Tuesday, 18 February 2025

রিফাৎ আরার ছোটগল্প - কাঙ্ক্ষা

 


________________________________

রিফাৎ আরা রচনাসমগ্র

গল্পগ্রন্থ - দহনের কাল ।। প্রকাশক - মীরা প্রকাশন, ঢাকা, ২০১৭

গল্প - কাঙ্ক্ষা
__________________________________________

কাঙ্ক্ষা

 

একদিন প্রাতঃকালে গ্রামের লোক অবাক হয়ে দেখল লালাসিন্দুর গ্রামের যে সড়কটি উপজেলা শহরের দিকে গিয়েছে সেখানে আলতা নদীর সেতুর একটু আগে প্রচুর ইট সিমেন্ট ও লোহার রড স্তূপীকৃত করে রাখা সম্ভবত সারারাত ট্রাকে এসব মালামাল আনা হয়েছে এবং ইতিমধ্যে সূর্য ওঠার লগ্নে জনা পঞ্চাশেক শ্রমিক কাজ শুরু করেছে। মাথায় হেলমেট পরা কয়েকজন লোক সম্ভবত ইঞ্জিনিয়ার এবং ঠিকাদারও উপস্থিত। কিছুদিন থেকে কিছু বিদেশি লোক রাস্তার দুপাশে জরিপ করে মাপজোক করতে তারা দেখেছে। মানুষগুলোকে তারা ইতিপূর্বে দেখেনি বলেই ভিনদেশি ভেবেছে। প্রকৃতপক্ষে শুধু লালাসিন্দূর গ্রাম নয় বাংলাদেশের অনেক গ্রামের মানুষই অপরিচিত কাউকে দেখলে ভিনদেশি ভাবে। তারা দেখল আজকের মজুর-যোগালিরাও বিদেশি।

          আমরাওতো ছিলাম। কাম পাইলে কটা দিন আয় রোজগাররের ভাবনা থাকত না।

          না, মিয়াবাড়ির মিয়া সাহেবরা অবস্থা ফিরে যাওয়ার পর এসব কামে দ্যাশের মানুষ নেয় না। দেশের মানুষ নাকি কামে ফাঁকি দেয়।

          -রহীমুদ্দিরে রাতারাতি এত মানুষ পাইল কই।

          -তুমি যে কি কও চাচা তাগো নি মাইনষের অভাব আছে। তারা ত সব কামেই বিদেইশ্যা মানুষ আনে।

          -হ, তোর এই কথাডা ঠিক। সায় দেয় কালামিয়া নামের প্রশ্নকর্তাটি।

          মিয়াবাড়ির মিয়ারা একসময় নামকরা বংশ ছিল। লালাসিন্দূর গ্রামের মিয়াদের নাম কামের কথা এখনো কিংবদন্তী হয়ে আছে। কিন্তু জগতের যা নিয়ম উত্থান-পতন। মাঝের দুই পুরুষ পতনে যাপন করার পর এখন তৃতীয় পুরুষে আবার নতুন করে উত্থান ঘটেছে। আরবদেশে শ্রমিক পাঠানোর ব্যবসা করে তারা এখন কোটিপতি। ভাঙা জীর্ণদালান ভেঙে নতুন ত্রিতল ভবন হয়েছে। সেখানে আছে নাগরিক সকল সুযোগ সুবিধা।

          বাড়ির চারপাশের দরিদ্র আত্মীয়স্বজনদের অন্যত্র অভিবাসী করে সমস্ত বাড়ি ঘিরে তৈরি হয়েছে উঁচু প্রাচীর। সে প্রাচীর প্রাকারের অভ্যন্তরে বাগান দিঘি, খামার সবকিছুই বর্তমান। এখানেও ভিনদেশি অর্থাৎ ভিন্ন এলাকায় লোকজন সবকিছুর সুরক্ষায় নিয়োজিত। কারণ, মিয়াদের ধারণা এলাকার মানুষকে এসব রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দিলে তারা ভক্ষন করেই শেষ করে দেবে। তাই সর্বত্রই ব্যবস্থা পাকা। সম্প্রতি মসজিদটিও পুনর্নিমাণ করা হয়েছে। আগে ছাদ ছিল। এখন মর্মর পাথরের গম্বুজ করা হয়েছে। ঘোরানো সিঁড়ি দিয়ে আজানের জন্য প্রায় পঁয়তাল্লিশ ফুট উঁচুস্থানে মাইক বসানো হয়েছে। এখন এই মসজিদের আজান কয়েকগ্রাম দূর থেকে শ্রুত হয়।

          গত তিন দশকে সম্পত্তির পরিমাণও পুনরায় বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্বপুরুষের অর্জিত যা হৃত হয়েছিল তার দশগুণ বর্তমানে ক্রীত। গ্রামে এক কড়াক্রান্তি সম্পত্তিও কেউ বিক্রি করার উদ্যোগ নিলে মিয়ারা দশহাত বাড়িয়ে দেন।

