বুদ্ধদেব বসুর
ভ্রমণকাহিনি ‘আমি চঞ্চল হে’র রচনাকাল ১৯৩৫-৩৬। তার মানে আজ থেকে ৮৫ বছর আগে। পড়ে মনে
হলো – জীবন পাল্টেছে, কিন্তু জীবনবোধ খুব একটা পাল্টায়নি এই এত বছরেও।
ভ্রমণকাহিনি
বলতে আমরা যেসব বইয়ের সাথে পরিচিত, কিংবা আমরা যেভাবে কী কী ভ্রমণ করলাম, কী কী খেলাম,
কী কী মজা হলো এসব আত্মপ্রচার করি – এ বইটা সেরকম নয়। এটাতে ভ্রমণ সামান্যই, দর্শন
– সেটা দেখা কিংবা ফিলোসফি – দুই অর্থেই হতে পারে – যথেষ্ট পরিমাণে আছে।
বুদ্ধদেব বসু
গদ্যের রাজা, কবিতার মহারাজ। তার লেখা সুখপাঠ্য তো হবেই, এতে আশ্চর্যের কিছু নেই। কিন্তু
আশ্চর্য লাগলো তার অনুভূতির সূক্ষ্মতায়।
সারাবইতে ভ্রমণের
কথায় ‘আমরা’ এসেছে অনেকবার, কিন্তু এই আমরা কারা – তার পরিচয় একবারও আসেনি।
বইয়ের শুরুতে
কালের বর্ণনা। শরৎকাল – পুজোর ছুটি। কলকাতার মানুষ। তারপর পাতার পর পাতা তাঁর লেখার
কাহিনি। অনেকবার বলেছেন “আমাকে লিখতে হয়”।
কাজের কাজে
আনন্দ থাকে না – যদি কাজটা বাধ্য হয়ে করতে হয়, পেটের দায়ে করতে হয়। জীবনে বৈচিত্র্য
না থাকলে আমরা হাঁপিয়ে উঠি। কিন্তু লেখক বলছেন, বৈচিত্র্যের অভাব আমাদের মনে – অভাব
আমাদের মনের বৈচিত্র্য সৃষ্টি করবার ক্ষমতায়।“
ব্রিটিশ লেখক
চেস্টারটনের কথা লিখেছেন – যিনি লন্ডন থেকে বের হবার সময় সহযাত্রীর প্রশ্নের উত্তরে
বলেছিলেন – “আমি লন্ডনে যাচ্ছি – প্যারিস, ভিয়েনা, বার্লিন, রোম হয়ে।“ আমাদের ভ্রমণ
তো আসলেই এক ধরনের পরিভ্রমণ।
ভ্রমণ শেষে
ঘরে ফিরে ঘরকেই আমরা আবার নতুন করে পাই। লেখকের এই কথার সাথে আমার মিলে যায়। তিনি কিছু
মারাত্মক সত্য কথা বলেছেন, - “যেমন বই পড়লেই শিক্ষা হয় না, তেমনি জলে স্থলে আকাশে বিভিন্ন
যানে ঘোরাঘুরি করলেই ভ্রমণজনিত নানা মহৎগুণ অন্তরে বর্তায় না।“ তাই আমরা অনেক সময়েই
অনেক দূরে গিয়েও নিজের দৃষ্টির বাইরের কিছু দেখতে পাই না।
“নিজেদের ভিতরে
যা নেই, বাইরে আমরা তা কখনোই দেখতে পাবো না।“
“ভ্রমণের প্রতি
যে মহৎগুণই সাধারণত আরোপিত হোক না, সকলের জন্য সেটা নয়।“
“কোন জিনিসই
নিরপেক্ষ শুভ নয়, সমস্ত সত্যই ব্যক্তিগত।“ – সেজন্যই আমাদের এক যাত্রায় পৃথক ফল খুবই
স্বাভাবিক।
“কেউ বাড়ি থেকে
বাস্ এর রাস্তা পর্যন্ত হেঁটে এসে যা সংগ্রহ করতে পারবে, অন্য কেউ আফগানিস্তানের সীমান্ত
পর্যন্ত ঘুরে এসেও তা পারবে না।“
বাইরের ঘটনা
