চাঁদের নাম লুনা



কিশোর বিজ্ঞান ৩
চাঁদের নাম লুনা
পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ

প্রদীপ দেব

চাঁদের নাম লুনা
প্রদীপ দেব

প্রকাশক
মো: হারুন অর রশীদ
মীরা প্রকাশন
রুমী মার্কেট, ৬৮-৬৯ প্যারীদাস রোড, বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০, বাংলাদেশ
ফোন: ৯৫৮০৬৭০, মোবাইল: ০১৭১০ ৮৫৩১৫৮, ০১৬৮৩ ৮০৭৪৪৪

প্রকাশকাল
বইমেলা ২০১৭

গ্রন্থস্বত্ব
ফণীন্দ্রলাল দেব পাঠাগার, নাপোড়া, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ

লেখক ও প্রকাশকের লিখিত অনুমতি ছাড়া এই বইয়ের কোন অংশেরই কোন ফটোকপি, স্ক্যান, রেকর্ড কিংবা অন্য কোন তথ্য সংরক্ষণ পদ্ধতিতে অনুলিপি করা কিংবা ই-বুক আকারে প্রকাশ করা আইনত নিষিদ্ধ।

প্রচ্ছদ
নাসিম আহমেদ

মুদ্রণে
ঢাকা প্রিন্টার্স
৩৬ শ্রীশ দাস লেন, বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০, বাংলাদেশ

মূল্য: ৩৫০ টাকা

__________________________________________
CHANDER NAAM LUNA (THE MOON: LUNA)  by Dr Pradip Deb, Published by Harun Or Rashid, Meera Prokashon, 68-69 Pyridas Road, Banglabazar, Dhaka-1100, Bangladesh. Phone: 88029580670, Mobile: 8801710853158, 8801683807444. Email:meeraprokashon@yahoo.com. Copyright: Fanindra Lal Deb Library, Napora, Banskhali, Chittagong, Bangladesh. Cover Design: Nasim Ahmed.

ISBN: 978-984-775-230-3

Price: BDT 350.00, US$ 8.00, AU$ 10.00

ঘরে বসে যে কোন বই কিনতে অনলাইনে যোগাযোগ করুন
http://rokomari.com/meera
www.porua.com.bd
টেলিফোনে অর্ডার দিন +880 1841 115115




উৎসর্গ
আদরের পূজাকে


 ও আমার চাঁদের আলো, আজ ফাগুনের সন্ধ্যাকালে
ধরা দিয়েছ যে আমার পাতায় পাতায় ডালে ডালে।।
যে গান তোমার সুরের ধারায়
বন্যা জাগায় তারায় তারায়
মোর আঙিনায় বাজল গো, বাজল সে-সুর আমার প্রাণের তালে-তালে।।
সব কুঁড়ি মোর ফুটে ওঠে তোমার হাসির ইশারাতে
দখিন-হাওয়া দিশাহারা আমার ফুলের গন্ধে মাতে
শুভ্র, তুমি করলে বিলোল
আমার প্রাণে রঙের হিলোল-
মর্মরিত মর্ম গো,
মর্ম আমার জড়ায় তোমার হাসির জালে।।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গীতবিতান, প্রকৃতি-২২২