          গ্রামবাসীও জানে মিয়াদের কাছেই তারা বাঁধা। কারণ অন্য কেউ কিনতে চাইলে তারা সে ব্যক্তিটিকে এমনভাবে হেনস্থা করেন যে তখন নিজের সম্পদটুকুও তাকে হারাতে হয়। তাই তাদের সম্পর্কে গ্রামে আঞ্চলিক ভাষায় যে প্রবচনটি প্রচলিত ভদ্র ভাষায় তার অর্থ দাঁড়ায়- পদ্মগোখরে সাপ দিয়ে পশ্চাৎদেশ চুলকাতে যেও না।

          গ্রামের মানুষ এটা মেনেই জীবন যাপন করে কারণ বিপদে-আপদে তারাই ভরসা। বছরে একবার জাকাত দিলেও তারাই দেয়, ধারকর্জ, ছেলেমেয়ের বিয়েশাদি, বিপদ আপদে সাহায্য করে। গ্রামের একমাত্র ভিক্ষোপজীবিনী মূর্খ নারীটি একবারতো বড়বিবিকে খুশি করতে গিয়ে বলেছিল, আল্লাহ খোদা জানি না, মাগো আপনেরাই আমাগো আল্লাহ খোদা।

          বড় বিবি অবশ্য চমকে উঠে বলেছিলেন, নাউজুবিল্লাহ, তুমি কি বল জমিলা। এসব নাফরমানি কথা বলিও না। তওবা কর। তওবা কর। জমিলা অবশ্য তওবা করেনি তার ক্ষুন্নিবৃত্তির প্রয়োজনে সে উপস্থিত শক্তিমানে সন্তোষ উৎপাদন করে কিছু পাওয়ার প্রত্যাশা করেছিল এবং প্রত্যাশভঙ্গের বেদনায় মনে মনে ক্ষুব্ধ হয়ে কিছুক্ষণ পূর্বের ঈশ্বরকেই মনে মনে কিছু অশ্রাব্য উক্তি করে তিরস্কারের ঝাল মিটিয়েছিল।

          তো এই যে লালাসিন্দুর গ্রাম যারা বর্তমানে মিয়াদের জাঁকজমক দেখে কিছুটা অভ্যস্ত তারাও হঠাৎ সড়কে এই তোরণ নির্মাণে কৌতুহলী হয়ে পরস্পর কানাকানি শুরু করল।

          -বশিরউল্লা যদি বলে এইডা মনে অয় মিয়ার বাপের নামে বানাইব।

          -মন্টু মিয়া বলে উঠে- তুমি জান কেলাডা। এইটা এম পি সাবের নামে বানাইব। এম পি সাব খুশি অইলে মিয়াগো দাপট আরো বাড়বো।

          -হ, তরে কইছে বলদ, এম পি আইজ আছে কাইল নাই। এইডা দ্যাশের বড় কোন ন্যাতার নামে বানাইব। মিয়াসাব ইলেকশানে খাড়াইব। এম পি হইব।

          এভাবে কানাঘুষা বাড়তে থাকে, তোরণও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে থাকে। সকাল বিকাল তোরণের দুইপাশে শিশু থেকে বৃদ্ধ ঘাড় উঁচু করে তামাশা দ্যাখে। ভাবে, আর কত উঁচু অইব তোরণডা?

          ভাবেন মিয়াসাহেবও। জন্মসূত্রে তিনি বংশের বড়মিয়া। এখন তার বয়স সত্তর ছুঁইছুঁই। জীবনে অনেক দুস্তর পথ পাড়ি দিয়েছেন। যৌবনে লেখাপড়া না করে রাজনীতি করেছেন। ছোটবেলা থেকেই তার বুদ্ধি তীক্ষ্ণ। পরিবারের অর্থকষ্টকে মেনে নিতে পারেন নি। আর তারুণ্যের দীপ্ততায় উনসত্ত্বর, সত্তরের উত্তাল সময়ে মিছিলে যোগ দিয়ে, শ্লোগান দিয়েছেন- আইয়ুবশাহী নিপাত যাক।

          তারপর একাত্তরের যুদ্ধে যোগ দিয়েছেন। যুদ্ধ করেছেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নেতাদের সাথে ঘুরেছেন। বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র করে জিয়াউর রহমানের শাসনে জেলও খেটেছেন কিছুদিন। অবশেষে উপলব্ধি করেছেন- অর্থই সকল শক্তির মূলতারপর আশির দশকে সুযোগ এল- মানুষ রপ্তানি। আরবদেশগুলো এদেশ থেকে মিসকিন আমদানি করল তাদের দেশ নির্মাণের জন্যআর? আর সেই সুযোগে যারা জাল পাততে পেরেছিল, তাদের হাতে রুপালি ইলিশের মত চকচকে টাকা, রিয়াল, দিনার, ডলার।

