#স্বপ্নলোকের_চাবি_৬৫
রবিঠাকুর কত সহজেই বলে দিয়েছেন - “সহজ হবি, সহজ হবি, ওরে
মন, সহজ হবি –“, কিন্তু সহজ হওয়া কি এতই সহজ? গত কয়েকদিন ধরে কী যে যাচ্ছে মনের ওপর-
তাতে মনকে যতই বলি “ওরে মন, সহজ হবি” – মন তো সহজে মেনে নিচ্ছে না। গীতবিতানের পাতা
উল্টে রবিঠাকুরের সহজ হবার মন্ত্র যতই পড়ি – সহজ হওয়া তো দূরের কথা, পুরো ব্যাপারটাই
কেমন যেন জটিল হয়ে হচ্ছে। কী করবো বুঝতে পারছি না। “মন রে আজ কহ যে, ভালো মন্দ যাহাই
আসুক, সত্যরে লও সহজে।“ – বুঝলাম। কিন্তু সত্যরে যে সহজে মেনে নেবো, সেই সহজ সত্যটা
কী? আমি সেকেন্ড হয়েছি এটাকে সত্য জেনে আমি তো সহজে মেনেই নিয়েছিলাম। কিন্তু প্রামাণিকস্যার
যখন বললেন আমাকে সেকেন্ড করা হয়েছে তখন সহজ সত্য আর সহজ থাকলো না। বাধ্য হয়ে মেনে নেয়ার
মধ্যে এক ধরনের অপমানবোধ থাকে। সেটাই যন্ত্রণা দিচ্ছে।
আগস্টের মাঝামাঝি প্র্যাকটিক্যাল গ্রুপের রেজাল্ট দিয়েছে।
কেউ ফার্স্ট ক্লাস পায়নি প্র্যাকটিক্যাল গ্রুপে। প্রদীপ নাথ সেকেন্ড ক্লাস থার্ড হয়েছে।
তার কয়েক দিনের মধ্যেই সে কেডিএস গার্মেন্টস-এ কোয়ালিটি ইন্সপেক্টর হিসেবে যোগ দিয়েছে।
আমার রেজাল্ট বের হবার আগেই তার দুটো চাকরির অভিজ্ঞতা হয়ে যাচ্ছে। আমরা সেটা চৌধুরিহাটের
চায়ের দোকানে বসে চা-মিষ্টিযোগে উদ্যাপন করেছি।
এরপর আমাদের রেজাল্ট যেকোনোদিন হতে পারে শুনতে শুনতে দু’সপ্তাহ
কেটে গেলো। সেপ্টেম্বরের দুই তারিখ বিকেলে আমাদের রেজাল্ট দিয়েছে। ক্যাম্পাস থেকে সেই
খবর নিয়ে এখলাস এলো আমার রুমে। আমি সেকেন্ড হয়েছি সেই কারণে তার ভীষণ মন খারাপ। কিন্তু
এরকম কিছুর জন্য আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম। সুতরাং সহজ সত্যকে সহজে মেনে নিতে
খুব একটা সমস্যা হলো না। হারুন ফার্স্ট হয়েছে। আনন্দ, মইনুল, দিলীপ, আর প্রেমাঙ্করও
ফার্স্ট ক্লাস পেয়েছে। যীশু, রিনা আর অঞ্জনের জন্য মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। তারা তিনজনই
ফার্স্ট ক্লাস ডিজার্ভ করে। সেই যে সিঁড়ি দিয়ে উঠার সময় যীশু সোবহানস্যারকে পাশ কাটিয়ে
আগে উঠে গিয়েছিল – সেটারই কি খেসারত দিতে হলো তাকে?
