_____________________
রিফাৎ আরা রচনাসমগ্র
গল্পগ্রন্থ - বোধন ।। মীরা প্রকাশন, ঢাকা, ২০০৯
গল্প - একটি কিশোরের গল্প
__________________________
একটি কিশোরের গল্প
পড়ার টেবিলে বসে থাকলেও
পড়ায় মন নেই জাহিদের। কিছুক্ষণ পর পরই সে আড়চোখে দেয়াল ঘড়িটা দেখছে, আর অপেক্ষা
করছে কখন মামণি অফিসে যাবে। তারপর সেও চলে যাবে সোজা ছাদের সিঁড়িঘরে।
আজ তার ছুটি। সারাদিন সে খেলবে তার ময়না-টিয়া আর লাইকার সাথে।
কিন্তু এখন যেন মা কিছুতেই টের না পায়। তাহলে আর রক্ষা থাকবে না। এমনিতেও এবারে
মাসিক পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় কাল রাতে মা ভীষণ বকাঝকা করেছে। বলেছে¾ সারাদিন যদি ওসব
জন্তু জানোয়ার নিয়ে থাকো তাহলে জঙ্গল বা চিড়িয়াখানায় চলে যাও, ঘরে থাকা চলবে না।
ফের যদি এমন হয় তবে তোমার সব পাখির খাঁচা আমি বাইরে ফেলে দেব।
জাহিদ নিজেও বোঝে। পরীক্ষায় খারাপ করাটা
মোটেও ভালো না। তাছাড়া পড়াশোনা করতে তার ভালই লাগে। ছোটমামার দেয়া একটা বইতে সে
পাখি-বিশারদ ডঃ সলিম আলীর কথা পড়েছে। কতো বড় জ্ঞানী মানুষ তিনি। যেমন লেখাপড়া
করেছেন তেমনি বিভিন্ন প্রজাতির পাখির সন্ধানে কত দুর্গম জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন।
হিমালয়ের ঠান্ডাও তাঁকে কাবু করতে পারেনি। তাঁর কথা পড়ে এতো মুগ্ধ হয়েছে যে, তখন
থেকেই মনে মনে ঠিক করে রেখেছে বড়ো হয়ে সেও এমনি একজন বিজ্ঞানী হবে, দেশ-বিদেশে
ঘুরে বেড়াবে। দেখবে কত নতুন নতুন পশু-পাখি। কিন্তু কী করে যে কী হয়ে যায়।
অঙ্কের সাবজেক্টটা যতো গোলমাল বাঁধিয়ে
বসে। পরীক্ষার খাতায় প্রায়ই দু’একটা
অঙ্কের হিসেবে কীভাবে যেন গরমিল হয়ে যায়। আর এতেই মায়ের ঘোরতরো আপত্তি। তিনি চান
জাহিদ অন্য বিষয়গুলোর মত অঙ্কেও হায়েস্ট পাবে। উহ্! কী যে জ্বালা। মা-গুলো একটুও
বুঝতে চায় না ছেলেদের মনের কথা।
¾
জাহিদ!
মায়ের
ডাকে চমকে উঠে নড়ে চড়ে বসলো জাহিদ। মা কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন¾ কী পড়ছিস? সামনে খুলে রাখা
বইটা হাতে নিয়ে দেখলেন, ইংরেজি।
¾ ঠিক আছে। এরপর
কিন্তু ক’টা অঙ্ক করে নিস্। তারপর
খেলতে যাস কেমন, বাবা আমার, লক্ষ্মীসোনা। বলতে বলতে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলেন।
তারপর আবার বললেন¾ কেন বুঝিস না, তোকে
নিয়ে আমাদের কতো আশা। এবার কপালে একটা চুমু খেয়ে যেতে যেতে বললেন¾ ভাল হয়ে থাকলে
বিকেলে এসে আমরা কিন্তু শপিং-এ যাবো। সামনের ঈদের জন্য কেনা-কাটা করে ফেলতে হবে
ভীড় বাড়ার আগেই।
সিঁড়িতে পায়ের শব্দ মিলিয়ে যেতেই জানালার কাছে গিয়ে পর্দাটা
তুলে উঁকি দিল জাহিদ। দারোয়ান চাচার ডেকে আনা রিক্সাটায় চড়ে মা অফিসে চলে যাচ্ছে।
এক লাফে টেবিলের কাছে এসে বইটা বন্ধ করে কাজের বুয়াকে ডাক দিল সে।
¾ বুয়া, আমার লাইকার
খাবার দাও।
বুয়া কয়েকটা রুটি এনে হাতে তুলে দিতেই
ঘর থেকে বেরিয়ে এক লাফে দুই সিঁড়ি ডিঙিয়ে ছাদের সিঁড়িঘরটাতে উঠে এল সে। এই ঘরটাতে
