ভরতনাট্যম বলে
ভুল করেছিলাম, আসলে বইয়ের নাম হলো ভারত নাট্যম। মাসুদ রানা সিরিজের এই দ্বিতীয় বইটিও
কাজী আনোয়ার হোসেন প্রকাশ করেছিলেন বিদ্যুৎ মিত্র ছদ্মনামে ১৯৬৬ সালের নভেম্বরে।
সেই সময় পাকিস্তানী
হিসেবে ভারতবিদ্বেষ সম্ভবত খুব কাজ করছিল। প্রথম বইতে ভারতীয়দের সাহায্যে কাপ্তাই বাঁধ
ভেঙে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিলো পাকিস্তানী এক নৃশংস পাগল বিজ্ঞানী। সিরিজের দ্বিতীয়
বইতেও দেখা যায় – পাকিস্তানকে ধ্বংস করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে ভারতীয়রা। শান্তি মিশনের
নামে সাংস্কৃতিক দলের ছদ্মবেশে পূর্ব পাকিস্তানে ঢুকে পড়ে ভারতীয় গুপ্তচররা। পশ্চিমবঙ্গের
সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে। নৃত্যশিল্পী মিত্রা সেন – সুন্দরী। ভারতীয় গুপ্তচর। অথবা
টোপ। তাকে ব্যবহার করা হচ্ছে ষড়যন্ত্রের কাজে। জানা যায় – মিত্রা সেনের মামা আবার ভারতীয়
মন্ত্রী।
পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান রাহাত খান মাসুদ রানাকে দায়িত্ব দেন এই মিশনের কাজে নজর রাখতে। রানা সাংবাদিকের ছদ্মবেশে তার কাজ করে। যথারীতি – মিত্রা সেনের কাছে চলে আসে রানা। মিত্রা রানার প্রেমে পড়ে।
ঘটনাক্রমে পাকিস্তানের
নব্য ধনীদের বখাটে ছেলেদের কথা আসে – যারা ইয়ং টাইগার্স ক্লাব গড়ে তোলে – মদ ড্রাগ
আর নারীচর্চা করে। যা অনেকটা এখনকার সময়েরও প্রতিনিধিত্ব করে।
রানা পূর্ব-পাকিস্তানের
কাজ কিছুটা গুছিয়ে চলে যায় ব্যাংকক। সেখানে পরিচয় হয় ক্যাথি ডেভনের সাথে। ক্যাথিকে
সাহায্য করার জন্য জুয়া খেলায় কয়েক মিনিটের মধ্যেই তুলে দেয় ১২ হাজার ডলার। কিন্তু
ক্যাথি তা জানতো না। টাকার জন্য সে বিশ্বাসঘাতকতা করে রানার পরিচয় জানিয়ে দেয়। রানা
ইন্ডীয়াতে এসে ধরা পড়ে। সেখানে তাকে সাহায্য করে ক্যাথির বোন।
ইন্ডিয়ানরা
পূর্ব-পাকিস্তানে লক্ষ লক্ষ পতঙ্গ পাঠিয়ে সব খাদ্যশস্য ধ্বংস করে দেয়ার পরিকল্পনা করে।
রানা অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তা বাঞ্চাল করে দেয়।
মাসুদ রানার
সংলাপে মাঝে মাঝেই নারীর প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য উঠে আসে। এগুলি সম্ভবত সেই সময় খুব
স্বাভাবিক ছিল – যেমন ক্যাথি গাড়ি চালানোর সময় রানা মন্তব্য করে – বেশিরভাগ মেয়ে ড্রাইভার
একদিকে সিগনাল দিয়ে অন্যদিকে টার্ন নেয়। অর্থাৎ মেয়েরা খারাপ ড্রাইভার!!
No comments:
Post a Comment