পরদিন ডিপার্টমেন্টে গেলাম। চেয়ারম্যানের অফিসের সামনেই করিডোরে
দেখা হয়ে গেলো এস-কে-সাহাস্যারের সাথে। তিনি বললেন, “এরকম তো হবার কথা ছিল না। মনে
হচ্ছে কিছু একটা গন্ডগোল হয়েছে।“ এসময় চেয়ারম্যান সোবহানস্যার বেরিয়ে এলেন তাঁর অফিস
থেকে। একগাল হেসে বললেন, “তোমাদের তো রেজাল্ট দিয়েছে গতকাল। আমি খুব খুশি হয়েছি তোমার
রেজাল্টে। এসো ভেতরে এসো, কথা বলি।“
চেয়ারম্যানের অফিসে ঢুকতে কী এক অজানা কারণে গা ছমছম করে।
গত সাত বছরে এই অফিসে একবারও ঢুকিনি। আজ প্রথম ঢুকলাম। অফিসে এখন কেউ নেই। সোবহানস্যার
অফিসে ঢুকে তাঁর চেয়ারে না বসে কার্পেটের উপর দাঁড়িয়ে খুব উৎফুল্লভাবে বললেন, “তুমি
অনার্সে ফার্স্ট হয়েছিলে, এবার সেকেন্ড হয়েছো। হারুন অনার্সে সেকেন্ড হয়েছিল, এবার
ফার্স্ট হয়েছে। এটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তোমাদের দু’জনের পয়েন্ট সমান। তোমাকে দরখাস্ত
করতে বলেছিলাম, করেছিলে তো?”
“জ্বি স্যার।“
“গুড। এবার মার্কশিট নিয়ে রেজিস্ট্রারের অফিসে গিয়ে জমা দিয়ে
বলো তোমার দরখাস্তের ফাইলে রেখে দিতে। বাকিটা আমি দেখবো।“
অলৌকিকতায় আমার বিশ্বাস না থাকা সত্ত্বেও সোবহানস্যারকে হাসিখুশি
দেবদূতের মতো মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে তিনি আমার স্বপ্নপূরণের দেবদূত হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন
আমার চোখের সামনে। আমি ভুলে গেলাম যে যীশুর সেকেন্ড ক্লাস পাওয়ার পেছনে তাঁর হাত আছে।
ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিত্তিতেই একজন মানুষ আরেকজন মানুষের ভালো-মন্দ বিচার করে। আমিও
তাই করলাম। সোবহানস্যার আমাকে ডিপার্টমেন্টে নেবেন এরকম আভাস দিতেই আমি তাঁকে একেবারে
দেবতার আসনে বসিয়ে ফেললাম।
এক সপ্তাহ পরে মার্কশিট হাতে পেলাম। তত্ত্বীয় পরীক্ষায় আমি
যতটা আশা করেছিলাম তার চেয়ে অনেক ভালো করেছি। অনার্সে পেয়েছিলাম ৬৫% নম্বর, এখানে পেয়েছি
৭১%। কিন্তু থিসিস আর ভাইভাতে যতটা আশা করেছিলাম তার চেয়ে অনেক কম নম্বর পেয়েছি। হারুন
যখন আমার মার্কশিট দেখতে চাইলো, আমিও তারটা দেখতে চাইলাম। তত্ত্বীয় পরীক্ষায় সে আমার
চেয়ে ১৫ নম্বর কম পেয়েছে। কিন্তু থিসিসে আমার চেয়ে ১৮ নম্বর বেশি পেয়েছে। ভাইভাতেও
তিন নম্বর বেশি পেয়েছে। এরকম হতেই পারে। দু’জন সম্পূর্ণ দুই বিষয়ে থিসিস করেছি – তাই
এরকম হতেই পারে। তত্ত্বীয় পরীক্ষায় যেমন একই পরীক্ষক এক বিষয়ের সব খাতা দেখেন, সেরকম
সবগুলি থিসিস যদি একই পরীক্ষক দেখতেন, তাহলেই নম্বরবন্টনে ন্যায্যতা থাকতো। এখন মেনে
নেয়া ছাড়া উপায় নেই। তাছাড়া সোবহানস্যার তো বলেছেন, হারুন আর আমার সমান পয়েন্ট। ডিপার্টমেন্টে
তো দু’জনেরই জায়গা হবে।
খুশিমনে প্রামাণিকস্যারের সাথে দেখা করতে গেলাম। রেজাল্ট
বের হবার পরদিন যখন এসেছিলাম তখন তিনি ছিলেন না। এবার তাঁকে তাঁর অফিসেই পেয়ে গেলাম।
তাঁকে বললাম সোবহানস্যার কী বলেছেন।
“তুমি কি বিশ্বাস করছো নাকি ওসব?”