তার একটা আলাদা জগৎ। খাঁচায় ঝুলছে ময়না-টিয়া,
এমনকি চড়ুই। আর আছে লাইকা। এখন যে জাহিদের সবচেয়ে প্রিয় সঙ্গী।
পাখি পোষার শখ দেখে এগুলো আব্বুই কিনে
দিয়েছিল। ছোট ছোট মুনিয়া পাখিও ছিল। কোত্থেকে একটা বিড়াল এসে একদিন সব মুনিয়াগুলো
চিবিয়ে খেয়েছে। সেদিন মনের কষ্টে সে নিজেই সারাদিন কিছু খেতে পারেনি। আর চড়ুই
নানুর বাড়ির আম গাছ থেকে নিজেই ধরেছিল। মামা-খালারা সবাই হাসাহাসি করেছিল¾
চড়ুই আবার কেউ পুষে নাকি? কিন্তু জাহিদের জেদ¾
কেউ না পুষলে কী হবে, আমি পুষবো।
সেই থেকে সেগুলো একটা খাঁচায় ঠাঁই
নিয়েছে। আরো অনেক পাখি ধরেছিল সে¾ শালিক, টুনটুনি,
দোয়েল। কিন্তু থাকে না। হয় পালিয়ে যায়, না হয় মরে যায়। তখন আরো কষ্ট হয়। নানী মাঝে
মাঝে বলে¾ ওর হাতে জাদু আছে। নইলে খালি হাতে অমন করে পাখি
ধরে কী করে। কিন্তু জাহিদ জানে, জাদু-টাদু বাজে কথা। আসল কথা কৌশল আর প্র্যাকটিস।
ওদের গতিবিধি লক্ষ্য করলে ধরতে কষ্ট হয় না। তাছাড়া কাউকে পেতে হলে তাকে ভালবাসতে
হয়।
এইতো
সেদিনের কথা। খেলার মাঠ থেকে ফেরার সময় পথের ধারে বসে থাকতে দেখেছিল লাইকাকে। দেখে
একটু আদর করে দিয়েছিল। পরপর কয়েকদিন এরকম করার পর একদিন দেখে কুকুরটা তার পিছু
পিছু এসে বাড়ির গেটে লেজ নাড়াচ্ছে। বইতে কুকুরের প্রভুভক্তির কথা পড়েছিল সে। এটাকে
কিছুতেই ছাড়তে ইচ্ছে হলো না। এদিকে মা-তো কিছুতেই বাড়িতে কুকুর ঢুকতে দেবে না।
কুকুর তার ভয়ানক অপছন্দ। তার ওপর আবার জলাতঙ্কের আতঙ্ক। শেষে অনেক বলে কয়ে এই
ঘরটাতে এনে তুলেছে। তারপর খাইয়ে নাইয়ে যত্ন করে কুকুরটাকে বেশ নাদুস-নুদুস করে
তুলেছে। নাম রেখেছে লাইকা।
বইতে পড়েছে প্রথম মহাশূন্যাচারী রাশিয়ান
কুকুরটির নাম ‘লাইকা’। সেই নামটিই সে রেখেছে। এখন লাইকা তার
বন্ধু-মহলেও বেশ জনপ্রিয়। বিকেলে মাঠে খেলতে গেলে তাকে নিয়ে যায়। সেও তাদের সঙ্গে
সমানে দৌড়ায়। আবার বল ছুঁড়ে দিলে কুড়িয়ে আনে। সবার পায়ে পায়ে ঘুরে।
আজ লাইকাকে গোসল দিতে হবে। প্রথমেই
রুটিগুলো তার দিকে ছুঁড়ে দিয়ে পাখির খাঁচাগুলো তদারক করতে লেগে যায় জাহিদ। টিয়ে
পাখিটার ছোলা ফুরিয়ে গেছে, ময়নার জন্য কলা আনতে হবে। চড়ুই দুটোকে ঘরের কোণে রাখা
টিন থেকে একমুঠো ধান দিয়ে বললো¾ খুঁটে খা। খেটে খাওয়া
ভালো। এবার লাইকার দিকে ফিরলো¾ কিরে, কেমন আছিস?
সামনের পা দুটো তুলে গর্গর্ শব্দ করে আদরের জন্য অস্থির হয়ে উঠলো লাইকা। কাছে
গিয়ে গায়ে-পিঠে হাত বুলিয়ে আদর করতে করতে জিজ্ঞেস করলো¾
গোসল করবি না? আজ যে তোর গোসলের দিন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকলে যে আমি আদর করবো
না। তুই যে বই পড়তে পারিস না। নইলে দেখতিস, সেখানে কত্তো স্বাস্থ্য-কথা লেখা আছে।
একটানা কথা বলতে বলতে কুকুরটাকে টেনে নিয়ে চলে রেলিঙের পাশে কলটার কাছে। সেখানে
দাঁড়িয়েই হাঁক দেয়¾ দারোয়ান চাচা।
দারোয়ান নিচে থেকেই সাড়া দেয়¾
‘কী জাহিদ বাবা, কী
হুকুম?’