          হ্যাঁ, মিয়াসাহেবরা সেদিন সফল হয়েছিলেন। সম্পদে প্রাচুর্যে রাতারাতি জীবনের চেহারা এমন পাল্টে গেল যে তাদের বংশধররা ভাবতেও পারবে না- কি জীবন তারা যাপন করেছেন। তাদের কাছে এটাই পরম সত্য।

          এতকিছুর পরও বড়মিয়া সন্তুষ্ট হতে পারেন নি। কেবলই মনে হয়- কি জানি বাকি রহিয়া গেল। সকল পাইয়াও যেন আসল পাওয়া হইল না

          মিয়াসাহেব যখন স্কুল কলেজে অধ্যয়ন গ্রহণ করেছিলেন তখনো অধিকাংশ পুস্তক সাধুভাষায় লিখিত হইত। সেই পাঠ্যপুস্তকের প্রভাবে মিয়াসাহেব যখন চিন্তা করেন তখন তার চিন্তা ভাবনাগুলো মনের ভিতরে সাধুভাষায় রূপ পায়।

          মিয়াসাহেব ভাবেন- কি রহিল, সকলইতো পাইলাম, জীবনে আর কি রহিল। জীবনতো অস্তগামী সূর্যপ্রায়। আর কি পাইব, কি পাইতে পারি।

          অকস্মাৎ একদিন কে যেন মনের ভিতর কথা বলে উঠল- অমরত্ব, অমরত্ব পাইতে হবে। আজ মৃত্যু হইলে কাল কে তোমাকে স্মরণ করিবে? পুত্র কন্যাগণ অর্থকষ্টে থাকিলে যদিওবা কিছু স্মরণ করিত এখন বরং সম্পত্তির অধিকার পাইয়া আনন্দিত হইবে। কারণ ইহাই পৃথিবীর রীতি।

          তবে কি কর্তব্য- মিয়া সাহেব ভাবেন।

     আমি কি এলাকায় একটি বিদ্যালয় স্থাপন করিব অথবা হাসপাতাল- নিজেকে প্রশ্ন করেন।

          নাহ, তাহাতে অনেক খরচ। স্ত্রী-পুত্র-কন্যা কেহই ইহাতে সম্মতি দিবে না। আরাম আয়েশের বিঘ্ন তাহারা সহ্য করিবে না। তবে কি, তবে কি-

          মেঘলিপ্ত আকাশে যেমন অকস্মাৎ বিদ্যুৎ চমকায় তেমনি মিয়াসাহেবের মাথার ভিতরে বুদ্ধির তীব্র ঝলক পথের সন্ধান দিল। মিয়াসাহেবের মনে পড়িল। তিনি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, মুক্তিযোদ্ধার বীরত্বের সম্মান তার প্রাপ্য।

          কিন্তু কে দিবে সম্মান। লক্ষ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা অনাহারে, অর্ধাহারে ভিক্ষাবৃত্তি করিয়া জীবন কাটাইয়া গিয়াছে। বর্তমানে যদিও মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা প্রদান করিতেছে তাহার প্রয়োজন তো আমার নাই।

          সিদ্ধান্ত নিলেন, নিজের প্রাপ্য সম্মান নিজেকেই দিতে হবে।

          গ্রামের মানুষ তাকিয়ে দেখে তোরণ শেষ হয়ে আসছে। তারা আশা করে আছে এ উপলক্ষে মিয়াসাহেব মেজবান দিবেন নিশ্চয়। এ সময় একদিন তারা দেখল উপজেলার সড়কে ট্রাকে করে মনুষ্যমূর্তি আগত প্রায়। লালাসিন্দুর গ্রামে হুড়হুড়ি পড়ে গেল।

          একজন আরেকজন ডেকে যায়- আয় যাই।

          চল দেইখা আসি।

          মূর্তির আবরণ উন্মোচনের পর উপস্থিত গ্রামবাসীর মনে হল- বড় বেশি চেনা।

          -কে কে?