থেকে কে কতটুকু নিতে পারবে সেটা নির্ভর করবে তার নিজস্ব ক্ষমতার উপর। মানুষকে যুক্তি
দেয়া যায়, বুদ্ধি নয়। ভ্রমণের বই আর টিকেট দেয়া যায়, অভিজ্ঞতা অর্জন করার ক্ষমতা নয়।
“বই থেকে চরম
রস নিষ্কাষণ করতে পারে যে মানুষ, যে পারে সুখি হতে নিজের মনে চুপচাপ একা বসে, ঠিক সে-ই
পারে ভ্রমণ থেকে পূর্ণতম লাভ নিঙড়ে নিতে।“
“অধিকাংশ –
এবং অতিশয় অধিকাংশই মূঢ়ের মত পড়ে, অন্ধের মত বেড়ায়, জীবনের নানা অনিবার্য ঘটনা থেকে
মূল্যবান কিছুই সঞ্চয় করতে পারে না। ঘটনার নামই অভিজ্ঞতা নয়, ঘটনা হচ্ছে কাঁচামাল যা
থেকে অভিজ্ঞতার সৃষ্টি।“
লেখক এখানে
অনেক ভ্রমণকাহিনি-লেখকের সমালোচনা করেছেন – যাদের ভ্রমণকাহিনি পড়ে মননশক্তির পরিচয়
তিনি পাননি। হতেই পারে এরকম। সবার তো সবার প্রকাশভঙ্গি ভালো লাগবে না। কিন্তু নিজের
লেখায় অন্য লেখা ভালো না লাগার কথা আনার দরকার কী।
লেখক কলকাতাকে
কেন ভালোবাসেন তা লিখলেন। এটা ভালোবাসার জাদু। এতে কোন যুক্তি কাজ করে না। সমস্ত রকমের
পার্থিব সমস্যা থাকার পরেও আমরা কোন কোন জায়গার প্রেমে পড়ে যাই – প্রায়ই দেখা যায় সেটা
আমাদেরই কোন আবাসস্থল।
নিজের কথা লিখেছেন
– চার্লি চ্যাপলিন ছাড়া আর কারো সিনেমা দেখতে
তাঁর ভালো লাগে না। থিয়েটার দেখাও ছেড়ে দিয়েছেন শিশির ভাদুড়ীর শেষের দিকের কিছু নাটক
ভালো লাগেনি বলে। খেলা তিনি দেখেন না। অবশ্য এটাও বলেছেন, “আমার এই ক্রীড়া-বৈরাগ্য
আসলে বৈরাগ্য নয়, অক্ষমের হতাশা।“ খেলাকে তাঁর যুদ্ধ যুদ্ধ বলে মনে হয়, যেখানে প্রাণ
হয়তো যায় না, কিন্তু অন্যভাবে খুনোখুনি হয়।
কলকাতার আড্ডার
কারণেই কি তাঁর ভালো লাগে? তিনি জানাচ্ছেন কলকাতার খুব বেশি মানুষের সাথে তাঁর ব্যক্তিগত
সম্পর্ক নেই। “ব্যক্তিগত সম্পর্ক সবসময় স্থাপিত হয় না – সব ব্যক্তিগত সম্পর্কে সুখও
হয় না।“
চিন্তার বিনিময়
করার জন্য সবাইকে এক জায়গায় থাকতে হয় না। সেই ৮৫ বছর আগে যা চিঠিতে চলতো – এখন তো ডিজিটাল
যুগ। তিনি এমন মানুষের সাথে সাহচর্য করেন যাঁরা তাঁর নিজের চেয়ে মস্ত বড় নন। “মস্ত
বড়”দের সম্পর্কে খুবই খাঁটি অপ্রিয় কথা বলেছেন তিনি, “সেরকম কোন লোকের সংসর্গে এলে
কেবল কথা শুনেই যেতে হয়, এবং কেবল শোনাকে আলাপ বলে না। তাছাড়া, সেকথা যতই বুদ্ধিদীপ্ত,
যতই গভীর চিন্তাপ্রসূত, যতই সূক্ষ্ম-সরস হোক, খানিক পরে ক্লান্ত লাগতে আরম্ভ করেই।“
মানব-মানবী