“জ্বি স্যার, করছি।“
“কবে যে ম্যাচিওরিটি আসবে তোমার! ঐ সিলেকশান কমিটির মিটিং
হবার কথা ছিল আট-নয় মাস আগে। এতদিন ধরে আটকে রেখেছে বিশেষ উদ্দেশ্যে – সেটা তোমাকে
নেয়ার জন্য নয়। তোমাকে দরখাস্ত করতে বলেছেন যাতে পরে কেউ বলতে না পারে – অন্য কাউকে
না জানিয়ে চুপিচুপি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শুধু শুধু অলীক স্বপ্ন দেখবে না। এরা কোন হিন্দুকে
এখানে নিয়োগ দেবে না। তোমাকেও নয়, অঞ্জনকেও নয়। অঞ্জন এমফিল করেছে, তারপরও নয়।“
অঞ্জনদা মানে অঞ্জন কুমার চৌধুরি অনার্স মাস্টার্সে দুর্দান্ত
রেজাল্ট করার পর জামাল নজরুল ইসলামস্যারের তত্ত্বাবধানে এমফিল করেছেন। তারপরেও তাঁর
জায়গা হচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমার স্বপ্নের বেলুন চুপসে যেতে শুরু করেছে। তবুও পুরোপুরি
মুক্ত হতে পারছি না স্বপ্নজাল থেকে। বললাম,
“কিন্তু সোবহানস্যার তো বলেছেন হারুন আর আমি দু’জনেরই সমান পয়েন্ট।“
“তুমি একটা বোকা। তোমাকে যে সেকেন্ড করা হয়েছে সেটা বুঝতে
পারছো না? থিওরিতে এত নম্বরের ডিফারেন্স তোমাদের। তারপরেও!”
“আমার থিসিসের নম্বর কমানো হয়েছে?”
“না, তারটা বাড়ানো হয়েছে।“
মনটা খারাপ হয়ে গেলো খুব। প্রামাণিকস্যার না জেনে কথা বলার
মানুষ নন। কিন্তু এখানে মন খারাপ করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। আমি প্রমাণ করতে পারবো
না কিছুই। প্রতিযোগিতায় হেরে গেলেই মানুষ বিচারব্যবস্থার ত্রুটি বের করে। এই ক্ষেত্রেও
সেটাই বলা হবে। সেটা শুনতে আরো খারাপ লাগবে। মেনে না নেয়ার কোনো উপায় নেই।
তবুও ক্ষীণ আশা জেগে থাকে মনের কোণে। মার্কশিটের আটটি কপি
নিয়ে গেলাম রেজিস্ট্রার অফিসে। ডেপুটি রেজিস্ট্রারের অফিস সহকারী ইউসুফ সাহেব হৃষ্টপুষ্ট
মানুষ। তাঁর সহকর্মী ইব্রাহিম সাহেব তুলনামূলকভাবে চিকন। দু’জন পাশাপাশি টেবিলে বসে
গল্পগুজব করছিলেন। আমি কী কারণে এসেছি শুনে বললেন, “বসেন বসেন। বাড়ি কোথায় আপনার?”
