মাসুদ রানা
সিরিজের ৩য় বই স্বর্ণমৃগ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল
১৯৬৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। এই বইটাও প্রথমে প্রকাশিত হয়েছিল বিদ্যুৎ মিত্র ছদ্মনামে।
স্বর্ণ চোরাচালানীর
মূল হোতাকে ধরার জন্য দায়িত্ব দিয়ে মাসুদ রানাকে পাঠানো হয় করাচিতে। সেখানে গিয়ে যে
হোটেলে ওঠে – সেখানেই পরিচয় হয় জিনাত সুলতানার সাথে। যথারীতি সুন্দরী এবং কিছুটা ডিস্টার্বড
জিনাতের সাথে নানা ঘটনার মাধ্যমে ঘনিষ্ঠতা হয়। জিনাতের বাবা খান মোহাম্মদ জান একটা
উপদলের সর্দার হিসেবে অনেক ক্ষমতার অধিকারী। জিনাতকে মানসিক সমস্যা থেকে প্রেম-ভালোবাসার
ওষুধে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে আসার বিনিময়ে রানাকে সাহায্য করতে রাজি হন জিনাতের
বাবা। তবে খুব বেশি কিছু তিনি করতে পারেননি।
মূল ভিলেন ওয়ালী
আহমেদের অনেক ক্ষমতা। তার পোষা শক্তিশালী মানুষ গুঙ্গা’র সাথে অনেক মারপিট করতে হয়
রানাকে। শেষ পর্যন্ত রানা ধরে ফেলে ওয়ালী আহমেদের নেটওয়ার্ক। একোয়ারিয়ামের মাধ্যমে
সোনা চালান হয়। শত্রুকে শেষ করার জন্য ওয়ালী পিরানহা মাছ চাষ করেছিল। শেষ পর্যন্ত অনেক
মারপিট শেষে পিরানহা মাছের কবলেই পড়তে হয় ওয়ালী আহমেদকে। রানাকে সাহায্য করেছে ওয়ালীর
এক সময়ের কর্মচারী অনীতা গিলবার্ট। থ্রিলারের নিয়ম অনুযায়ী অনীতাও অনেক সুন্দরী।
সেই সময় সোনার দাম ছিল প্রতি ভরি ১৩০ টাকা।
থ্রিলার হিসেবে
মাসুদ রানা পড়ার সময় প্রায়ই মনে হয় জেমস বন্ডের কোন সিনেমা দেখছি। হবেই তো। কারণ এই
থ্রিলার জেমস বন্ডের ছায়া অনুসারে লেখা।
No comments:
Post a Comment