যখন পরস্পরকে ভালোবাসে, তার কি কোন নির্দিষ্ট কারণ থাকে? ভালো অর্থে যেটা থাকে সেটা
মোহ। “জীবনকে লালন করবার যত কৌশল আছে প্রকৃতির, তার মধ্যে মোহই শ্রেষ্ঠ।“
লেখক রেলগাড়িতে
চড়ে পুরী গিয়েছেন। ভুবনেশ্বর। ভ্রমণের ক্লান্তি গন্তব্যকে মহিমান্বিত করে। “কষ্ট করে
যেখানে পৌঁছাতে হয়, সেটাই তীর্থ।“
৮৫ বছর আগে
কোথাও যেতে যে পরিমাণ কষ্ট হতো – এখন তো কোন কষ্টই হয় না। তবে কি এখনকার ভ্রমণ মহিমা
হারিয়েছে? হয়তো বা।
আমাদের এখনকার
ব্যস্ততার দিনে – একেবারে পূর্ণবেকারেরও কেমন যেন অবসর নেই। যারা সারাজীবন কাজ করার
পর অবসরে গেছেন – তাঁরাও ছুটছেন অন্য কোন কাজে, কিংবা অবসরকালীন প্রাপ্ত টাকায় আরো
কীভাবে টাকা কামানো যায়, পূর্বক্ষমতা কাজে লাগিয়ে আরো কীভাবে ক্ষমতার মালিক হওয়া যায়
– তার খোঁজে। অথচ প্রকৃত অবসর হলো যখন পৌঁছবার তাড়া নেই, লক্ষ্যটা হয়ে উঠলো উপলক্ষ্য,
পথ চলাটাই হলো গন্তব্যের চেয়ে প্রধান।
“What is
life if full of care, we have no time to stand and stare?”
রাতের ট্রেনে
পুরী যাওয়ার পথের কী সুন্দর অন্ধকারের বর্ণনা – “আলোজ্বালা জানলাগুলো নিয়ে লম্বা রেলগাড়িটা
ছবির মতো দাঁড়িয়ে। শুধু দূরে শোনা যাচ্ছে এঞ্জিনের অসহিষ্ণু নিঃশ্বাস।“
সেই ৮৫ বছর
আগে পুরী ছিল নির্জন। ধরমশালায় থাকতো মানুষ। পান্থনিবাসগুলি সব ছিল মাড়োয়ারিদের দান।
ধর্মবিশ্বাস আর চুরি সম্পর্কে কী দুর্দান্ত মারাত্মক সত্য কথা বলেছেন লেখক এখানে। “সমস্ত
দেশের খাদ্যে ভেজাল মিশিয়ে জেনেশুনে যে পাপ এরা করেন, তারই ক্ষতিপূরণ হয় ধর্মশালা নির্মাণে,
মন্দিরে-মন্দিরে মহার্ঘ উপঢৌকনে। অন্ধবিশ্বাসের মস্ত একটা সুবিধা এই যে বিবেক অতি সহজেই
পরিষ্কার রাখা যায়। এরা বিনা দ্বিধাতেই বিশ্বাস করেন যে প্রেম ও যুদ্ধের মত বাণিজ্যেও
কিছু অন্যায় নয়, কেননা মুনফার একটা অংশ তো দেয়া হয় দেবতাকেই।“
লেখক ভুবনেশ্বরের
মন্দির দেখেন, প্রকৃতি দেখেন, মন্দিরের স্থাপত্য দেখেন, এর পেছনের দর্শন দেখেন। মানুষ
মন্দির বানানোর সময়, উপাসনালয় বানানোর সময় যে উৎসাহ নিয়ে কাজ করে – সিনেমাহল বানানোর
সময় সেই উৎসাহ নিয়ে করে না – এটা লেখকের কথা। “ভালোবাসার কাজে শরীর আর মনের বিকাশ,
নিছক রোজগারের কাজে বিনাশ।“ – মানলাম। তব এয়াধুনিক স্থাপত্য যারা বানাচ্ছে তাতে ভালোবাসা
নেই বা থাকে না – এ ব্যাপারে লেখক কীভাবে নিশ্চিত হলেন?