“বাঁশখালী”
“চিটাগাইংগা নে? আঁর বাড়ি দোহাজারি।“ – ইব্রাহিম সাহেব বললেন।
ইউসুফ সাহেব আমার মার্কশিটগুলি হাতে নিয়ে উল্টে-পাল্টে দেখতে
দেখতে খুবই উদাসীনভাবে বললেন, “ফাইল তো অনেক দূরে আছে। খুঁজে বের করতে তো চা-পানি লাগবে।“
চা-পানি খাওয়ার টাকা চাচ্ছেন? ঘুষ? বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির
দরখাস্তের সাথে একটি মার্কশিট যোগ করার জন্য ঘুষ দিতে হবে?
পকেট থেকে বিশ টাকার একটি নোট বের করে টেবিলে রাখতেই ইউসুফ
সাহেব হাত বাড়িয়ে ওটা নিতে গিয়ে হাত সরিয়ে নিলেন।
“মাত্র বিশ টাকা দিলেন? জানেন, আপনার দরখাস্তের ফাইল যদি
খুঁজে পাওয়া না যায়, আপনাকে ইন্টারভিউতেও ডাকা হবে না। কখন সিলেকশান হয়ে যাবে আপনি
জানতেও পারবেন না।“
ইউসুফ সাহেব প্রচ্ছন্নভাবে আমার দরখাস্ত গায়েব করে দেয়ার
হুমকি দিয়ে নির্লজ্জভাবে হাত পেতে বসে আছেন চোখের সামনে। মাথার ভেতর কেমন যেন যন্ত্রণা
হচ্ছে। সরাসরি ঘুষ দেয়ার লজ্জাজনক হাতেখড়িও আমার এই বিশ্ববিদ্যালয়েই হয়ে যাচ্ছে। পঞ্চাশ
টাকার নোট দেয়ার পর সেটার সাথে বিশ টাকার নোটটাও টেনে নিতে নিতে বললেন, “অঁনে চিটাগাইংগা
মানুষ বলি লইলাম দে। নইলে একশ টেঁয়ার কম ন লই।“ এক শ’ টাকার কম ঘুষ তিনি খান না এটা
বলার সময় তাঁর ভেতর একটা গর্বের ভাব দেখা গেলো, যেন ঘুষ খাওয়া খুব অহংকারের বিষয়।
রেজাল্ট যখন বের হয়ে গেছে – বেকারের সংজ্ঞা অনুযায়ী আমি এখন
পূর্ণবেকার। কিন্তু কোচিং সেন্টারের ক্লাস আর একটা টিউশনি থেকে যা উপার্জন হচ্ছে এখন
তাতে আমার দিব্যি চলে যাচ্ছে।
ইতোমধ্যে দরখাস্ত করে ফেলেছি অনেক জায়গায়। সিভিল এভিয়েশানে,
স্পারসোতে, অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনে। কিন্তু এগুলির পরীক্ষা কখন হবে জানি না।
সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে যীশু চলে গেল সৌদি আরবে। প্রদীপ
নাথের সাথেও খুব একটা দেখা হয় না। সে এখন শহরে থাকে। কেডিএস গার্মেন্টস-এ ভোরে কাজে
ঢোকে, সন্ধ্যায় বের হয়। এরপর আর শক্তি থাকে না ঘুরে বেড়ানোর।
আমি শহরে ব্যাচেলর বাসা খুঁজে বেড়াচ্ছি, পাচ্ছি না কোথাও।
অঞ্জনরা এখন দিদার মার্কেটের ওদিকে থাকে। সময় পেলে মাঝে মাঝে তার বাসায় যাই। কিছুক্ষণ
গল্প করি। তবে সেই আড্ডাও বন্ধ হয়ে গেল তার চাকরি পাবার পর। এখন সে কম্পিউটার কোম্পানি
– ডেস্কটপে যোগ দিয়েছে। আগ্রাবাদে অফিস তার।
সবাই চাকরি করছে, আমি ভেতরে ভেতরে অস্থির হয়ে উঠতে থাকি।
