়ে সালফিউরিক
এসিড তৈরি করে নিজের শরীরে। সাগরের কয়েক কিলোমিটার নিচে পাথরের খাঁজে খাঁজে বাস
করছে এসব ব্যাকটেরিয়া। তীব্র এসিডিক পানিতেও বেঁচে থাকতে পারে অনেক ব্যাকটেরিয়া।
একধরনের অণুজীব - ফেরোপ্লাজমা - তীব্র এসিডের
(pH = 0) মধ্যেও বেঁচে থাকতে পারে। পৃথিবীতে আরো
অণুজীব আছে, যেমন এক্সট্রিমোফিলস, - যারা প্রচন্ড ঠান্ডা কিংবা প্রচন্ড গরমেও
বেঁচে থাকে। বিজ্ঞানীরা যুক্তি দিচ্ছেন পৃথিবীতেই যদি এরকম অণুজীব থাকতে পারে -
তাহলে মঙ্গলের অণুজীবরাও পারবে। মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কি না সে প্রশ্নের
নিশ্চিত উত্তর দেয়ার জন্য মঙ্গলে আরো অনেক অভিযান চালানো দরকার। বিশেষ করে
নভোচারীরা যদি মঙ্গলে সশরীরে গিয়ে পরীক্ষা চালাতে পারেন, তাহলে মঙ্গলে জীবনের
জীবাশ্ম পাওয়া যেতেও পারে।
No comments:
Post a Comment