এখানে লেখকের
নিজের লেখার প্রসঙ্গ আসে। একটা লেখা লিখতে যে পরিশ্রম হয় – সেই পরিশ্রম কোন টাকা আনবে
না জানার পরেও লেখকের ক্লান্তি আসে না। এর কারণ ভালোবাসার তৃপ্তি। একজন লেখকের প্রধান
ভালোবাসা তার লেখা। এই ভালোবাসা কীভাবে জন্মে?
পুরীর সমুদ্রের
ধারে হোটেলের ঘরে আছেন তাঁরা। ছাদ তাঁদের দখলে। সমুদ্র দেখা যায় সেখান থেকে। সহকারী
গোবিন্দ আর জং বাহাদুর সমুদ্র স্নান ও অন্যান্য কাজের গাইড। তাদের পিঠে চড়ে লেখক এবং
পরিবার (‘আমরা’ – কে কে উল্লেখ নেই) সমুদ্রস্নান করেছেন। মানুষের পিঠে চড়ে সমুদ্রস্নান!!
ভ্রমণের ছবি
তোলার ব্যাপারে লেখক অনেকটাই কট্টরবিরোধী। সেই সময় অবশ্য ছবি তোলা এত সহজ ছিল না। লেখক
ছবি তোলাকে এবং সেই ছবি কাউকে দেখানোকে নিছক লোকদেখানো মনে করেন। “ক্যামেরার ছবি তো
মরা; আসল ছবি থাকে মনে।“ এখনকার যুগে হলে কী বলতেন জানি না। তবে স্মৃতি ধরে রাখার যান্ত্রিক
ব্যবস্থাকে যদি অস্বীকার করতে হয় – তাহলে তো স্মৃতিচারণকেও, বইলেখাকেও অস্বীকার করতে
হয়।
পুরীর সমুদ্রতীর
৮৫ বছর আগে অনেকটাই নির্জন ছিল। তখন লেখক কল্পনা করেছিলেন যদি এই সমুদ্রতীর মানুষে
কিলবিল করে, সবাই যদি একসঙ্গে বীচে শুয়ে সময় কাটাতে আরম্ভ করে, তখন হোটেলের দরজা বন্ধ
করে শুয়ে থাকাটাই হয়ে উঠবে সবচেয়ে রোমাঞ্চকর। এখন তো সেরকম হয়ে গেছে।
লেখক অন্ধকার
ভালোবাসেন। যখন অন্ধকার দেখতে চান কলকাতায় তা পারেন না। “অন্ধকারের শরীরকে খোঁচা খোঁচা
আলো ফুটো করে দেবেই।“
পুরী থেকে চিল্কায়
গিয়ে সেই আকাঙ্খিত অন্ধকারকে আবিষ্কার করেন তিনি - “সে অন্ধকার অতি উজ্জ্বল আলোর মতোই
মনকে প্রচন্ড ধাক্কা দেয়।“
উড়িষ্যা পার
হয়ে মান্দ্রাজের ছোট্ট একটা স্টেশন রম্ভাতে নামতে হয়। কাছেই চমৎকার নির্জন ঘরে থাকার
ব্যবস্থা। এই চিল্কা নিয়েই বুদ্ধদেব বসুর বিখ্যাত কবিতা – চিল্কার সকাল। কবিতাটি এই
বইতেও আছে। এখানেই হয়তো প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। ডাকবাংলোর ব্যাপারে লিখেছেন, “নির্জনতা
ও গোপনতাই এদের প্রধান আকর্ষণ। অন্য মানুষের সান্নিধ্যে সমস্ত সুরটাই কেটে যায়।“