বাড়িতে গিয়েছিলাম কয়েক দিনের জন্য। বাবা বলেছেন, “চিন্তা করিস না, চাকরি একটা হয়ে যাবে
কোথাও না কোথাও।“ পুত্রের জন্য পিতার স্বাভাবিক শুভ কামনাযুক্ত বাক্য এটা। কিন্তু আমি
কবিগুরুর ”সহজ হবি, সহজ হবি, ওরে মন সহজ হবি” মন্ত্র ভুলে ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছি। তাই
বাবার সহজ বাক্যের জটিল অর্থ করে বসে আছি। আমার মনে হচ্ছে বাবা চাচ্ছেন আমার যেন কোথাও
না কোথাও দ্রুত একটা চাকরি হয়ে যায়। তার মানে আমার বেকার থাকা চলবে না। আমি আরো অস্থির
হয়ে উঠতে থাকি।
বিএএফ শাহীন কলেজে ফিজিক্সের লেকচারার নেবে। এয়ারপোর্টের
কাছে এই কলেজ। শাহীন সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখেছিলাম কয়েকবার। এই কলেজটি তারই আশেপাশে।
অক্টোবরের শুরুতে সেই কলেজে গিয়ে দরখাস্ত জমা দিয়ে এলাম। অক্টোবরের নয় তারিখ কলেজে
ইন্টারভিউ দিয়ে এলাম। অনেক দীর্ঘ ইন্টারভিউ। লিখিত পরীক্ষা হলো। তারপর ক্লাসে পড়ানোর
পরীক্ষা। এরপর মৌখিক পরীক্ষা। ইংরেজিতে মৌখিক পরীক্ষা, কী বলতে কী বলেছি জানি না। কলেজটি
বাংলা মাধ্যমের। কিন্তু শিক্ষকদের নিয়োগ পরীক্ষায় ইংরেজিতে কেন কথা বলতে হলো বুঝতে
পারছি না। বিমান বাহিনীর কলেজ, ভাবসাবই আলাদা।
পরের সপ্তাহে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের বিজ্ঞপ্তি দেখলাম।
তাদেরও ফিজিক্সের লেকচারার দরকার। সেখানেও নিজে গিয়ে দরখাস্ত জমা দিয়ে এলাম। ভাইস-প্রিন্সিপাল
দরখাস্ত জমা নেয়ার সময় জানালেন যে আমাদের হারুন সেখানে ইতোমধ্যে অস্থায়ীভাবে কাজ শুরু
করে দিয়েছে। হারুনের চাকরিও হয়ে গেছে। আমি আরো অস্থির হয়ে উঠতে থাকি।
ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ইণ্টারভিউর চিঠি পেয়ে আমার অস্থিরতা
চরমে উঠলো। চিঠি এসেছে ইন্টারভিউ হয়ে যাবার দু’দিন পর। ক্যান্টনমেন্ট থেকে মুরাদপুরে
দিদির অফিসে চিঠি আসতে একদিনের বেশি লাগার কথা নয়। সেক্ষেত্রে এক সপ্তাহ আগের তারিখ
দেয়া চিঠি এতদিন পরে এলো! পোস্ট অফিসের সিল দেখে বুঝতে পারলাম – চিঠি পোস্ট করা হয়েছে
ইন্টারভিউ হয়ে যাবার পর। যে এই কাজটি করেছে – এমনভাবে করেছে যেন আমি কোনভাবেই ক্যান্টনমেন্ট
পাবলিক কলেজে ইন্টারভিউ দিতে না পারি। তার মানে কেউ বা কারা আমাকে চেনে এবং আমার সাথে
প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভয় পাচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে আমি এই মানুষটাকে চিনতে পেরেছি। এতটা
নিচে নামার দরকার ছিল না তার।
No comments:
Post a Comment