          -হ্যাঁ মিয়া সাহেবইতো। বড়মিয়াসাহেব।

          -হ।হ। তারা একজন আরেকজনকে সমর্থন দিল।

          -ক্যান মিয়া সাবের মূর্তি ক্যান? উনি তো বাঁইচা আছেন।

          তয়- অন্যজন জানতে চায়।

          নামি-কামি মানুষ মইরা গেলে শহরে তাগো মূর্তি বানায়- একজন বিজ্ঞের মত বলে।

          -কিন্তুক উনিতো মরেন নাই। শরীল স্বাইস্থ্য যেমন আছে আরো কম কইরা বিশ বছর আয়ু পাইবেন।

          -হ, তুই জানস, খোদার উপর খোদকারী। কে কখন মরব কেউ কইতে পারে।

          -না তা পারে না। যুবকটু আমতা আমতা করে।

          দু একজন ফুটকি কাটে। এই একটা ভালা কাজ করছিল। মুক্তিযুদ্ধে গেছিল। কিন্তুক তাই বইলা নিজের মূর্তি নিজে বানাইব? কি অইব এইডা দিয়া।

          -চোখ চাইয়া দেইখা থাক কি অইব। এত পটর পটর করিস না।

          -তোমার অসুবিদা কি আমি পটর পটর করলে। তোমারে কি উকিল দিছে?

          তর্কাতর্কি বাড়তে থাকে।

          এমন সময় মিয়াসাহেব তার সঙ্গীদের নিয়ে অকুস্থলে উপস্থিত হলে সম্মিলিত জনতা ভাষাহীন সমাবেশ পরিণত হয়। শহরের থেকে ভাস্কর ও তার সহযোগীরা ওস্তাগরদের বুঝিয়ে দেন কিভাবে মূর্তিটি তোরণের মাথায় প্রতিস্থাপন করা হবে। কাজ শুরু হলে ভাস্কর নিজেই তোরণ বেয়ে উঠে মূর্তি স্থাপনের কাজে হাত লাগান। সকাল থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ভাস্কর এবং ওস্তাগররা কাজ করে মূর্তিটিকে তোরণের মাথায় স্থাপন করেন। মূর্তির পায়ের কাছে শ্বেতমর্মরে কালো অক্ষরে লেখা সাঁটা হল। এবার যারা পাঠে সক্ষম তারা সবিস্ময়ে পাঠ করল- বীর মুক্তিযোদ্ধা আজফার আলী মিয়া, জন্ম

          এতদিনে তোরণের মাজেজা অনুধাবন করে গ্রামবাসী পরস্পর চোখ চাওয়া করে মুচকি হাসল।

          যথাসময়ে সাড়ম্বরে তোরন উদ্বোধন হল। এম পি সাহেব ও জেলা উপজেলা নেতা উপনেতা ও পাতিনেতারা এলেন। গ্রামবাসী মেজবানে আপ্যায়িত হয়ে নানারকম হাসি ঠাট্টায় মেতে দিন শেষে শয্যায় আশ্রয় নিল।

          রাত্রির মধ্যযামে ভয়ানক এক শব্দে ঘুমন্ত নারী, শিশু, যুবা, পুরুষ সকলেরই সুপ্তিভঙ্গ হল। তারা বুঝতে অক্ষম- বজ্রপাতের মত এ শব্দ কিসের। এখন শীতকাল। মাত্র মাঘের আরম্ভ।

          কুয়াশাভোরে সুপ্তত্থিত গ্রামিবাসী ছুটল তোরণ অভিমুখে। তাদের অনুমান রাত্রিকালে শ্রুত বজ্রপতনের এ শব্দটি তোরণের দিক থেকে এসেছে।

          গ্রামে হুলুস্থুল পড়ে গেল- প্রতিস্থাপিত মূর্তিটি ভূলুন্ঠিত দেখে। তাদের আফসোস ক্রমশ বৃদ্ধি পেল। এটির গঠন, সৌষ্ঠব, সৌন্দর্যের প্রশংসাও চলতে লাগল। নিন্দুক লক্ষ্মীছাড়া দু-চারজন ইশারায় হাসাহাসি করতে করতেই শুনতে পেল- মিয়াবাড়ির মসজিদের মাইকে ফুঁ দিচ্ছে কেউ। এ অসময়- কি সংবাদ?

          উপস্থিত জনতা জ্ঞিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে পরস্পর ভাব বিনিময় করার মুহূর্তে কানে এল- একটি শোক সংবাদ- মিয়া বাড়ির বড়মিয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা আজফার আলী মিয়া গতকাল মধ্যরাতে নিদ্রিত অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন।

          উপসংহার- গ্রামবাসী জানে না এদেশের একজন অকপট কবির অবিনশ্বর প্রবচন- একজন রাজাকার সবসময়ে রাজাকার, কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধা সবসময়ে মুক্তিযোদ্ধা নয়। 


No comments:

Post a Comment

Latest Post

রিফাৎ আরার উপন্যাস - অচেনা আপন - পর্ব ৩১-৩২

----------------------------------- রিফাৎ আরা রচনাসমগ্র উপন্যাস - অচেনা আপন ।। প্রকাশক - মীরা প্রকাশন, ঢাকা, ২০১৫ __________________________...

Popular Posts