¾
আমার লাইকার জন্য মাংস আনতে হবে আর ময়না টিয়ার জন্য কলা-ছোলা এসব। বলতে বলতে পকেট
থেকে টাকা বের করে একটুকরো ইটে বেঁধে নিচে ছুঁড়ে দেয়। আবার বলে¾
ভাল করে দেখে আনবে সব। কাল অনেক কষ্টে আব্বুর কাছ থেকে টাকাটা আদায় করেছি।
এবার কল
ছেড়ে দিয়ে লাইকার গায়ে সাবান মাখাতে শুরু করলো সে। পানি-সাবান গায়ে লাগতেই ডাক
ছেড়ে লাফালাফি শুরু করলো কুকুরটি। তাকে সামলাতে সামলাতে বক্ বক্ করে চললো জাহিদ¾
আচ্ছা বলতো, জীব-জানোয়ার এতো ভাল লাগে কেন আমার! এর জন্য কি কম বকুনী খেতে হয়
মায়ের কাছে! একবার কী হয়েছিল জানিস? কোত্থেকে একটা বানর এসেছিল আমাদের এ পাড়ায়।
সবাই তাড়াচ্ছে। আমি আর আমার বন্ধুরা সারাদিন ওটার পেছনে ছুটেছি। তারপর সবাই চলে
গেলেও সন্ধ্যে পর্যন্ত আমি ওটার পেছনে ঘুরেছি আর বড়দের যাকে পেয়েছি তাকেই বলেছি¾
বানরটা পেলে কিন্তু আমাকে দেবেন। তাই সবাই ভাবল ওটা আমারই। এদিকে কী হলো জানিস?
পাড়ার ক’জন
ভাইয়া রাতের বেলা বানরটা ধরে বাসায় এনে হাজির। আর যায় কোথায়? মা-তো রেগে সারা।
আমাকে এই মারেতো সেই মারে। যারা বানরটা এনেছিল তাদেরও আচ্ছা করে বকে দিল। তারা
বললো¾ আমরা কী জানি। জাহিদ বার বার আমাদের বলেছে, ধরতে
পারলে বানরটা যেন ওকেই দিই। ওটা তার। আসলেই তো ওদের কোন দোষ ছিল মা। তুইই বল্ মামণির
ওদের বকাটা কি ভালো হলো। দোষতো আমারই।
পোষা
প্রাণীদের সাথে কথা বলতে বলতে সময় কেটে যায় তার। ওদের দেখাশুনাও শেষ হয়। এভাবেই
ছুটির দিনগুলো কোথা দিয়ে কেটে যায় টেরই পায়না সে।
বিকেলে
কেনা-কাটা সেরে আসতে আসতে রাত হয়ে যায়। মা সবাইকে যার যার জিনিসগুলো বিলিয়ে দেন।
বুয়ার শাড়ি, এমনকি দারোয়ান চাচার পাঞ্জাবীও বাদ যায় না। কিন্তু দু’সেট নতুন জামা-কাপড় পেয়েও
মনটা খুঁতখুঁত করে জাহিদের। লাইকার জন্য কিছু কেনা হলো না। অথচ কথাটা মুখের বার
করার উপায় নেই। মা রেগে আগুন হবেন। সে মনে মনে ঠিক করে রেখেছে¾
লাইকাকে নিয়ে এবার ঈদের বন্ধুদের সঙ্গে মজা করবে। তার নতুন কাপড় আর লাইকার থাকবে
না তা কী করে হয়! রাতে বিছানায় শুয়েও ঘুম আসতে চায় না যেন। ভাবতে ভাবতে একসময়
মাথায় বুদ্ধি খেলে যায়।
পরদিন মা বেরিয়ে যেতেই তাঁর কাপড়ের
আলমারিটা খুলে বেছে বেছে অনেক পছন্দ করে মায়ের মেরুন রঙের একটা নতুন ব্লাউজ পিস
তুলে নিল সে। সেলাইয়ের বাক্সটা খুলে সুঁই-সুতো কাঁচি নিলো। লাইকার গায়ের মাপ নিয়ে
অপটু হাতে ঝট্পট একটা জামা কেটে সেলাই করতে লেগে গেল জাহিদ। মা বের হয়ে গেলে
ছুটির দিনগুলোতে লাইকাকে সাথে নিয়ে সেলাই করে আর গল্প করে। কত যে গল্প। দারোয়ান
চাচাকে দিয়ে কিছু পুঁতি আর চুমকি আনিয়ে এখানে ওখানে বসিয়ে দিল। এবার সত্যিই বাহারি
হয়েছে জামাটা দেখতে। মাথায় বুদ্ধি চাপতেই নিজের একজোড়া মোজা কেটে চারটে করে সেলাই
করে নিল লাইকার জন্য।
ঈদের দিন সকাল বেলায় মামণি যখন রান্নাঘরে ব্যস্ত তখন জাহিদ
চলে গেল তার সঙ্গীদের কাছে। কতো কাজ তার। ওদের গোসল করাতে হবে। লাইকাকে কাপড় পরাতে
হবে। তারপর ওকে সঙ্গে নিয়ে বন্ধুদের বাসায় যাবে। নতুন জামাকাপড় পরিয়ে গলায় রঙিন
কাগজে মোড়া শিকল জড়িয়ে তাকে গেটের কাছে বেঁধে রাখলো। এবার নিজে রেডি হতে হবে।
বাথরুম থেকে বেরোতেই মা বললেন¾ কী করেছিস রে জাহিদ!