সৌরজগতের গ্রহগুলোর মোট চাঁদের সংখ্যা বর্তমানে ১৮১। ভবিষ্যতে এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। আমাদের গ্রহ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের যে প্রতিবেশী সে আমাদের একমাত্র চাঁদ। মাত্র চার লক্ষ কিলোমিটার দূরে সে থাকে। অন্য সব চাঁদের আলাদা আলাদা নাম আছে, অথচ আমাদের চাঁদের কোন আলাদা নাম নেই। পৃথিবীর মানুষ চাঁদকে দেবতা মনে করে বিভিন্ন নাম দিয়েছে - লুনা, সেলিনি ইত্যাদি, কিন্তু সেগুলোর কোনটাই বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত নাম নয়।
          চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ। আমাদের গ্রহের সবচেয়ে কাছের যে গ্রহ - সেটা শুক্র। পৃথিবী থেকে শুক্রের দূরত্ব প্রায় চার কোটি কিলোমিটার। পৃথিবীর বাইরে এপর্যন্ত একমাত্র চাঁদেই মানুষ পা রাখতে সক্ষম হয়েছে। এই চাঁদ নিয়ে আমাদের কৌতূহলের শেষ নেই। তাই চাঁদ নিয়ে গল্পেরও শেষ নেই। চাঁদ থেকে আমরা পেয়েছি মাসের হিসেব। Month কথাটি এসেছে moon থেকে। চাঁদ নিজের চারপাশে একবার ঘুরে আসতে যে সময় নেয়, সেই সময়টা আমাদের পৃথিবীর প্রায় এক মাসের সমান। চাঁদের প্রভাবে আমাদের পৃথিবীর জোয়ার-ভাটা হয়। চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্যের পরস্পরের আকর্ষণ, গতি ও গতিপথের সম্মিলনে আমরা দেখি অমাবস্যা, পূর্ণিমা, চন্দ্রগ্রহণ, সূর্যগ্রহণ।
          পৃথিবীতে প্রাণের আবির্ভাবের অনেক আগে থেকেই চাঁদ রাতের বেলা পৃথিবীতে আলো দিয়ে আসছে। যদিও আমরা এখন জানি যে চাঁদের নিজস্ব কোন আলো নেই, সূর্যের আলোই চাঁদের গায়ে প্রতিফলিত হয়ে আসে পৃথিবীতে, তবুও আমরা চাঁদের আলোর প্রতি বিশেষ অনুরক্ত। চাঁদের আলো আমাদের অনেক কল্পনার উৎস। অনেক কবিতা, গল্প, গান, ছবি তৈরি হয়েছে চাঁদ নিয়ে।
          প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ চাঁদ সম্পর্কে কৌতূহলী হয়ে খালি চোখে চাঁদ পর্যবেক্ষণ করতে করতে অনেক কিছু জেনে ফেলেছে চাঁদ সম্পর্কে। পৃথিবী থেকে চাঁদ ও সূর্য সবসময় এমন দূরত্বে অবস্থান করে যে আমাদের কাছে চাঁদ ও সূর্যকে সমান আকৃতির উজ্জ্বল থালার মতো মনে হয়। প্রাচীনকালের পন্ডিতরা মনে করেছিলেন যে পৃথিবীকে কেন্দ্র করেই আকাশের সবকিছু ঘুরে বেড়ায়। সূর্য, চাঁদ এবং অন্যান্য যা কিছু আকাশে দেখা যায় - সবকিছুকেই মানুষ গ্রহ বলে মনে করতো সেই সময়। দিনের বেলা সূর্য এবং রাতের বেলা চাঁদ আলো দেয় - তাই চাঁদ ও সূর্যকে দেবতাজ্ঞানে পূজা করেছে প্রাচীন মানুষ। কিন্তু মানুষ আধুনিক হওয়ার পরেও এই সূর্যপূজা বা চন্দ্রপূজা বন্ধ হয়ে যায়নি। চাঁদকে ঘিরে রয়েছে মানুষের অনেক রকমের সংস্কার। বিভিন্ন সংস্কৃতিতে বিভিন্ন রকম সংস্কার চালু আছে চাঁদের ব্যাপারে।
          ক্রমে ক্রমে মানুষের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দক্ষতা বেড়েছে। মানুষ জেনেছে যে আমরা সৌরকেন্দ্রিক গ্রহে বাস করি। সূর্যকে ঘিরেই ঘুরছে আমাদের পৃথিবী। কিন্তু প্রাচীন পন্ডিতরা একটা বিষয়ে সঠিক আন্দাজ করেছিলেন। সেটা হলো চাঁদ পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে।
           বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে মানুষ চাঁদে যাবার চেষ্টা করতে শুরু করেছে। ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই প্রথমবারের মতো চাঁদের বুকে পা রেখেছে পৃথিবীর মানুষ। তারপর আরো পাঁচবার চাঁদের বুকে হেঁটেছে, গাড়ি চালিয়েছে মানুষ। আজ আমরা চাঁদ সম্পর্কে অনেক কিছু জানি। নিকট ভবিষ্যতে চাঁদে হয়তো গড়ে উঠবে মানুষের বসতি।
          চাঁদ সম্পর্কে সাম্প্রতিকতম বিজ্ঞানের সহজ বর্ণনা এই "চাঁদের নাম লুনা"। কিশোর বিজ্ঞান সিরিজের এটা তৃতীয় বই। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের উপযোগী করে লেখা হলেও সূর্য ও পৃথিবীর মতো চাঁদের বিজ্ঞানও সবার ভালো লাগবে আশা করি।


ডিসেম্বর ২০১৬                                                                প্রদীপ দেব
মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া                                  pradipdeb2006@gmail.com






































No comments:

Post a Comment

Latest Post

R. K. Narayan's 'The Grandmother's Tale'

There are many Indian authors in English literature. Several of their books sell hundreds of thousands of copies within weeks of publication...

Popular Posts