উড়িষ্যায় “অতি
সহজেই নবাবের মতো থাকা যায়।“ প্রতিটি ডাকবাংলোতে একাধিক ভৃত্য – আদেশ পালনে প্রস্তুত
নামমাত্র বখশিসের বিনিময়ে। বোঝাই যাচ্ছে এই রাজ্যটি ৮৫ বছর আগেও যেমন গরীব ছিল – এখনো
রয়ে গেছে।
আমাদের বিস্মিত
হবার ক্ষমতা আমরা যতই বড় হই – ততই হারিয়ে ফেলি। এই বড় হওয়া বয়সের ক্ষেত্রে তো বটেই
– শিক্ষা, বিত্ত কিংবা ক্ষমতার ক্ষেত্রেও। অবাক হওয়াটাকে আমাদের অহং এর কারণে আমরা
অনেক সময় প্রকাশ করতে চাই না।
চিল্কার “কী
ভালো আমার লাগলো আজ
এই সকালবেলায়
কেমন করে বলি।“
চিল্কা থেকে
আবার পুরীতে।
রাজনীতিতে আগ্রহ
নেই লেখকের। রাজনীতিকে তিনি প্রতিভাহীন মানুষের কাজ বলে মনে করেন। যেসময় এই কথাগুলি
তিনি লিখেছেন সেসময় ভারতে স্বাধীনতা আসেনি। স্বাধীনতার আন্দোলন চলছে। তাহলে তাঁর এরকম
মতের কারণ কী?
লেখক কোনারকে
গিয়েছেন গরুর গাড়িতে। ষোল ঘন্টা গরুর গাড়িতে চড়ে। কোনারকের সৌন্দর্য দেখতে দেখতেও সচেতনতা
বিলুপ্ত হয় না বলে আক্ষেপ প্রকাশ পায়।
বাড়ির বাইরে
গেলে সেই সময় মানুষ চিঠি লিখতো। যেন সবাইকে জানানো – দেখ আমি কোথায় এসেছি। এখনো চলছে
এসব – এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনবরত ছবি পোস্ট করা হচ্ছে। আগে পোস্ট করা হতো চিঠি।
মৌলিক পরিবর্তন খুব বেশি হয়েছে কি?
এই বইটিকে ঠিক
ভ্রমণকাহিনি আমি বলবো না। এখানে গল্প অল্পই আছে। আমি যদি এই গল্পটা বলতে চাইতাম – বিশ
পঁচিশ পৃষ্ঠার বেশি হতো না। কিন্তু লেখক কী অবলীলায় ১০৮ পৃষ্ঠা লিখে ফেলেন।
তাঁর ভাষা আর
যেকোনো বিষয় প্রকাশের ক্ষমতা অসাধারণ। কিন্তু যে ব্যাপারটা আমার ভালো লাগেনি তা হলো
নিজের লেখায় অন্যরা যে ভালো লেখেন না তার বিচার। কোন বিশেষ বইয়ের সমালোচনায় তা লেখা
চলে। কিন্তু কারো নাম না নিয়ে ঢালাওভাবে বলাটা ভালো লাগেনি। যারা ভালো লেখেন তাঁদের
কাছে এই ব্যাপারটা আমি আশা করি না।
শেষ কথা তবে এই "বাইরের ভ্রমণের চেয়ে আসলে অন্তরের ভ্রমণের দরকার বেশি "।আমার তাই মনে হলো!
ReplyDeleteআমিও তাই মনে করি।
Delete