কুকুরটাকে কাপড় পরিয়েছিস! দ্যাখগে যা, গেটে কতো লোক তোর কুকুর দেখতে জমে গেছে। হৈ
চৈ শুনে আমি তো ভাবলাম কি জানি কী হলো!
সারাদিন খুব মজা করলো জাহিদ। নতুন কাপড় মোজা পরার আনন্দে অথবা
অস্বস্তিতে খুব চ্যাঁচালো কুকুরটা। জাহিদের কিন্তু ভ্রুক্ষেপ নেই। সে ভাবছে তার
মতো লাইকাও আনন্দিত।
পরদিন সকাল হতেই লাইকার কাছে গিয়ে অবাক
হলো জাহিদ। একি! এক রাতের মধ্যে কুকুরটা এমন হয়ে গেল কেন? তার ডাক শুনে লাফিয়ে
উঠলো না, এমনকি একটু খুশির শব্দও করলো না। কী হয়েছে লাইকার? কেমন ঝিমিয়ে পড়া ভাব।
কাছে গিয়ে গায়ে হাত রাখলো সে। একবার তাকিয়ে চোখ বন্ধ করলো লাইকা। কাঁদো কাঁদো গলায়
দারোয়ানকে ডাকলো জাহিদ¾ শিগগির একটা রিক্সা
ডাকো, পশু-হাসপাতালে যেতে হবে। লাইকা যেন কেমন করছে।
পশু-চিকিৎসক
জাহিদকে দেখে চিনতে পারলেন। মা-কে না জানিয়ে দারোয়ানকে নিয়ে পাখিদের অসুখ-বিসুখে
এর আগে সে দু’একবার
এসেছে। প্রাণিজাতির প্রতি এই কিশোর বালকটির গভীর মমতা দেখে ডাক্তার সাহেবও তাকে
বিশেষ স্নেহ করেন। হাতের কাজ রেখে তিনি জানতে চাইলেন¾
কী হয়েছে?
জাহিদ
কোলে করেই রেখেছিল লাইকাকে। ডাক্তারের সামনে দাঁড় করাতেই কুকুরটি পড়ে গেল। গায়ের
পোশাক দেখে হেসে উঠলেন তিনি। তাকে দেখতে দেখতেই চমকে উঠলেন¾
একি করেছ? মোজা রাবার ব্যান্ড দিয়ে বেঁধেছ? এই জন্যেই তো রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে ওর
পা ফুলে গেছে। তাড়াতাড়ি সেগুলো খুলে নিয়ে ওষুধ দিলেন।
দু’দিন ধরে অষুধ খাইয়েও কোন ফল
হচ্ছে না। কুকুরটা আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে পড়ছে। ওর দিকে তাকালেই ভীষণ কান্না পায়
জাহিদের। কেন যে ছাই মোজা পরাতে গেল।
পরদিন সকাল বেলা ঘুম থেকে ডেকে তুলে মা
বললেন¾ জাহিদ, তোর লাইকা
মরে গেছে। আমি দারোয়ানকে বলেছি ওটাকে ফেলে দিয়ে আসতে, যা দেখে আয়।
মায়ের কথায় মাথা ঝাঁকিয়ে ফুঁফিয়ে কেঁদে উঠলো জাহিদ¾ না মা ওকে আমি দেখতে
পারবো না। ফেলে দিতে বলো।
মা জাহিদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললেন¾ কাঁদিস না। তোকে আরো
সুন্দর একটা কুকুর কিনে দেবো আমি। অনেক পাখি কিনে দেবো¾
¾না- না, কিচ্ছু চাই
না আমার। আর কোন কুকুর লাগবে না। লাইকা¾ আমার লাইকা¾ বলতে বলতে ডুকরে
কেঁদে মায়ের বুকে মুখ লুকালো জাহিদ।
No comments:
Post a Comment